ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে শতকোটি টাকার জমি উদ্ধারের পর প্রকৌশলী বদলি লক্ষ্মীপুরে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল
  • সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

৫ মাসেও নিয়োগ হয়নি কুবির রেজিস্ট্রার

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০২২  

অধ্যাপক ড. আবু তাহেরের পদত্যাগের পাঁচ মাসেও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) রেজিস্ট্রার পদে নতুন নিয়োগ দিতে পারেনি প্রশাসন। ফলে স্থবিরতা বিরাজ করছে প্রশাসনিক কার্যক্রমে। এছাড়া উপাচার্যের নিজের পছন্দের লোককে রেজিস্ট্রার পদে বসাতে গড়িমসি করছেন বলে অভিযোগ শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের।

বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মো. মুজিবুর রহমান মজুমদারের বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু তাহেরকে ২০১৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পদে নিয়োগ দেয় তৎকালীন প্রশাসন। চার বছর দায়িত্ব পালনের পর উপাচার্যের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে সমন্বয়হীনতার ও অস্বস্তিবোধ জানিয়ে চলতি বছরের ২৩ মার্চ পদত্যাগ করে ড. তাহের। সে সময় উপাচার্য ড. মঈন দ্রুত রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেওয়ার কথা বললেও এখনো পদটি শূন্য পড়ে রয়েছে।

তিনজন ডেপুটি রেজিস্ট্রার দিয়ে কোনোরকমে চলছে প্রশাসনিক কাজ। ফলে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কাজে হিমশিম খেতে হচ্ছে এমন অভিযোগ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। তবে কর্মকর্তাদের দাবি, কোনো এক ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে ওই পদে সুযোগ দিতে চান উপাচার্য। অধিকাংশ শিক্ষকের মতে, রেজিস্ট্রার যেহেতু শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বেশি কানেক্টেড, সে ক্ষেত্রে শিক্ষক থেকে রেজিস্ট্রার দেওয়া উচিত।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৬ এর ১৩ নং ধারায় বলা হয়েছে রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক কর্মকর্তা হবেন এবং সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে পূর্ণকালীন নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও ইউজিসির নির্দেশনার কোনোটিই মানছে না কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শিক্ষক নেতারা বলেছেন, শিক্ষকদের বিভিন্ন আবেদন করতে হয় রেজিস্ট্রার বরাবর। কিন্তু তিনজন ডেপুটি রেজিস্ট্রার থাকায় কার কাছে কোন আবেদন করবে সেটি নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়। অনেক সময় তারা একজন আরেকজনের দায়িত্ব বলে চালিয়ে দেন। এ ক্ষেত্রে কাজের মধ্যে বাধা সৃষ্টি হয়। একটি লম্বা প্রক্রিয়ায় আটকে পড়ে যে কোনো আবেদন।

তারা অভিযোগ করেন, উপাচার্য নিজের পছন্দের লোককে রেজিস্ট্রার পদে বসাতে চান। কিন্তু এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে অযোগ্য কাউকে বসালে সেটির বিরূপ প্রভাব পড়বে।

দপ্তরটির একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, রেজিস্ট্রার না থাকায় কাজে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, রেজিস্ট্রারের মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর অনেকদিন ধরে শূন্য থাকায় কাজের ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। কোনো একটি ফাইল বা চিঠি তুলতে হলে রেজিস্ট্রার দপ্তর হয়ে যেতে হয়। ইউজিসি থেকে রেজিস্ট্রার পদটি পূর্ণাঙ্গের কথা বলা আছে। অথচ সেখানে পাঁচ-ছয় পদটি ফাঁকা।

সাবেক রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, রেজিস্ট্রার হল প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু। বিশ্ববিদ্যালয় আইনেও উল্লেখ আছে সব চিঠিপত্র আদান-প্রদান হবে রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে। ইউজিসি ও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মুখপাত্র হিসেবে কাজ করে রেজিস্ট্রার। শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা যে কোনো আবেদন তার কাছে করবেন। এখন রেজিস্ট্রার না থাকার কারণে তারা বিভ্রান্তিতে পড়ছে।

ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম বলেন, আমাদের আহ্বান ছিল গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে পূর্ণাঙ্গ নিয়োগ দেওয়া। আগে আমরা একটি প্রজ্ঞাপন দিয়েছি সেটির আবার রিমাইন্ডার দেবো। এছাড়া একটি কনট্রাক্টচুয়াল নীতিমালা তৈরি করছি। কমিশনে পাশ হলে এক মাসের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে স্থায়ী রেজিস্ট্রার নিয়োগ দিতে হবে। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে স্থায়ী নিয়োগ দিতে বলেছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, কোথাও কোনো স্থবিরতা নাই। কেউ যদি বলে থাকে তাহলে সেটা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বরং রেজিস্ট্রার থাকার সময় আমরা দেখছি যে দলাদলি, অমুক তমুক, কিন্তু এটি এখন নাই। এখন ফেয়ার জাজমেন্ট হচ্ছে। শিক্ষকরা এসে আমাকে বলে আগে ইচ্ছামতো ফাইল আটকে রাখতো। তার দলের লোকদের সুবিধা দিত, জিনিসটা এখন নাই। এখন আগের চেয়ে আরও দ্রুত কাজ হচ্ছে। ডেপুটি তিনজনই ভালো কাজ করছেন। এখন আমার কাজ আরও তাড়াতাড়ি হয়।

ইউজিসির নীতিমালার বিষয়ে তিনি বলেন, ইউজিসি থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল, আমরা বলেছি শিগগির নিয়োগের বিষয়টি জানিয়ে দেবো। রেজিস্ট্রার সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সচিব। তবে এটি কোনো বিষয় না যে কেউ সভা ডাকতে পারে, ডেপুটি রেজিস্ট্রারও পারে। দেখতে হবে কাজটা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হচ্ছে কি-না। আমাদের সব কাজ চলছে।