ব্রেকিং:
পূর্বাঞ্চলে রেলের ক্ষতি প্রায় ২২ কোটি টাকা ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দেওয়ার ভাষা নেই: প্রধানমন্ত্রী আঘাত আসবে এমন আশঙ্কা ছিল: প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার থেকে সীমিত পরিসরে চলবে ট্রেন সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে: সেনাপ্রধান কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি জামায়াতে ইসলামীর আনুষ্ঠানিক সমর্থন কমপ্লিট শাটডাউনেও চলবে মেট্রোরেল বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের প্রতি বেআইনি শক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি আজ বাংলা ব্লকেড বা শাটডাউন ফেনীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ২০ ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করলেন আরেক নেতা, লিখলেন ‘আর পারলাম না নোয়াখালীতে যুবদল-ছাত্রদলের ৫ নেতা গ্রেফতার তিস্তায় ভেসে আসা সেই মরদেহ ভারতের সাবেক মন্ত্রীর সারা দেশে সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশনা বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদের দাফন সম্পন্ন ফার্মগেটে মেট্রোরেল স্টেশনের ভেতরে হামলা চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব আরো জোরদারের অঙ্গিকার দেশে নেই ৪০০ কোটির পিয়ন জাহাঙ্গীর, পালিয়েছেন যে রাষ্ট্রে
  • শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২৪  

বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মাথা পিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলার। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, খাদ্য ও বিদ্যুৎ যোগাযোগসহ সর্বক্ষেত্রে দ্রুত উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে তিনি বিশ্বব্যাপী ‘মাদার অব হিউমিনিটি’ উপাধি পেয়েছেন। বিভিন্ন ইতিবাচক কাজের জন্য পেয়েছেন প্রচুর প্রশংসা ও উপাধি। শেখ হাসিনা এগিয়ে যাচ্ছেন, বাংলাদেশও এগিয়ে যাচ্ছে আগামীর পথে।

আজ থেকে ৪৩ বছর আগে ৬ বছর নির্বাসিত থেকে বঙ্গবন্ধুবিহীন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় আলোর মশাল হাতে কাণ্ডারি হয়ে স্বদেশের মাটিতে এসেছিলেন জাতির পিতার জ্যেষ্ঠকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। সেদিনই বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম হয়েছিল। এখন জননেত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী আছেন বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। চার দশক আগে যদি শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নৌকার বৈঠা না ধরতেন, বাংলাদেশের নেতৃত্বে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত না করতেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী না হতেন, তাহলে বাংলাদেশের আজকের এ উন্নতি, এ অগ্রগতি সুদূরপরাহত ছিল। আওয়ামী লীগের গণমুখী রাজনীতি থাকতো না। দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত হতো না। গণতন্ত্র আসতো না। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার হতো না। যুদ্ধাপরাধীদেরও বিচার অসম্পন্ন থাকতো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন। দেশকে বিশ্বের বুকে মর্যাদাবান করেছেন। শেখ হাসিনা রাজনীতিতে না আসলে স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার সুর্বণ জয়ন্তী এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালন করার সুযোগ পেত না। জননেত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের হাল না ধরলে আমাদের নেতা-কর্মীদের অস্তিত্বও বিপন্ন হতো। দেড় লাখ গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবার পাকা বাড়িসহ ঘর পেত না। আমাদের সৌভাগ্য আমরা শেখ হাসিনার মতো একজন যোগ্য, সৎ,সাহসী, কর্মঠ নেতা পেয়েছি, নেতৃত্ব পেয়েছি।

জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই নেত্রী যিনি মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটও পাঠান আবার একেবারে সমাজের সবচেয়ে অবহেলিত হতদরিদ্র, অসহায়, বয়স্ক নারী-পুরুষ, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, প্রতিবন্ধীদের মাসিক ভাতার ব্যবস্থাও করেন। তিনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য দেশ করে দিয়ে যাওয়ার জন্য নিরলস সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সারাদেশের মানুষকে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষার জন্য, বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, হাওরের মানুষকে হাসিমুখে ফসল ঘরে তোলার জন্য স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণ করছেন। উন্নত ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য তিনি ডেল্টাপ্ল্যান ২১০০ ঘোষণা করেছেন। তিনি শুধু বর্তমান নিয়েই ভাবেন না, ভবিষ্যতও তাঁর ভাবনায় থাকে। অন্যরা ক্ষমতা আর বর্তমানকে নিয়ে ভাবে। এখানে জননেত্রী শেখ হাসিনা অন্যদের থেকে আলাদা।

জননেত্রীর শেখ হাসিনার হাত ধরে অশান্ত পাহাড়ে শান্তি ফিরেছে। ভারতের সঙ্গে গঙ্গা পানি চুক্তি হয়েছে, ছিটমহল সমাধান হয়েছে, আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে বিশাল সুনীল অর্থনীতির আধার অর্জন করেছে সমুদ্র সীমা নির্ধারণের মাধ্যমে। জাতির পিতার কন্যার হাতধরে ছাত্র রাজনীতি ও জাতীয় রাজনীতির গুনগত পরিবর্তনও এসেছে।

১৯৮১ সালের ১৭ মে, দিনটি ছিল রবিবার। সেদিন ঘণ্টায় ৬৫ মাইল বেগে কালবৈশাখী ঝড় হচ্ছিল। বৈরী আবহাওয়াতেও মানুষের গতি ঠেকানো যায়নি। সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা লাখো জনতার সংবর্ধনার জবাবে বলেছিলেন, ‘আমি সবকিছু হারিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে জাতির পিতার হত্যার বিচার করতে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই। বাংলার দুঃখী মানুষের সেবায় আমি আমার এ জীবন দান করতে চাই। আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদের ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তা বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই, বাঙালী জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।’

শেখ হাসিনা সেদিন জনগণকে দেয়া সেই অঙ্গীকার পূরণে ৪৩ বছর ধরে প্রতিনিয়ত মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে জনগণের ভাগ্যবদলে নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর জন্য বাংলাদেশ আজ ধন্য। তিনি ফিরে না এলে ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে কে সরকার গঠন করত- আমাদের জানা নেই। তিনি ফিরে এসে হাল ধরেছিলেন গণতন্ত্রের। ফলে গত ১৩ বছর দেশের উন্নয়ন আকাশ ছুঁয়েছে। এ দেশ প্রকৃতপক্ষে এগিয়েছে তাঁর অসীম সাহসিকতা ও যোগ্য নেতৃত্বের কারণে। বর্তমান প্রজন্মের কাছে শেখ হাসিনা এক সাহসী রাজনীতিকের নাম; যাঁর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় ভবিষ্যতের বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে চলেছে।

শান্তির অগ্রদূত শেখ হাসিনা দেশের মানুষের জন্য নিজের প্রাণকে তুচ্ছ করতে পারেন নির্দ্বিধায়। সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভরসার কেন্দ্রবিন্দু তিনি। ধৈর্য্য ও সাহসের প্রতিমূর্তি শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের মানসকন্যা, দেশরত্ন, কৃষকরত্ন, জননেত্রী- বহুমাত্রিক জ্যোতিষ্ক। তাঁকে কেন্দ্র করে, তাঁর নেতৃত্বে আবর্তিত হচ্ছে বাংলাদেশ। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, বঙ্গবন্ধু টানেল, মেট্রোরেল, গভীর সমুদ্রবন্দর প্রভৃতি বড় প্রকল্পের বাস্তবায়নই মনে করিয়ে দিচ্ছে শেখ হাসিনা প্রকৃতপক্ষে আলাদা, ভিন্ন, স্বতন্ত্র ও নেতৃত্বের গৌরবজনক আসনে সমাসীন। তিনি জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী অর্থনৈতিক বিকাশ ত্বরান্বিত করেছেন; সংকট উত্তরণে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় মেয়ে শেখ হাসিনাকে এই দীর্ঘ সময় দলের প্রধানের দায়িত্বে থেকে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে অনেক বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। নানা চড়াই-উৎরাই, কারাবরণ, মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়াসহ অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে তিনি আওয়ামী লীগকে আজকের অবস্থানে এনে দাঁড় করিয়েছেন। শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের ফলেই আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ রেখে পাঁচ বার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার সুযোগ পেয়েছে এবং বর্তমানে টানা চতুর্থবার ক্ষমতাসীন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের এই সময়ের শাসন আমলেই দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নতুন মাত্রা সূচিত হয়েছে। শেখ হাসিনার শাসনামলেই গত বছর বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। তার হাত ধরেই বাংলাদেশ ডিজিটাল দেশে পরিণত হয়েছে।

শেখ হাসিনা দীর্ঘপথ হেঁটে বাংলাদেশের জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন। এজন্য তাঁকে দুটি সামরিক জান্তার এবং একটি অনির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হয়েছে। নিয়মতান্ত্রিক পথে, বিভিন্ন সময়ে স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়াকে আন্দোলনের মাধ্যমে সরাতে হয়েছে। শেখ হাসিনা নীতির সাথে আপস করলে অনেক আগে ক্ষমতায় আসতে পারতেন। তিনি ক্ষমতার জন্য নেতিবাচক রাজনীতির পথে কখনো এগোয়নি। তিনি তাঁর জীবনে কোনো বাঁকা পথ, কোনো প্রলোভনকে প্রশ্রয় দেননি। যেহেতু তিনি জনগণের জন্য রাজনীতি করেন, সেজন্য তিনি জনগণকে নিয়ে, জনগণের ভালোবাসা নিয়ে, নিয়মতান্ত্রিক পথে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়ে সরকার পরিচালনায় এসেছেন। নিয়মের প্রতি, আইনের প্রতি, জনগণের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তাঁকে বড় মাপের নেত্রীর মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে। তিনি এদেশে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির অগ্রদূত। তিনি যে ‘গণতন্ত্রের মানসকন্যা’- এটা তাঁর প্রতিটি কাজ ও কর্মে নিরন্তর উদ্ভাসিত।

শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবনের এই দীর্ঘ চলার পথ ফুল বিছানো ছিল না। পদে পদে বিপদ এবং মৃত্যুর ঝুঁকি তাকে তাড়া করেছে। ২১ বার তাকে হত্যার অপচেষ্টা চলেছে। জীবনমৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য করে তিনি এগিয়ে চলেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা মাত্র ৩৪ বছর বয়সে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এখন তিনি সব দিক দিয়েই একজন পরিণত মানুষ। তিনি কেবল দীর্ঘ সময় ধরে আওয়ামী লীগেরই সভানেত্রী নন, তিনি সরকার প্রধান হিসেবেও বেশি সময়ের রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। এবার তিনি টানা চারবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। এই মেয়াদ শেষ হলে তার প্রধানমন্ত্রীত্বের ২০ বছর পূর্ণ হবে। নির্বাচিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় শেখ হাসিনাই হতে চলেছেন বিশ্বে উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি এখন একদিকে যেমন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, একই সঙ্গে তিনি একজন বিশ্বনেতাও বটে। তার প্রশংসায় অকুণ্ঠ অনেক দেশের সরকার প্রধান। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে চলেছে। বিশ্বসভায় বাংলাদেশ এক ভিন্নতর মর্যাদার আসন লাভ করেছে।

শেখ হাসিনা জাতির বিভিন্ন সংকটকালে সাহসী, দূরদর্শী ও সুদূরপ্রসারী সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা দেখিয়েছেন। সবাই যখন সংকট উত্তরণের কোনো ভালো সম্ভাবনা দেখেন না, তখনও তিনি একটা না একটা উপায় বের করে ফেলেন। তিনি দেশের মানুষের আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা অর্জন করেছেন। তার নিখাঁদ দেশপ্রেম তাকে মানুষের কাছে গভীরতর ভালোবাসার ঋণে আবদ্ধ করেছে। বঙ্গবন্ধু যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন তাকেই পূর্ণতা দিতে চলেছেন শেখ হাসিনা। আজ এ কথা বলা যায় যে, শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের যোগ্য কাণ্ডারি। তার মধ্যেই মূর্ত হয়ে উঠছে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।