ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে শতকোটি টাকার জমি উদ্ধারের পর প্রকৌশলী বদলি লক্ষ্মীপুরে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল
  • সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বন্যায় ভেসে গেছে ১৬ কোটি টাকার মাছ

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০২২  

টানা বর্ষণ এবং দুই সপ্তাহের পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার ১০ উপজেলায় বন্যা দেখা দেয়। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মৎস্যচাষিরা। অনেকে লিজ নিয়ে পুকুরে মাছ চাষ করেছিলেন। জীবিকা নির্বাহে অনেক চাষি এই মাছ চাষকেই একমাত্র পেশা হিসেবে নিয়েছেন। কিন্তু এ বন্যায় এবার ভেসে গেছে তাদের স্বপ্ন। 

২৬ হাজার পুকুরের মাছ ভেসে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১৫ হাজার মৎস্য চাষি। অনেক চেষ্টা করেও আটকে রাখতে পারেননি পুকুরের মাছ। ভেসে গেছে চোখের সামনে জীবিকা নির্বাহের শেষ সম্বল। তাদের মধ্যে প্রান্তিক চাষির সংখ্যাই বেশি।

সরকার খামারি এবং মৎস্য চাষিদের ঘুরে দাঁড়াবার জন্য প্রণোদনা দিলে আবারো স্বপ্নজাল বুনতে পারবেন বলে মনে করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। 

মৎস্য কর্মকর্তারা জানান, ২ কোটি টাকার পোনামাছসহ ভেসে গেছে ১৬ কোটি টাকার মাছ। 

জেলার মৌগাতি ইউপির শালজান গ্রামের চাষি মাহবুবুল আলম জানান, জাল দিয়েও মাছ রাখতে পারিনি এ বছর। কম হলেও ৬ লাখ টাকার পোনা মাছ ভেসে গেছে দুটি ফিশারি থেকে। একটি ১৩ কাঠা ও একটি ৮ কাঠার পুকুর। লাভের হিসাব তো সামনেই আসেনি। খুব কষ্টের টাকা এগুলো। 

তিনি বলেন, সরকার সুদৃষ্টি দিয়ে তাকালে আমরা হয়তো বেঁচে যাবো। এমনও চাষি আছেন লিজ নিয়ে একটি ফিশারি করে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। তাদেরও সব ভেসে গেছে। লিজে এক বছরের জন্য নিলে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হয়। আবার লিজের পরিমাণ ৬ লাখ টাকাও রয়েছে। 

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, জেলায় ৫২ হাজার ৭৪ দশমিক ৯৩ মেট্রিকটন মাছের চাহিদার প্রেক্ষিতে ১ লাখ ৭ হাজার ১০৪ দশমিক ৩৮ মেট্রিকটন মাছ পাওয়া যায়। যার মূল্য দুই হাজার কোটি টাকা। বদ্ধ জলাশয়ে মাছ উৎপাদন (চাষ) হয় ৪০ হাজার ৬৬৫ দশমিক ৪০ মেট্রিক টন।

জেলায় পুকুর রয়েছে ৬০ হাজার ৯৫২টি। পুকুরের আয়তন ৮৩৪৩ দশমিক ৪৬ হেক্টর। চাষি রয়েছেন ৪৭ হাজার ১৫৩ জন। তারমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে মৎস্য খামারের সংখ্যা ৭০৮টি। বিলের সংখ্যা ৫১০টি। নদীর সংখ্যা ১২ টি। খাল রয়েছে ১৫৯ টি। প্লাবনভূমির সংখ্যা ৬৭৮ টি। ছোট বড় হাওড়ের সংখ্যা ৯৪ টি। ২০ একরের উপরে জলমহাল রয়েছে ১১৮ টি। ২০ একরের নিচে জলমহাল রয়েছে ২৯৯ টি। 

জেলায় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সংখ্যা ৩২১ টি। মোট মৎস্যজীবী (জেলে) ৫৪ হাজার ৬৯৫ জন। তার মধ্যে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৪৬ হাজার ৮৮ জন। 

মাছ বিক্রেতার সংখ্যা ১৬৭২ জন। সরকারি মৎস্য বীজ খামারের সংখ্যা মাত্র ২ টি। নিবন্ধিত বেসরকারি মৎস্য হ্যাচারির সংখ্যা ৩৫ টি। বেসরকারি মৎস্য নার্সারির সংখ্যা ৩৭৫ টি। বরফ কলের সংখ্যা ৬৭ টি। মৎস্য আড়ৎ সংখ্যা ২৫২ টি। মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ১ টি। 

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান কবীর জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে ঊধ্বর্তন বরাবরে পাঠানো হয়েছে। প্রণোদনা পেলে জেলেরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলেও তিনি মনে করেন। 

তিনি বলেন, এবার জাতীয়ভাবে আড়াই হাজার কোটি টাকার মাছ উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।