ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে শতকোটি টাকার জমি উদ্ধারের পর প্রকৌশলী বদলি লক্ষ্মীপুরে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল
  • সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

এক মাসেই বিয়ে বিচ্ছেদের সেঞ্চুরি!

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০১৯  

পাবনার ঈশ্বরদীতে অস্বাভাবিকভাবে বিয়ে বিচ্ছেদের মাত্রা বেড়ে গেছে। দাম্পত্য কলহ, স্বামী-স্ত্রীর পরকীয়া, স্বামীর মাদকাসক্ততা এসব কারণে দিন দিন এ মাত্রা বাড়ছে। জানা গেছে, গত এক মাসে ঈশ্বরদীর অন্তত ১০০টি পরিবারে বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও অর্ধশতাধিক নারী তাদের স্বামীকে তালাক দেয়ার জন্য বিভিন্ন নিকাহ রেজিস্ট্রার ও আইনজীবীর মাধ্যমে লিখিত আবেদন করেছেন।

পাকশী ইউপি সূত্র জানায়, গত বছর যেখানে এ ইউপিতে ছয়টি বিয়ে বিচ্ছেদ হয়েছিল, সেখানে এ বছরে মাত্র এক মাসে ঘটেছে ১৪ জনের বিয়ে বিচ্ছেদ।  পাকশী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক বিশ্বাস বলেন, চলতি বছর বিয়ে বিচ্ছেদের সালিশ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

ঈশ্বরদীর বিভিন্ন ইউপির হিসাব অনুযায়ী, গত এক মাসে উপজেলার সাঁড়া ইউপিতে সাত, মুলাডুলিতে ১১, সলিমপুরে আট, দাশুড়িয়ায় সাত, লক্ষ্মীকুণ্ডায় পাঁচ, সাহাপুরে আট এবং পাকশী ইউপিতে সর্বোচ্চ ১৪ ও ঈশ্বরদী পৌর এলাকায় ৩৫ পরিবারসহ অন্তত ১০০টি পরিবার ভাঙনের শিকার হয়েছে।

বাঘইল গ্রামের এক নারী বলেন, ইপিজেডে চাকরি করে বাড়ি ফিরে যদি স্বামীর অত্যাচার সইতে হয়, তার চেয়ে একা থাকাই ভালো। তাই স্বামীকে তালাক দিয়ে স্বাধীন জীবনযাপন করছি, ভালোই আছি।

মুলাডুলি গ্রামের এক নারী বলেন, নিজে চাকরি করি, অথচ স্বামী বেকার। তারপরও স্বামী আমার উপার্জিত পয়সায় মাদক সেবন করে আমার ওপরই শারীরিক নির্যাতন চালাত। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে স্বামীকে তালাক দিয়ে দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে জীবনযাপন করছি।   

জেলা জজ আদালতের শিক্ষানবিশ আইনজীবী আলী আজম জানান, ঈশ্বরদীর ওইসব ইউপি থেকে বিয়ে বিচ্ছেদের আরো অর্ধশতাধিক আবেদন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।

পাকশী ইউপি সচিব মিজানুর রহমান খোকন জানান, তালাক দেয়া নারীদের প্রায় সবাই ঈশ্বরদী ইপিজেডের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত। তারা বিভিন্নভাবে স্বামীর নির্যাতনের শিকার অথবা দাম্পত্য কলহের কারণে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটিয়েছেন।

মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান ফান্টু বলেন, দাম্পত্য কলহ নিয়ে প্রতিনিয়ত আমাদের কাছে স্বামী-স্ত্রী উভয়েই আসেন। চেষ্টা করি, সংসারটা টিকিয়ে রাখতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বনিবনা না হওয়ায় বিয়ে বিচ্ছেদের মতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তারা।

ঈশ্বরদী পৌরসভার প্যানেল মেয়র (২) ও সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ইপিজেডসহ এ অঞ্চলে নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় আগের দিনের মতো কেউ আর মুখ বুজে সবকিছু সহ্য করছেন না। দাম্পত্য কলহের জেরে এসব চাকরিজীবী নারী খুব সহজেই স্বামীকে তালাক দিয়ে দিচ্ছেন।