ব্রেকিং:
আজ থেকে ৬৫ দিন সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ নোয়াখালীতে শতকোটি টাকার জমি উদ্ধারের পর প্রকৌশলী বদলি লক্ষ্মীপুরে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
  • সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মা-বাবার খুঁজে ৪২ বছর পর বাংলাদেশে সেলিনা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০১৯  

পাঁচ দিন বয়সী শিশু সেলিনাকে রাস্তায় ফেলে রেখে গিয়েছিলেন বাবা-মা। তার পর চলে গেছে ৪২ বছর। ভাগ্যের জুড়ে বাংলাদেশে জন্ম নেয়া সেলিনা পাড়ি দেন জার্মানিতে। কিন্তু এখনও বাবা-মাকে ভুলতে পারেনি সেই শিশুটি। বাবা-মায়ের সন্ধান পেতে ছুটে আসেন জন্মস্থান জামালপুরের সরিষাবাড়ীর গাইতিপাড়া গ্রামে।

বাবা-মাকে খুঁজে না পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। এ সময় গ্রামের মেয়েদের জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই জার্মান নারী। জানালেন, বাবা-মায়ের খোঁজে তিনি আবারো নিজ গ্রামে আসবেন।

সেলিনা জানান, দারিদ্র্যের কারণে মাত্র পাঁচ দিন বয়সে তার বাবা-মা তাকে রাস্তার পাশে ফেলে চলে যান। গ্রামবাসী তাকে উদ্ধার করে একটি এতিমখানায় দেন। এ সময় একজন বিদেশি এনজিওকর্মী শিশুকে লালন-পালনের জন্য নিতে চাইলে গ্রামের লোকজন তার হাতে তুলে দেন। তার পর থেকে সেলিনা জার্মানিতে বসবাস করছেন।

বুধবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবে সেলিনা সাংবাদিকদের জানান, তার পালক বাবা জন ম্যাকডোনাল্ড ১৯৭৬ সালের জুন বা জুলাই মাসে সরিষাবাড়ীর গাইতিপাড়া গ্রাম থেকে তাকে দত্তক নেন। ম্যাকডোনাল্ড তখন একটি বেসরকারি শিশু সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশে কাজ করতেন। কাজ শেষে তিনি শিশু সেলিনাকে জার্মানি নিয়ে যান এবং পরে একটি স্কুলে ভর্তি করান। সেলিনার বয়স যখন ৬ বছর তখন তিনি জানতে পারেন যে, তাকে বাংলাদেশ থেকে নেয়া হয়েছে এবং ম্যাকডোনাল্ড তার পালক বাবা।

তিনি জার্মানিতে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন এবং স্টেফান নামে এক জার্মান নাগরিককে বিয়ে করেন। এই দম্পতির অ্যাঞ্জেলা (২২) নামে একটি মেয়ে ও ফিন (১৫) নামে একটি ছেলে রয়েছে।

সেলিনা জানান, স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরের কাছে এক হাসপাতালের চিকিৎসক মার্ক সেয়ারার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। একই হাসপাতালে তিনিও চাকরি করেন। একপর্যায়ে তিনি সেয়ারারকে নিয়ে বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নেন। ৪ অক্টোবর তিনি প্রথমবারের মতো সেয়ারারকে নিয়ে ঢাকায় আসেন।  

ময়মনসিংহে বসবাসরত জার্মান প্রবাসী দেলোয়ার হোসেন জানান, সেলিনা ৭ অক্টোবর জামালপুরের গাইতিপাড়া গ্রামে যান। মঙ্গলবার সরিষাবাড়ীতে প্রায় ৪ ঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পর সেলিনার জন্মস্থান গাইতিপাড়া গ্রামের সন্ধান পাওয়া যায়। কিন্তু সেলিনার ছোটবেলার ছবি দেখিয়ে এবং বিভিন্ন পরিচয় দিয়েও তার বাবা-মায়ের সন্ধান পাওয়া যায়নি। সেলিনা বিভিন্ন বয়সের মানুষের সঙ্গে কথা বলেন এবং আবেগজড়িত কণ্ঠে তার বাবা-মায়ের খোঁজ করেন। আবারো তিনি বাবা-মায়ের খোঁজে গাইতিপাড়া আসবেন বলে জানান।

সেলিনা জানান, জন্মস্থানের প্রতি মায়ার কারণে তিনি বাংলাদেশে আসেন এবং বাবা-মায়ের খোঁজ করেন। এবার আক্ষেপ নিয়ে ফিরে গেলেও আবারো তিনি আসবেন।