ব্রেকিং:
আজ থেকে ৬৫ দিন সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ নোয়াখালীতে শতকোটি টাকার জমি উদ্ধারের পর প্রকৌশলী বদলি লক্ষ্মীপুরে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
  • সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত গৃহহীনদের ১০৯ বাড়ি

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৭ অক্টোবর ২০১৯  

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন গ্রামীণ অবকাঠামোগত রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) এবং অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচির বিশেষ বরাদ্দে গৃহহীনদের দুর্যোগ সহায়ক ১০৯টি বাড়ির নির্মাণ শেষ পর্যায়ে।

সারাদেশের সঙ্গে কক্সবাজারে অনুমোদিত ১০৯টি বাড়ির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামি ১৩ অক্টোবর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই প্রকল্পের উদ্ধোধন করা হবে বলে জানান জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. রইস উদ্দিন।এরই মধ্যে বাড়ি নির্মাণের অসমাপ্ত কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চিঠি দেয়া হয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জানান, ২ মাস আগে বাড়ি নির্মাণের  কার্যক্রম শুরু হয়। এরই মধ্যে কাজ ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ১৩ অক্টোবর সারা দেশে এই প্রকল্পটি উদ্বোধন করবেন। তাই আগামি ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জেলার ১০৯টি বাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেই হিসেবে মাত্র ৫দিন সময় পাচ্ছেন কর্মকর্তারা। ৮ উপজেলার ইউএনও ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের দ্রুত কাজ শেষ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বাড়ি নির্মাণ কাজের অগ্রগতি বিষয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, আমি সরেজমিনে কয়েকটি উপজেলা পরির্দশন করেছি। এরই মধ্যে টেকনাফ, উখিয়া, রামুতে নির্মিতব্য বাড়িগুলো খুব সুন্দর হয়েছে। কাজের মান সন্তোসজনক বলা যায়। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প যেহেতু অসহায়দের সহায় হবে বাড়িগুলো। প্রতিটি বাড়ির জন্য কাবিখা টিআর প্রকল্পের আদলে তদারকি কমিটি করা হয়। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন কমিটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ১০৯টি বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। 

গৃহহীনদের জন্য নগদ টাকায় দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয় সরকার। সরকারের আমার গ্রাম আমার শহর নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণা অনুযায়ী এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। 

সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতাভুক্ত টিআর ও কাবিটার বিশেষ খাতের অর্থে দরিদ্রদের জীবনমান উন্নয়ন ও দুর্যোগে নিরাপত্তা হ্রাসকল্পে গৃহহীন পরিবারের জন্য দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয় যেসব দরিদ্র পরিবারের উচুঁ ভিটা আছে কিন্তু টেঁকসই ঘর নেই তাদের জন্য ৮শ বর্গফুট ( প্রায় ২ শতাংশ জমি) বাড়ি, একটি রান্নাঘর, টয়লেট যেটি ২কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা টিনশেড ঘর হচ্ছে। এতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, সোলার প্যানেল এবং পাশে টয়লেট থাকছে যাতে রাতে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।

জেলা প্রশাসনের ত্রাণ শাখায় মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত বরাদ্দপত্র থেকে জানা যায়, প্রতিটি বাড়ির নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৫’শ ৩১ টাকা। জেলার ৮ উপজেলায় ১০৯টি বাড়ি নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৮১ লাখ ৭৯ হাজার ৮শ’ ৭৯ টাকা। 

উপজেলা ভিত্তিক বাড়ি নির্মাণ ও বরাদ্দের পরিমাণ হলো চকরিয়া, পেকুয়া ও কুতুবদিয়ার জন্য ১২টি করে বাড়ির জন্য প্রতি উপজেলায় ৩১ লাখ ২ হাজার ৩৭২ টাকা।

মহেশখালীতে ১৭টি বাড়ির জন্য ৪৩ লাখ ৯৫ হাজার ২৭ টাকা। কক্সবাজার সদরের ১১ টি বাড়ির জন্য২৮ লাখ ৪৩ হাজার ৮৪১ টাকা। এ ছাড়া রামুর , উখিয়া ও টেকনাফের জন্য ১৫টি করে বাড়ির জন্য ৩৮ লাখ ৭৭ হাজার ৯’ শ ৬৫ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়।

মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ২ শতাংশ পরিমাণ জমির মালিক, জমি পাওয়া সাপেক্ষে হিজড়া, বেদে, বাউল ,আদিবাসী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, গৃহহীন অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, নদী ভাঙন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে গৃহহীন, বিধবা,তালাকপ্রাপ্তা, প্রতিবন্ধী এবং পরিবারে উর্পাক্ষম লোক নেই এমন লোককে এই বাড়ি দেয়া হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে অনেক অসহায় পরিবার মাথা গোঁজার ঠাঁই পাবে।