ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে শতকোটি টাকার জমি উদ্ধারের পর প্রকৌশলী বদলি লক্ষ্মীপুরে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল
  • সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মেয়ে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে কি বৈধ?

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০২২  

বিয়ে আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত ও হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। ইসলামি শরিয়তের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান বিয়ে। আদর্শ পরিবার গঠন, চারিত্রিক অবক্ষয় রোধ ও ধর্মীয় এবং সামাজিক স্বীকৃতিতে মানুষের জৈবিক চাহিদা পূরণের অনুপম এক হাতিয়ার বিয়ে। মুসলিম আইনে বিবাহের আইনগত গুরুত্ব, সামাজিক ও ধর্মীয় মর্যাদা বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়।

একটি ছেলে ও মেয়ের সংসারধর্ম পালনের লক্ষে, ধর্মীয় ও সামাজিক সুরক্ষা দিতেই বিবাহ প্রথার জন্ম। মুসলিম আইন অনুযায়ী বিয়ে হলো একটি দেওয়ানি চুক্তি (কনট্রাক্টচুয়াল অ্যাগ্রিমেন্ট ফর সিভিল ন্যাচার)। কিন্তু, অনেকে তরুণীকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করে থাকেন। এভাবে বিয়ে করা যাবে কি? 

ইসলামী শরিয়তে ছেলে এবং মেয়ে দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তোলার একমাত্র পদ্ধতি হচ্ছে বিয়ে। বিয়ের পূর্বে প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ নয়।

হজরত মুহাম্মদ (সা.) দ্ব্যর্থহীনকন্ঠে ঘোষণা করেছেন, বিবাহ আমার সুন্নত। যে আমার সুন্নত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় সে আমাদের দলভুক্ত নয়। (সুনানু ইবনি মাযাহ, হাদিস নং-১৯১৯)  রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘অভিভাবক ছাড়া বিয়ে সংঘটিত হয় না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১১০১; আবু দাউদ, হাদিস : ২০৮৩)

বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ জানান, বিয়েতে অবশ্যই মেয়ের অভিভাবকের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। পরবর্তীকালে যদি অভিভাবক মানে, তাহলে বিয়ে বৈধ হয়েছে। তবে, অভিভাবকের অমতের কারণে প্রথমে যে বিয়েটা হয়েছে, সেটা অবৈধ ছিল। এটা নিয়ে সন্দেহ নেই। পরে অভিভাবক অনুমোদন দেওয়ার পর বিয়ে বৈধ হয়েছে।

এসব নিয়ে আসলে আমাদের ভাবা উচিত। কারণ, যে পরিবার আমাদের বড় করল, লালন-পালন করল, তাদের মত না নিয়েই আমরা বিয়ে করে ফেললাম। এমন বিয়েতে নানারকম সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এমনকি এমন বিয়ে অনেক সময় টেকে না। তাই আমাদের এসব নিয়ে সচেতন হওয়া উচিত।