ত্রান না পেয়ে মানবেতর জীবনে ৫০০ গনপরিবহন শ্রমিক

দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসের কারনে গনপরিবহনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের ৫০০ গনপরিবহন শ্রমিক সরকারী/বেসরকারীভাবে কোন ত্রান সামগ্রী না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এতে করে রামগঞ্জ বাসষ্টান্ডে গত দেড় মাস থেকে আটকে থাকা হিমালয়, আলবারাকা, বলাকা, হিমাচল, জননী পরিবহনের ৫শতাধিক শ্রমিক পরিবারে বিরাজ করছে হতাশা। নিরুপায় হয়ে উপজেলা পরিবহন শ্রমিকলীগের সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম ও সেক্রেটারী মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ত্রান পাওয়ার জন্য একটি আবেদন করলে তিনি রামগঞ্জ পৌরসভা ও স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদেরকে ত্রান দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু কেউ ত্রান তো দেননি বরং উল্টো বিভিন্নভাবে হেনস্থা করে খালি হাতে বের করে দেন। শ্রমিক নেতারা গতকাল রামগঞ্জ পৌর মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারীর কার্যালয়ে গেলে তিনি তাদেরকে লাথি মেরে ওখান থেকে বের করে দেওয়ার কথা বলেন। এমন সংবাদ বাসষ্টান্ড শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

রামগঞ্জ উপজেলা পরিবহন শ্রমিকলীগ সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম জানান, গনপরিবহন শ্রমিক ত্রান সামগ্রী বা কোন ধরনের সহযোগীতা না পাওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকট একটি আবেদন করি। তিনি মেয়র এবং চেয়ারম্যানদের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। গতকাল পৌর মেয়ররের কাছে গেলে সহায়তা চাইতে গেলে তিনি লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার কথা বলে আমাদের লাঞ্চিত করে।

রামগঞ্জ পৌর মেয়র আবুল খায়ের পাটোয়ারী জানান, শ্রমিকদের সাথে কোন খারাপ আচরন করিনি। ত্রান তো আমি আগেই বিতরন করে ফেলেছি। আর শ্রমিকরা আমার কাছে নগদ টাকা সহায়তা চায়। নগদ টাকা আমি কোথায় থেকে দিবো। এই দুর্যোগে নগদ টাকার কোন বরাদ্দ আমার কাছে আসেনি।

রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান জানান, করোনা ভাইরাসের এই দুঃসময়ে কোন জনপ্রতিনিধি যদি শ্রমিকদের সাথে যদি খারাপ আচরন করে তা হবে আমাদের জন্য দুঃখ ও লজ্জাজনক। এগুলো করা ঠিক হয়নি। আমি সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের স্ব স্ব এলাকার শ্রমিকদের তালিকা করে ত্রান সহায়তা করার জন্য বলে দিয়েছি।