ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে শতকোটি টাকার জমি উদ্ধারের পর প্রকৌশলী বদলি লক্ষ্মীপুরে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল
  • রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আমেরিকা যেতে না পারার দুঃখ ভুলে গেছেন ফারুক

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৭ মে ২০২৪  

২০১৪ সালে ২৬ লাখ টাকায় আমেরিকায় যেতে ব্যর্থ হন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের ওমর ফারুক। পুরো টাকা হারিয়ে হয়ে যান ঋণে জর্জরিত। ফের কুয়েতে যেতে ঋণ করে সাত লাখ টাকা জমা দেন তিনি। সেবারও ভাগ্য সহায় হয়নি। ৩৩ লাখ টাকার এক টাকাও ফেরত পাননি। বাবার পতিত জমিতে দুটি দুগ্ধজাত গরু দিয়ে ভাগ্য বদলের চেষ্টা শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে ২৬টি গরু। আর খামারের দুধ দিয়ে তৈরি দই, মিষ্টি, রসমালাই, ঘি ও মাখন বিক্রি করে সাড়া ফেলেছেন। পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাসে হয়ে উঠেছেন স্বাবলম্বী ও সফল উদ্যোক্তা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সহায়তায় বাড়তি দুধ থেকে দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদন করে নোয়াখালী জেলায় ছড়িয়ে দিচ্ছেন তিনি। 

চর হাজারী ইউনিয়নে খুলেছেন দই-মিষ্টির দোকান। সময় দেন সেখানেও। প্রবা ফটো

কোম্পানীগঞ্জের চরপার্বতী ইউনিয়নের মান কাজি ব্যাপারী বাড়ির আবুল হোসেনের ছেলে ওমর ফারুক। নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন। তার খামার চরপার্বতী ইউনিয়নে হলেও দুধ থেকে দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রি করেন চর হাজারী ইউনিয়নের হাজারী হাট সড়কের ফারুক সুইটস এন্ড দধি হাউজ নামের প্রতিষ্ঠানে।

ওমর ফারুক বলেন, ২০১৪ সালে আমি ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমেরিকা যেতে চেয়েছি। ঋণ ও সম্পত্তি বিক্রি করে ২৬ লাখ টাকা সেবার খুইয়েছি। তারপর কুয়েতে যাওয়ার জন্য সাত লাখ টাকা দিলাম। সেটাও মার খেল। নিজেকে স্বাবলম্বী করার জন্য এলাকায় একটা মাছের ঘের দিলাম। মাছ চুরি হয়ে গেল। ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েছিলাম। এরপর এক লাখ টাকা ঋণ নিয়ে দুটা দুধের গরু কিনলাম। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে খামারে ২৬টা গরু আছে। যার দাম প্রায় ৩০-৩২ লাখ টাকা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সহায়তায় বাড়তি দুধ থেকে দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদন করছি। সাতজন কর্মচারীর বেতন দিয়ে মাসে আমার এক লাখ টাকা আয় হয়। 

ওমর ফারুক আরও বলেন, দৈনিক আমার প্রায় ১৫০ লিটার দুধ হয়। দুধ বিক্রি করতে পারতাম না। সরকারি সহায়তা পেয়ে দুধ ও পার্শ্ববর্তী খামারিদের দুধ থেকে আমি দুগ্ধজাত পণ্যÑ দই, মিষ্টি, রসমালাই ও ঘি তৈরি করছি। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আমার দোকানে আসে। 

ফারুকের দোকানের দুগ্ধজাত পণ্য জনপ্রিয়তা পেয়েছে জেলার ভোক্তাদের কাছে। প্রবা ফটো

ওমর ফারুকের বাবা আবুল হোসেন বলেন, আমার ছেলে শিক্ষিত হয়ে খামার করছে আমি তাতে খুশি। আমার কিছুই ছিল না। সে খামার দিয়ে সফলতা পেয়েছে। সরকারি সহায়তায় সে ভালো করছে। বাবা হিসেবে আমি গর্বিত। 

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তাসলিমা ফেরদৌসী বলেন, ওমর ফারুককে আমরা ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম-২ এর প্রকল্প অনুযায়ী সহযোগিতা করেছি। ফারুক কোম্পানীগঞ্জে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রি করছে। তাকে দেখে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হচ্ছে। 

নোয়াখালী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, এমন ফারুক নোয়াখালীসহ সারা বাংলাদেশে আছে। আমাদের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ প্রাণিসম্পদে আগ্রহী হচ্ছে। এভাবে আমরা প্রাণিসম্পদে স্বনির্ভর হব।