ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে শতকোটি টাকার জমি উদ্ধারের পর প্রকৌশলী বদলি লক্ষ্মীপুরে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল
  • রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

উৎপাদিত দুধ নিয়ে বিপাকে হাতিয়ার দুগ্ধ খামারীরা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১ মে ২০২০  

লকডাউনে মিষ্টির দোকান বন্ধ থাকা, দধিতে করোনা সংক্রামন হওয়ার ভয় ও সকালে হাটবাজার বন্ধ থাকায় প্রতিদিনের উৎপাদিত দুধ নিয়ে বিপাকে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার দুগ্ধ খামারীরা। এতে দৈনন্দিন খামারের ব্যয় নির্বাহ করে দিন শেষে বিশাল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে খামারীদের।

হাতিয়া পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের খামারী নুরুজ্জামান (৪৫) জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ন্যায় হাতিয়াতে ছোট বড় প্রায় ১৫ টি দুগ্ধ খামার রয়েছে। যেখানে এক একজন খামারী দেশি বিদেশী গরু মহিষ পালন করে দুধ আহরন করে থাকে। বিদেশী গরুর মালিক খামারীরা গড়ে প্রতিদিন ১ শত থেকে দেড়শ লিটার দুধ আহরন করে । যা স্থানীয় পর্যায়ে বিক্রি করার পর অধিকাংশই বড় বড় মিষ্টির দোকানে বিক্রি করতে হয়। বর্তমানে করোনাভাইরাস রোধে প্রশাসন লকডাউন করে দেওয়ায় সকল মিষ্টির দোকান বন্ধ রয়েছে। এতে অনেক কম মূল্যে স্থানীয় ভাবে দুধ বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতি লিটার দুধ বিক্রি করা হতো ৭০ টাকা, বর্তমানে সেই দুধ বিক্রি করা হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। তাও আবার ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। যার ফলে ঋনের কিস্তি, গো খাদ্য, শ্রমিকের মজুরি ও খামারের অন্যান্য খরচ মিঠিয়ে প্রতিদিনিই আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে খামারীদের।

দুগ্ধখামারে কর্মরত শ্রমিক জসিম উদ্দিন (৩৫)জানান, দুধের বড় বাজার মিষ্টির দোকান গুলো বন্ধ থাকায় স্থানীয়ভাবে বাড়ী বাড়ী গিয়ে অনেক কম মূল্যে দুধ বিক্রি করতে হচ্ছে আমাদের। এরপরেও গ্রামে একটি গুজব আছে যে দুধেও করোনা ছড়াই তাই কেউ কেউ স্বল্প মূল্যে দেওয়ার পর ও তা ক্রয় করছেনা। অন্যদিকে সূযোগ বুঝে প্রতিদিন সকালে মধ্যভিত্ত শ্রেনীর একটি গ্রুপ খামারে ভিড় করছে দুধ ক্রয় করার জন্য।

এদিকে চরকিং ধনুমিয়া গ্রামে কর্মরত শ্রমিক শাহজাহান (৩৬) জানান, দুধ উৎপাদন ও খরচে মিল না থাকায় মালিক পক্ষ প্রতিদিনের মজুরি দিতে হিমশিম খাচ্ছে। এতে আমাদের পরিবার ব্যায় নির্বাহ করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রেজাউল করিম জানান, লকডাউনের কারনে সকল ব্যবসায় সমস্যা হচ্ছে। তবে হাতিয়ার দুগ্ধ খামারীদের আর্থিক ভাবে জোগান দেওয়ার জন্য আমারা একট সিদ্বান্ত নিয়েছি। কিছু দিনের মধ্যে দুস্থ্য অসহায় পরিবারের মধ্যে যে শিশু খাদ্য বিতরন করবো তার জন্য স্থানীয় খামারীদের কাছ থেকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমান দুধ আমারা ন্যায্য মূল্যে ক্রয় করবো।