ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে শতকোটি টাকার জমি উদ্ধারের পর প্রকৌশলী বদলি লক্ষ্মীপুরে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল
  • সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

হাতিয়ায় ৪টি আধুনিক ঘুর্নিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র উদ্বোধন

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০১৯  

ভবনের ছাদে হেলিপেড, বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা, ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ, পানি শোধনাগার, জরুরী মেডিকেল রুম, গবাদি পশু ও প্রতিবন্ধীদের ভিন্ন ভিন্ন থাকার জায়গা সহ আধুনিক সকল সুবিধা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে হাতিয়ায় ৬টি আশ্রয় কেন্দ্র। প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হলেও এসব আশ্রয় কেন্দ্রেকে কেন্দ্র করে দ্বীপের মানুষের উচ্ছ্বাস অনেক বেড়ে গেছে।

জানাযায়, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে, পায়েল খায়ের গ্রুপের তত্ত্বাবধানে হাতিয়া দ্বীপে বিভিন্ন অঞ্চলে এই ৬টি আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ এ কাজের তদারকি করেন। মোজবুত কাঠামো, ভূমিকম্প সহনীয় প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি করতে ব্যয় হয় প্রায় ৬ কোটি টাকা।বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউসের তদবিরে এসব আশ্রয়কেন্দ্র নির্মান করা হয়। সম্প্রতি উপজেলা পরিষদ হলরুমে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের প্রধানের হাতে চাবি তুলে দেওয়ার মাধ্যমে এসব আশ্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়।

শুধু আধুনিক নয় এসব ভবনে দুর্যোগ মুহুর্তে বিশুদ্ধ পানির জন্য রয়েছে পানি শোধনাগার, মহা বিপদ সংকেত এর সময় ভবনে থাকা সতর্ক সাইরেন এমনিতেই জানান দিবে। এছাড়া প্রতিবন্ধী রুম, মহিলা রুম, পুরুষ রুম ভিন্ন ভিন্ন কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভবনের ২য় তলায় বিশাল জায়গায় গবাদি পশু আশ্রয় স্থল করা হয়েছে।

রেডক্রস চরঈশ্বর ইউনিট প্রধান আব্দুস সহিদ জানান, স্বাধীনতার পর অনেক আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি হলেও দুর্বল অবকাঠামো, পৃথক আবাস রুম না থাকা ও শৌছাগার ভালো না থাকায় মানুষ দুর্যোগ মুহুর্তে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে চায় না। বর্তমানে যে চারটি আধুনিক সুবিধা নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি হয়েছে তাতে মানুষ আশ্রয় নিয়ে অনেক আরাম পাবে।

সরজমিনে দেখাযায় হাতিয়ায় তৈরি করা নতুন এসব আশ্রয়কেন্দ্রে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান চলছে। সাগরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: ইউছুফ জানান, নতুন এসব আশ্রয় কেন্দ্রে মনোরম পরিবেশে পড়ালেখার ভালো পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে । প্রতিটি শ্রেণী কক্ষে বৈদ্যুতিক পাখা,পরিপাটি শ্রেণী কক্ষ ছাত্র/ছাত্রী, শিক্ষক সবার মধ্যে পড়ালেখার প্রতি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস জানান, বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী।

তারই ধারাবাহিকতায় দ্বীপের ৬ লক্ষ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা বিবেচনায় নতুন আরো আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যা পর্যায়ক্রমে নির্মাণ করা হবে।এ ব্যপারে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকত নুর এ আলম জানান নতুন আধুনিক এসব আশ্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে দূর্যোগ মোকাবিলায় আরো একদাপ এগিয়ে গেল হাতিয়াবাসী। স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এগুলো সঠিক রক্ষনাবেক্ষনের। আমি যতটুকু জানি ইতিমধ্যে আরো কিছু নতুন আশ্রয়কেন্দ্র নির্মানের দরপত্র আহবান করা হয়েছে।