ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে শতকোটি টাকার জমি উদ্ধারের পর প্রকৌশলী বদলি লক্ষ্মীপুরে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল
  • সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

করোনা আতঙ্ক: কমছে খাদ্য বিলাসিতা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২০  

সারাবিশ্ব জুড়েই এখন চলছে করোনা আতঙ্ক। সংক্রমণ ঠেকাতে করা হচ্ছে লকডাউন। বাংলাদেশেও যেকোনো সময় লকডাউন করা হতে পারে, বন্ধ হয়ে যেতে পারে সবকিছু। দীর্ঘদিন অবস্থান করতে হতে পারে একই বাসায়, এরকম আতঙ্কে অনেকেই খাবার মজুদ করেছেন। তবে খাবার মজুদ করলেও সাধারণ মানুষ কমিয়ে দিয়েছে খাদ্য বিলাসিতা। 
ডাইনিং টেবিলে খাবারের আধিক্যের সীমারেখা টেনেছে মধ্যবিত্তরা। খাবার অপচয় না করার দিকে মনোযোগ বেড়েছে অনেকেরই। সামনে কি হয়, খাদ্য সঙ্কট দেখা দেবে কিনা, অর্থ থাকলেও খাবার পাওয়া যাবে কিনা এরকম নানা আশঙ্কা থেকে সাধারণ মানুষ নিজেরাই অভ্যাস গড়ে তুলছেন বিলাসিতা না করার। 

শুধু বাংলাদেশেই নয় একই আতঙ্ক এখন সারাবিশ্বে। খাদ্য মজুদের পাশাপাশি অপচয়ের বিলাসিতা কমিয়ে বাঁচানোর পথও বেছে নিচ্ছেন তারা। প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খাদ্য সঙ্কট দেখা দিতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন তারাও। তাই অতিরিক্ত খাবার বর্জনের পাশাপাশি খাদ্য অপচয় না করার বিষয়ে এখন তারা অধিক মনোযোগী। 

কানাডা প্রবাসী সাদিয়া আহমেদ জানান, সম্প্রতি করোনার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে তার কর্মস্থল। পুরো কানাডা জুড়ে এখন নিস্তব্ধতা। সৃষ্টি হয়েছে ভূতুড়ে পরিবেশ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না। তিন সন্তান ও স্বামী নিয়ে তিনি নিজেও এখন ঘরবন্দী। জানালেন সপ্তাহখানেকের খাবার মজুদ করেছেন তারা। খাদ্য নিয়ে কানাডিয়ান সরকার তাদেরকে আশ্বস্ত করলেও এক ধরনের শঙ্কায় আছেন তারাও। লকডাউনের আগে খাদ্য সংগ্রহ করতে দীর্ঘ সময় লাইন ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছে তাদের। খাদ্য মজুদ করলেও খাবার অপচয়ের বিষয়ে সতর্ক পরিবারের সবাই। এমনকি সন্তানদেরকেও অতিরিক্ত খাবার গ্রহণে নিরুৎসাহিত করছেন বলেও জানান তিনি। 

আমিনুল হায়দার চৌধুরী নামে লন্ডন প্রবাসী এক বাংলাদেশি জানান, যুক্তরাজ্যে এখনো খাবারের সঙ্কট তৈরি না হলেও খাদ্য সঙ্কটের আশঙ্কা রয়েছে। এখানে বসবাসরত বাংলাদেশিসহ অনেকেই খাবার মজুদ করে রেখেছে। জানালেন, পূর্বের তুলনায় খাবারের বাহুল্যতা পরিত্যাগ করছেন অনেকেই।

একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করেন ধানমন্ডিতে বসবাসরত আতিকুর রহমান। দুই সন্তান পড়াশোনা করে রাজধানীর ব্যয়বহুল একটি স্কুলে। তার স্ত্রী আফরোজা রহমান জানান, মাসখানেকের খাবার মজুদ করেছেন তারা। করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, এর প্রভাবে বাজার পরিস্থিতি কি হবে তা অনিশ্চিত। 

তাই মজুদ খাবার এক প্রকার রেশনিং করছেন তারা। দুপুর কিংবা রাতের খাবারে আগে অনেক বৈচিত্র থাকলেও এখন তা কমিয়ে এনেছেন। সন্তানদেরকেও এ বিষয়ে সতর্ক ও সচেতন করছেন বলে জানান তিনি। 

রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে দুই সন্তান নিয়ে বসবাসকারী জুবায়ের মাহমুদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা চারজন। নিজেকে নিম্ন মধ্যবিত্ত বলে দাবি করেন জুবায়ের। তিনি জানান, করোনা আতঙ্কে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় আরো ১৫দিনের অতিরিক্ত বাজার করেছেন। তবে খাবারের বিলাসিতা কমিয়েছেন গত সপ্তাহখানেক ধরে। 

তিনি আরো বলেন, খাবারসহ সব বিষয়েই সন্তানদের বাড়তি আবদার ছেটে ফেলা হয়েছে। সীমিত আয়ের এই মানুষটি জানান, যা বেতন পাই তা দিয়ে খুব হিসাব করে সংসার চালাতে হয়। করোনার কারণে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। তারপরও অতিরিক্ত কিছু বাজার করে রেখেছি। আগামী দিনগুলোতে পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে তা অনিশ্চিত। বেসরকারি চাকরি করায় জীবিকার বিষয়টিও অনিশ্চিত। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে খাবারের বিলাসিতা কম না করেও কোন উপায় নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।