ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে শতকোটি টাকার জমি উদ্ধারের পর প্রকৌশলী বদলি লক্ষ্মীপুরে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল
  • সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

৩৫০০ মোবাইলের মালিক এক ব্যক্তি

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০১৯  

স্মার্টফোন ব্যবহার করা ছাড়া আমাদের নিত্যদিন কি কল্পনা করা যায়? এক সময় প্রয়োজনের তাগিদে একাধিক স্মার্টফোন ব্যবহার করা হত। তবে একাধিক সিমযুক্ত স্মার্টফোন বাজারে আসায় এখন একটি ফোনেই হয়ে যায়। এখন নিত্য দিনের সব প্রয়োজনীয়তা একটি স্মার্টফোনেই মেটানো সম্ভব।
তবে এই সময়ে কোনো ব্যক্তির কাছে যদি ১২৩১টি ভিন্ন ভিন্ন মডেলের সাড়ে তিন হাজার মোবাইল ফোনের সংগ্রহ থাকে, তাহলে সেটা অবাক করার মতো বিষয় বটেই। আর এই অবাক করার মতো কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন স্লোভাকিয়ার নাগরিক স্টিফেন পোলগারি।

জানা গেছে, স্লোভাকিয়ার ছোট্ট শহর দোবসিনায় বাস করেন ২৬ বছর বয়সি পোলগারি। ছোটবেলা থেকেই সে ছিল টেক হেডেড। তবে বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্যের মধ্যে মোবাইল ফোনের প্রতি দুর্বলতা একটু বেশিই ছিল। ১৫ বছর বয়স থেকে সে নিয়মিত ইন্টারনেটে নতুন নতুন মোবাইল ফোনের ইউজার রিভিউ (ব্যবহারকারীদের মতামত) দেখতো। এই দেখা থেকেই তার মনের মধ্যে পুরাতন মোবাইল ফোন সংগ্রহের শখ জাগতে শুরু করে। কিছু দিনের চেষ্টায় সে নকিয়া, অ্যালকাটেল, সাজেম, এরিকসনের মতো ব্র্যান্ডের বেশ কিছু পুরাতন ফোন সংগ্রহ করে ফেলে।

এর কিছুদিন বাদে তার সামনে আসে এক দারুণ সুযোগ। তারই মতো এক শখের মোবাইল ফোন সংগ্রহকারী তার ১ হাজার ফোনের সংগ্রহশালাটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন। সুযোগটি হাত ছাড়া করেননি পোলগারি। অল্প কয়েক ইউরো খরচ করেই কিনে নেন ১ হাজার মোবাইল ফোন।

কিন্তু এই সংগ্রহেও যেন মন ভরছিল না পোলগারির। কারণ তত দিনে তার শখ যে নেশায় পরিণত হয়েছে। এছাড়া আরো কিছু ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন তখনো সংগ্রহ করা হয়ে ওঠেনি। তিনি দ্বিগুণ উৎসাহে কাজ শুরু করেন।

এভাবে গত দশ বছরের প্রচেষ্টায় তিনি গড়ে তুলেছেন সাড়ে তিন হাজার মোবাইল ফোনের এক বিশাল সংগ্রহশালা। সারা বিশ্ব সাড়া জাগানো সকল ফোনই আছে পোলগিরির এই সংগ্রহশালায়। বর্তমানে তার সংগ্রহে রয়েছে ১৪টি ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন।  

নিজের এই ভিন্নধর্মী শখ সম্পর্কে পোলগারি বলেন, ‘গত দুই দশকে মোবাইল প্রযুক্তি কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে সে বিষয়ে আমার ব্যাপক আগ্রহ ছিল। এ আগ্রহ থেকেই আমার শখের এই সংগ্রহশালাটি গড়ে তুলেছি।’

তবে পোলগারি নিজের এই বিশাল সংগ্রহশালাটি শুধু নিজের জন্য সীমাবদ্ধ রাখতে চান না। তিনি তা সবার জন্ম উন্মুক্ত করে দিতে একটি মোবাইল ফোন জাদুঘর গড়ে তুলতে চান। এরই মধ্যে জাদুঘর তৈরির জন্য সনদপত্র পেয়ে গেছেন। 

পোলগারি এই জাদুঘর সম্পর্কে বলেন, আমার এই জাদুঘর থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানতে পারবে, কীভাবে গত কয়েক দশকে মোবাইল অ্যানালগ থেকে বহুমুখী ব্যবহার সুবিধা সম্পন্ন স্মার্টফোনে রূপান্তরিত হয়েছে।