ব্রেকিং:
সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে রাইসির হেলিকপ্টার, কোনো আরোহী বেঁচে নেই রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের ছবি-ভিডিও প্রকাশ্যে আজ থেকে ৬৫ দিন সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ নোয়াখালীতে শতকোটি টাকার জমি উদ্ধারের পর প্রকৌশলী বদলি লক্ষ্মীপুরে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার
  • সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দেড় যুগ ধরে প্রতিটি দিন ২১ আগস্ট মনে হয়

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০২২  

গ্রেনেড হামলায় মৃত ভেবে রাশেদা আক্তারকে মরদেহের সঙ্গে রাখা হয়েছিল। নিহত ব্যক্তিদের আনা হয়েছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। একজনের সন্দেহ হওয়ায় রাশেদাকে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে সেই চিকিৎসা যে আর কোনো দিন শেষ হবে না, সেটি তিনি জানতেন না। তখন থেকে গত ১৮ বছরে একবারের জন্যও স্বাভাবিকভাবে ঘুমাতে পারেননি রাশেদা।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন রাশেদা। তিনি বলেন, ‘প্রথম বিস্ফোরিত গ্রেনেড আমার আর আইভি আন্টির পায়ে লেগেছিল। ঢাকা মেডিকেলে মরদেহের ভেতর আমাকে প্রথম জীবিত আবিষ্কার করেছিলেন চায়না নামের একজন। এরপর সাবের ভাইয়ের গাড়িতে করে কয়েকটি হাসপাতালে নেওয়া হয়।’

রাশেদা বলেন, ‘গত ১৮ বছরে এই হাসপাতালের জীবন আর শেষ হয়নি। মৃত্যু ছাড়া আর শেষ হবে না। শরীরের যন্ত্রণায় দেড় যুগ ধরে প্রতিটি দিনই আমার কাছে ২১ আগস্ট মনে হয়। প্রতিদিন মৃত্যু দেখি নিজের।’

রাশেদা বলছিলেন, ‘শরীরভর্তি শত শত স্প্লিন্টারের যন্ত্রণার কথা কী বলব। ব্যথা শুরু হলে মাথা ঠিক থাকে না। ব্যথা সহ্য করতে না পেরে জিনিসপত্র ভাঙচুর করি। গাড়ির হর্নের শব্দে কান থেকে রক্ত বের হয়। হামলায় আমার ডান কানের পর্দা ফেটেছে, ১৮টি দাঁত পড়ে গেছে। দুই পা কয়েক টুকরা হয়েছিল। ঘুমের ওষুধ না দিলে ঘুম আসে না।’

গত ১৮ বছরে ১৭ বার অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে রাশেদা আক্তারকে। কখনো কানের পর্দার জন্য, কখনো পায়ে কয়েক টুকরা রড বসাতে। সেই যন্ত্রণা শেষ হওয়ার আগেই হয়তো শরীরের চামড়ার ওপরের দিকে থাকা স্প্লিন্টার বের করার চেষ্টা চলছে। ভেতরের দিকে থাকা স্প্লিন্টার মৃত্যু পর্যন্ত বয়ে বেড়াতে হবে। আরও কয়েকবার অস্ত্রোপচার করা লাগতে পারে। স্প্লিন্টারের কারণে শরীর ফুলে যায়, চুলকায়। গরমে ঘা হয়। সেই যন্ত্রণা সহ্য হয় না। সামান্য আরামের আশায় শীতে গরম পানিতে পা দিয়ে বসে থাকেন।

এত যন্ত্রণার মধ্যেও রাশেদা ২১ আগস্টের গ্রেনেড বিস্ফোরণের বিকট শব্দ কখনো ভুলতে পারেননি। ঘুমের মধ্যেও সেই শব্দে আতঙ্কে জেগে ওঠেন, দেখেন চারপাশ অন্ধকার। হামলার সময় মাত্র ২৭ বছর বয়সের রাশেদার দুই মেয়েও ছিল ছোট। দেড় যুগে অনেক কিছু বদলেছে, শুধু সেই আতঙ্কের অনুভব এতটুকু বদলায়নি।

গ্রেনেড হামলায় জ্ঞান হারানোর বেশ কিছুক্ষণ পর মিনিট পাঁচেকের জন্য জ্ঞান ফিরেছিল রাশেদার। সবই অস্পষ্ট, তবু ঝাপসা মনে আছে, চারপাশে তখন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল মানুষের দেহ আর রক্ত।

সামান্য দূরে নিষ্পলক বসে আছেন আইভি রহমান। হামলার আগমুহূর্তে তাঁরা দুজন পাশাপাশি দাঁড়ানো ছিলেন। বুঝলেন, গ্রেনেডের আঘাতে তিনি অনেকটা দূরে ছিটকে গেছেন। এরপর আবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি।