ব্রেকিং:
আজ থেকে ৬৫ দিন সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ নোয়াখালীতে শতকোটি টাকার জমি উদ্ধারের পর প্রকৌশলী বদলি লক্ষ্মীপুরে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
  • সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

করোনা দুর্যোগে কেমন আছেন মফস্বল সাংবাদিকরা?

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২ মে ২০২০  

গণমাধ্যমকে বলা হয় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। বর্তমানে প্রিন্ট মিডিয়ার পাশাপাশি টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকতায় বিপ্লব ঘটে যাওয়ায় এই স্তম্ভ এখন আরো পোক্ত। করোনায় ক্লান্তিকালে মফস্বলে জাতীয় পত্রিকা আসা পুরো বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয় পত্রিকাগুলোও বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। এখন সবাই তাকিয়ে আছে টেলিভিশন ও অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোর দিকে।

করোনা ভাইরাস নিয়ে গোটা বিশ্ব টালমাটাল। বাংলাদেশেও করোনা আক্রমন করেছে। মরণঘাতী করোনা ভাইরাস নিয়ে সব মহলে উৎকণ্ঠা, শঙ্কা। সবার মধ্যে ভীতি এই বুঝি করোনায় আক্রান্ত হলাম। বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনা পৃথিবীকে এমন ভাবে নাড়িয়ে দিচ্ছে; করোনাকাল শেষ হলে পৃথিবী নতুন ভাবে পথচলা শুরু করবে। এ সময় প্রয়োজন দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা। কিন্তু ঢাকার সাংবাদিকদেরতো বেতন বন্ধ হয়নি। জীবনের ঝূঁকি নিয়ে তারাও প্রতিদিন সংবাদ সংগ্রহ করে থাকেন। মফস্বল সাংবাদিকরাও এখনো সংবাদ সংগ্রহে ছুটে চলেন। অনেকে আবার বাসায় বসে থেকেই নিউজ করে থাকেন। করোনার ক্লান্তিকালে মফস্বল সাংবাদিকরা অভাবে দিনপার করছেন বলে একাধিক সাংবাদিক সূত্রে জানা যায়। পত্রিকা হাউজগুলো থেকে অনেকের বেতন আটকে আছে। তাদের এ দূর্দশায় পাশে এসে দাঁড়ায় নাই কেউ।

খেয়াল করে দেখবেন অনেক দোকানে একটা নোটিশ দেখা যায়, ‘বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না’। আসলে মফস্বল সাংবাদিকদেরও অবস্থা হয়েছে তেমন। বেশিরভাগ গণমাধ্যমে মফস্বল সাংবাদিকরা যখন বেতন-ভাতার বিষয়টি তোলেন তখন ওই প্রতিষ্ঠান থেকে তেমনি একটা সুর ভেসে আসে ‘বেতন চাহিয়া লজ্জা পাবেন না’। তবুও থেমে নেই মফস্বলের সাংবাদিকরা। আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নিজেদের দায়িত্ব পালনে।

সরকারের পক্ষ থেকে চিকিৎসক, নার্সসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর জন্য বিমা ও প্রণোদনার কথা জানালেও ঝুঁকির মধ্যে তথ্যসেবা দিয়ে যাওয়া গণমাধ্যমকর্মীদের কেবল ধন্যবাদ দেয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে রাষ্ট্রের দেওয়া প্রণোদনা না পাওয়ায় সাংবাদিক মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ ও ক্ষোভ ঝাড়ছে। বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করে আন্দোলনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে। আমার প্রত্যাশা হয়তো এই আন্দোলনে সাংবাদিক মহল বিজয়ী হবেন এবং প্রণোদনাও পাবেন। কিন্তু শঙ্কার জায়গা হলো যদি প্রণোদনা পেয়েও থাকেন তাহলে মফস্বলের সাংবাদিকরাও কি এর আওতায় আসবে?

দলকানা অনেকেই হয়তো আমার এই শঙ্কার কথা শুনে বলে উঠবেন কেন প্রণোদনার আওতায় আসবে না মফস্বল সাংবাদিকরা? সেইসব দলকানাদের কাছে আমার প্রশ্ন সরকারি তথ্য অনুযায়ী দেশের প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি দৈনিক পত্রিকা অষ্টম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করে থাকে। এই ২৫/৩০টা পত্রিকার কতজন মফস্বল সাংবাদিক ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী বেতন পান? খোঁজ নিয়ে দেখবেন বেতনতো দূরের কথা, বিভিন্ন অফিসে ঘুরে যে বিজ্ঞাপন তারা সংগ্রহ করেন তার কমিশনটাও ঠিকঠাক পান না। খোঁজ নিয়েছেন কখনো, কেমন আছে মফস্বলের সাংবাদিকরা?

সকল সুযোগ সুবিধার বেলায় এই মফস্বল সাংবাদিকরা সব থেকে বেশি বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকেন। প্রতিনিয়ত মফস্বলের সাংবাদিকরা নির্যতনের শিকার হন, কিন্তু সঠিক বিচার পান না। খেয়ে না খেয়ে মানুষকে তথ্য সেবা দিয়ে আসলেও তাদের তথ্য নেয়ার মত সময় কারো থাকে না। তাই সাংবাদিক নেতাদের কাছে বিনিত অনুরোধ রাষ্ট্র ও অন্য পেশার মানুষরা এদের কষ্ট না বুঝলেও আপনারা নিশ্চয়ই তাদের কষ্ট বুঝবেন। শুধু প্রণোদনাই নয় মফস্বল সাংবাদিকদের সকল সুযোগ সুবিধার বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।

মুক্তিযুদ্ধে যেমন বহু সাংবাদিকের অবদান রয়েছে তেমনি স্বাধীনতার পরেও রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুখে-দুঃখে এই পেশার মানুষগুলোর অনেক অবদান রয়েছে।

তাই বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনার কাছে অনুরোধ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই দেশের গরীব মানুষদের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন, আপনিও তাই করে যাচ্ছেন। আপনি হয়তো জানেন না এই সাংবাদিকতা পেশায় কত মানুষ আজ অসহায়। মাসের পর মাস বেতন বকেয়া, কথায় কথায় চাকরি হারিয়ে বহু সাংবাদিক এখন দিশেহারা। তাই আশা করছি আপনি আমাদের দিকে নজর দেবেন, করোনাভাইরাসের এই মাহামারিতে সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়াবেন। মা যেমন সন্তান বিপদে আগলে রাখে তেমনি করে।