ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে শতকোটি টাকার জমি উদ্ধারের পর প্রকৌশলী বদলি লক্ষ্মীপুরে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল
  • সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ফেনী-নোয়াখালী চার লেন প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে ৯ কারণে

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০১৯  

৯ কারণে ফেনী-নোয়াখালী চার লেন প্রকল্পের ব্যয় ৫৩২ কোটি টাকা বেড়েছে। বাড়ানো হয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়ও। আরসিসি ড্রেন নির্মাণ, ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ, ইউটিলিটি শিফটিং, সার্ফেসিং, ভূমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ, পিসি গার্ডার এবং আরসিসি কালভার্ট নির্মাণে এই ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের ২৯ তারিখ প্রকল্প বাস্তবায়ন সভায় এই ব্যয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।ফেনী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হালিমুর রহমান এ তথ্য জানান।

হালিমুর রহমান বলেন, ‘এর আগে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯৬২ কোটি টাকা। নতুন করে ব্যয় বাড়ানোর পর এখন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন খরচ হবে ১ হাজার ৪৮৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। প্রথমে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময়কাল ছিল ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত। এখন সময় এক বছর বাড়িয়ে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত করা হচ্ছে।প্রকল্প সংশোধনের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, প্রকল্পের আওতায় ধর্মীয় উপাসনালয় পুনর্নির্মাণ, কবরস্থান-শ্মশান স্থানান্তর, বাস-বে নির্মাণ এবং ইউড্রেন নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ভূমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে মূল অনুমোদিত ডিপিপিতে ভূমি অধিগ্রহণ ব্যয় মৌজা মূল্যের ১ দশমিক ৫ গুণ হারে প্রাক্কলন করা হয়। এছাড়া অবকাঠামো ও গাছপালা ফসলের ক্ষতিপূরণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ খাতে অতিরিক্ত ৪৫৮ কোটি ৯৮ লাখ ৮৩ হাজার টাকা ব্যয় বেড়েছে।

প্রকল্পটি প্রক্রিয়াকরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য শামীমা নার্গিস এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নোয়াখালী জেলার সোনাপুর ও বেগমগঞ্জ থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লাসহ অন্যান্য জেলায় নিরাপদ ও যানজটমুক্ত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হবে। সেইসঙ্গে প্রকল্প এলাকার জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে। তাই প্রকল্পটির সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদনযোগ্য।’

শামীমা নার্গিস আরও বলেন, ‘সংশোধনী প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ফেনী-নোয়াখালী জাতীয় মহাসড়কের বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা থেকে সোনাপুর পর্যন্ত সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ১৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। এর মধ্যে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা থেকে মাইজদি পৌরসভা পর্যন্ত ৯ দশমিক ছয় কিলোমিটার সড়কের উভয়পাশে ধীর গতির যানবাহনের জন্য পৃথক লেনসহ চার লেন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া মাইজদি পৌরবাজার থেকে সোনাপুর পর্যন্ত ৪ দশমিক ৩২ কিলোমিটার সড়কের উভয়পাশের এক সিটার প্রস্থ হার্ড সোল্ডারসহ চার লেনে উন্নয়ন করা হবে।’

পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, মূল অনুমোদিত ডিপিপিতে চার লেনবিশিষ্ট আরসিসি ব্রিজ নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু চার লেনবিশিষ্ট ব্রিজ নির্মাণের জন্য ডাইভারসন সড়ক নির্মাণের জন্য ভূমির সংস্থান না থাকায় বিদ্যমান দুই লেনবিশিষ্ট আরসিসি ব্রিজকে বিকল্প সড়ক হিসাবে ব্যবহার করে ডিজাইন ইউনিটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুই লেনবিশিষ্ট একটি পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ করার পর পুরাতন ব্রিজের স্থলে আর একটি দুই লেন পিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করা। মূল ডিপিপিতে আরসিসি ব্রিজ খাতে ৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকার স্থলে ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৯৩ হাজার টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে।

ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ও সড়ক পারাপারের জন্য মূল ডিপিপিতে ৪টি ফুটওভার ব্রিজের কথা বলা আছে। কিন্তু এ মহাসড়কে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও হাট-বাজার বিদ্যমান থাকায় সড়ক নিরাপত্তা বিধানে সড়ক পারাপারে সুবিধার জন্য অতিরিক্ত দুটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা জরুরি। মূল ডিপিপিতে ৪টি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণে ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারিত ছিল, সংশোধিত ডিপিপিতে ৬টি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণে ৭ কোটি ৬৯ লাখ ৭৯ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া খোলা আরসিসি ড্রেনের ওপর স্ল্যাব নির্মাণ জরুরি হওয়ায় নতুন অঙ্গ হিসেবে প্রস্তাবিত সংশোধিত ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ খাতে ৮ কোটি ১২ লাখ ১৮ হাজার টাকার ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি নিচু ভূমি ও ডোবার কাছের সড়ক প্রশস্তকরণের জন্য ব্যয় বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে ডিপিপিতে। এ খাতে ৭৯ লাখ ২২ হাজার টাকার পরিবর্তে ১ কোটি ৮৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে।