ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে শতকোটি টাকার জমি উদ্ধারের পর প্রকৌশলী বদলি লক্ষ্মীপুরে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল
  • সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

হাউজিং এস্টেট প্লট বরাদ্দে অনিয়ম

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০১৯  

নোয়াখালী হাউজিং এস্টেটে আবাসিক প্লট বরাদ্দের লটারিতে ২৭১টি প্লটের মধ্যে ১১৪টি প্লটের লটারি হলেও বাকি ১৫৭টি প্লট অনিয়ম-দুর্নীতি ও জালিয়াতির মাধ্যমে ভাগাভাগির অভিযোগ উঠেছে। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ-এর অধীনে মাইজদী, নোয়াখালী হাউজিং এস্টেটে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের লোকদের জন্য আবাসিক প্লট বরাদ্দের ২০১০ সনের আবেদন ও ১৮ই নভেম্বর ২০১৪ইং তারিখে অনুষ্ঠিত লটারির অনিয়ম ও দুর্নীতির এবং জালিয়াতির বিরুদ্ধে অভিযোগ।

২৭১টি প্লটের মধ্যে ১১৪টি প্লটের লটারি এবং ১৫৭টি ভাগাভাগি হয়। ২০১০ সালে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ-এর অধীনে মাইজদী, নোয়াখালী হাউজিং এস্টেটে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের লোকদের জন্য আবাসিক প্লট বরাদ্ধের প্রসপেক্টাস ও আবেদনপত্র প্রকাশ করে। প্রকাশিত প্রসপেক্টাস ও আবেদনপত্রে প্রকাশ করে ৭.১৫ কাঠার ১টি, ৫ কাঠার ২৭টি, ৪.৫০ কাঠার ২টি, ৪ কাঠার ১৫টি, ৩.৫০ কাঠার ২৫টি, ৩ কাঠার ১৬৪টি, ২.৫০ কাঠার ২৯টি এবং ২ কাঠার ৮টি সর্বমোট ২৭১টি প্লট কিন্তু ১৮ নভেম্বর ২০১৪ইং তারিখে অনুষ্ঠিত লটারিতে দেখা যায় ৫ কাঠার ২৭টি প্লটের মধ্যে ১৫টি, ৩ কাঠার ১৬৪টি প্লটের মধ্যে ৬৭টি ৩.৫০ কাঠার ২৫টির মধ্যে ১১টি, ৪ কাঠার ১৫টি প্লটের মধ্যে ৫টি, ২.৫০কাঠার ২৯টি প্লটের মধ্যে ১০টি, ২ কাঠার ৮টি প্লটের   মধ্যে  ৬টি  প্লটের  লটারি অনুষ্ঠিত হয়। ৭.১৫ কাঠা ও ৪.৫০ কাঠার প্লটের লটারি অনুষ্ঠিত হয়নি। প্রসপেক্টাস ও আবেদনপত্রে ২৭১টি প্লটের কথা উল্লেখ থাকলেও মাত্র ১১৪টি প্লটের লটারির অনুষ্ঠিত হয়। ১৫৭টি প্লটের লটারি অনুষ্ঠিত হয়নি।

প্রসপেক্টাস ও আবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর সারাদেশের স্বল্প ও মধ্যম আয়ের হাজার হাজার লোক অনেক টাকা খরচ করে আবেদন করে কিন্তু জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের জালিয়াতির কাছে গরিব মানুষের শ্রম ঘাম অর্থ আশা আকাঙ্ক্ষা ভূলুণ্ঠিত হয়। নজির বিহীন এই জালিয়াতি ও অ-নিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করলে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, নির্বাহী প্রকৌশলী, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ও সহকারী প্রকৌশলী নোয়াখালী হাউজিং এস্টেটকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শনর নির্দেশ দেয়া হয়। সচিব অথবা জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশের কোন প্রকার জবাব না দিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে অবৈধভাবে বরাদ্দ প্রদানকারীদের প্লট সমূহ বেচা বিক্রির ও বাড়ি নির্মাণে সহযোগিতা করছে। নজিরবিহীন এই অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং জালিয়াতির হোতাদেরকে হাইকোর্টের আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা। সূত্র জানায়, প্লট বরাদ্দ নিতে গাইনি ডাক্তার মাসুম থেকে ৩০ লাখ টাকা সহ বিপুলসংখ্যক স্বপ্নবাজ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার হোতাসহ দুর্নীতির প্রতিভূদের বিচার দাবি করেছেন ভিকটিমরা। এই নিয়ে স্থানীয় জনমনে চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ চলছে।