ব্রেকিং:
সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে রাইসির হেলিকপ্টার, কোনো আরোহী বেঁচে নেই রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের ছবি-ভিডিও প্রকাশ্যে আজ থেকে ৬৫ দিন সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ নোয়াখালীতে শতকোটি টাকার জমি উদ্ধারের পর প্রকৌশলী বদলি লক্ষ্মীপুরে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার
  • সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সংঘবদ্ধ ধর্ষণে নারী মৃত্যুশয্যায়

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৮ অক্টোবর ২০১৯  

মোবাইল ফোনে প্রেমের সূত্র ধরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক নারীকে নোয়াখালীর রামগঞ্জ থেকে সুধারামের আন্ডারচরে ডেকে এনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণে ওই নারী একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে জ্ঞান আসলে তাকে পুনরায় একের পর এক ধর্ষণ শুরু করলে তার আত্মচিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে ভিকটিমকে উদ্ধার করেন।

হাসপাতালের ওয়ার্ডের চিকিৎসক ও সিনিয়র স্টাফ নার্স জানান, ধর্ষণের শিকার হওয়ায় নারীর যৌনাঙ্গ ছিঁড়ে গেছে যার কারণে রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছে না। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. খলিল উল্যাহ জানান, পুলিশ রিকুইজিসান দিলে তার মেডিকেল টেস্ট করা হবে।

বর্তমানে ওই নারীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পুলিশি নিরাপত্তার মাধ্যমে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।এ ঘটনায় সুধারাম থানায় মামলার পর একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নোয়াখালী সদর উপজেলার সুধারাম থানার ওসি নবীর হোসেন জানান, সুধারাম থানাধীন আন্ডারচর ইউপির ৭নং ওয়ার্ডের নুর ইসলামের ছেলে খোকন কয়েক মাস থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার চর ফলকের রতনপুর গ্রামের মেয়ে বর্তমানে রামগঞ্জ পৌরসভার বাসিন্দার সঙ্গে প্রেম করে আসছিলেন।

শনিবার খোকন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নোয়াখালী পৌরসভার সোনাপুর আসতে বলেন ওই নারীকে। ভিকটিম সন্ধ্যা ৬টায় রামগঞ্জ থেকে জননী বাসযোগে সোনাপুর আসলে খোকন ও তার বন্ধু মিজান তাকে রাত ৯টায় আন্ডারচরের একটি সুপারি বাগান বাড়িতে নিয়ে যান।

সেখানে মিজান গিয়ে মো. শহিদ, মো. সিরাজ, নুর ইসলাম, মো. রশিদকে নিয়ে আসেন। তারা দলবদ্ধভাবে ওই নারীকে ধর্ষণ করলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে জ্ঞান আসলে তাকে পুনরায় একের পর এক ধর্ষণ শুরু করলে তার আত্মচিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে ভিকটিমকে উদ্ধার করেন। এ সময় অভিযুক্তরা পালিয়ে যান।এলাকার কয়েকজন ওই নারীকে থানায় প্রেরণ করেন।

নারীর শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে সুধারাম থানা পুলিশ তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি জেনারেল হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের প্রধান ডা. সালাম ইসলামের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।

হাসপাতালের বেডে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন ওই নারী কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, তার এক ছেলে (৫) ও এক মেয়ে (৭) রয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর পর রামগঞ্জে বাসা ভাড়া করে থাকেন। তিনি লোকজনের বাসাবাড়িতে কাজ করে সন্তানদের মানুষ করার চেষ্টা করছিলেন।

খোকনের সঙ্গে মোবাইলে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেম হয়। খোকন তাকে দুই সন্তানের পিতৃত্ব দেবে স্বীকার করে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আন্ডারচরে এনে তাকে ধর্ষণ করেছে।

এ ব্যাপারে তিনি নিজে বাদী হয়ে রোববার রাতে সুধারাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে খোকন, মিজান, শহিদ, সিরাজ, নুর ইসলাম ও রশিদকে আসামি করে মামলা করেছেন।

নোয়াখালীর এসপি আলমগীর হোসেন জানান, রাতেই পুলিশ প্রধান আসামি খোকনকে গ্রেফতার করেছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতার অভিযান চলছে।