আশুগঞ্জে আগ্নিকাণ্ডে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে ভবন মালিক আলাই মিয়া মোল্লাকে প্রধান আসামি করে মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন নিহত মকবুল হোসেনের মা খুশেদা বেগম।

মামলার অন্য চার আসামি হলেন আলাই মিয়া মোল্লার স্ত্রী সালমা আক্তার, দুই ছেলে মাহফুজ ও আলম এবং ভবনের দারোয়ান কবির মিয়া।

আশুগঞ্জ থানার ওসি আজাদ রহমান জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিহত মকবুলের মা খুরশেদা বলেন বলেন, বাসার মালিকের গাফলতির কারণেই তার ছেলেসহ পুরো পরিবার অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বাসার গ্যাসের লাইনে লিকেজ ছিলো। মালিককে বার বার বলা সত্ত্বে তিনি তা মেরামত করে দেয়নি। তিনি তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিচার দাবি করেন।

উল্লেখ্য, গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ১০টায় আশুগঞ্জ উপজেলার সদর ইউপির শরীয়তনগর এলাকার আলাই মিয়ার পাঁচতলা বিশিষ্ট ভবনের নিচতলায় আগুন লাগে। নিচতলার একটি বাসায় স্ত্রী ও দুই ছেলে সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন মকবুল হোসেন। প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আশুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে বাসার ভেতর থেকে মকবুল হোসেনের ছোট ছেলে জুবায়ের (৭) দগ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দগ্ধ মকবুল হোসেন ও তার স্ত্রী রেখা বেগম এবং তাদের বড় ছেলে জয়কে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মকবুল, এরপর ২৭ ফেব্রুয়ারি জয় ও ২৮ ফেব্রুয়ারি রেখা চিকিৎসাধীন অবস্হায় মারা যায়।

এরই মধ্যে রেখা বেগম ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্হায় মৃত সন্তান প্রসব করেন।

এ ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলমকে প্রধান করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন আশুগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত),  উপজেলা প্রকৌশলী, এলজিইডি, আশুগঞ্জ, উপ-মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয়) বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ও স্টেশন অফিসার, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স, আশুগঞ্জ।