ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে শতকোটি টাকার জমি উদ্ধারের পর প্রকৌশলী বদলি লক্ষ্মীপুরে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল
  • রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

অযত্নে-অবহেলায় অরক্ষিত বধ্যভূমি ও গণকবর

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২ মার্চ ২০২২  

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও অযত্নে-অবহেলায় আর অরক্ষিত রয়েছে লক্ষ্মীপুর সদরের মাদাম ব্রিজ সংলগ্ন বধ্যভূমি ও গণকবর। সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে মুক্তিযুদ্ধের এই শোকগাঁথা স্মৃতির চিহ্নটুকু। 

একাত্তরের নয় মাস দেশের বিভিন্ন স্থানে বধ্যভূমিতে গণহত্যা, লুট আর নারী নির্যাতনসহ হানাদার বাহিনী নির্মম নির্যাতন চালায়। সেই স্মৃতিকণা এখনো থাকলেও সংস্কারের নেই কোন উদ্যোগ। আর স্মৃতি হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে মাদাম ব্রিজ। পাক বাহিনীদেরকে প্রতিরোধ করতে যেটিকে ধ্বংস করে মুক্তিবাহিনীরা। অসংরক্ষিত সেটিও। আবার বেদখল হয়ে যাচ্ছে বধ্যভূমি ও গণকবরগুলো। অনেক বধ্যভূমি পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে দ্রুত বধ্যভূমি ও গণকবরগুলো চিহ্নিত করে সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যরা।

জানা গেছে, ১৯৭১ সালে ৯ মাসে পাক হানাদারদের সঙ্গে ২১টি সম্মুখযুদ্ধ হয় লক্ষ্মীপুরে। প্রায় ৯০টি অভিযানে অংশ নেয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা। শহীদ হন ৪০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

জেলার বিভিন্ন স্থানে গণহত্যা চালায় হানাদার ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আল শামস বাহিনী। সদর উপজেলার বাগবাড়ির আশপাশের ৪-৫টি গ্রামের কয়েক হাজার নিরীহ গ্রামবাসীকে সারের গুদামে টর্চার সেলে হত্যা করে পাকিস্তানী বাহিনী। মরদেহ ফেলে দেয়া হতো মাদাম ব্রিজের পাশে একটি কূপে।

পাকিস্তানী সেনারা সবচেয়ে বড় গণহত্যা চালায় রামগঞ্জের রতনপুর গ্রামে। রামগতি ও রায়পুরের বিভিন্ন স্থানে চালানো হয় গণহত্যা। এরকম অনেক বধ্যভূমি পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়। অনেকগুলো চলে গেছে প্রভাবশালীদের দখলে।

বধ্যভূমিগুলো চিহ্নিত করে সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যরা।

জেলায় বধ্যভূমির সংখ্যা আনুমানিক ১০০টি। এরমধ্যে যেগুলো চিহ্নিত হয়েছে, সংস্কারের অভাবে সেগুলোরও বেহাল দশা।

সচেতন মহল মনে করেন, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্নগুলো বিশেষ করে গণকবর ও বধ্যভূমিগুলো সম্পর্কে অবহিত করা প্রয়োজন হয়ে উঠলেও দায়িত্বশীলদের দায়িত্বহীনতা ও উদাসিনতার কারণে বিজয়ের ৫০ বছর পরও লক্ষ্মীপুরের সেইসব স্মৃতিচিহ্ন, গণকবর ও বধ্যভূমিগুলো অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে। যেন দেখার কেউ নেই। পাশেই একটা গণকবর সংরক্ষণ করা হলেও কোন অজানা কারণে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও এটিকে  সংরক্ষণ করা ও আধুনিক মানসম্মত স্মৃতিচারণ নির্মাণ করা হলো না তা কেউ বলতে পারে না। 

মুক্তিযোদ্ধা সাবেক জেলা কমান্ডার হুমায়ুন কবির তোফায়েল বলেন, ১৯৭১ সালের ৬ জুলাই বীর মুক্তিযোদ্ধারা লক্ষ্মীপুর শহরের রহমতখালি সেতুর কাছে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ৭২ জন পাকসেনাকে হত্যা করে। ২৫ অক্টোবর সদরের মীরগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা ও পাকসেনাদের এক সম্মুখ লড়াইয়ে পাকবাহিনীর মেজরসহ ৭০ জন সৈন্য ও ৪১ জন রেঞ্জার নিহত হয়। এভাবেই যুদ্ধ করে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি আর শত্রু মুক্ত করেছি লক্ষ্মীপুরকে। অথচ আমাদের অনেক স্মৃতি এখনো অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে।