ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে শতকোটি টাকার জমি উদ্ধারের পর প্রকৌশলী বদলি লক্ষ্মীপুরে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল
  • রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সুদের টাকা না পেয়ে ১৩ বছরের কিশোরীকে বিয়ে

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২ মার্চ ২০২২  

সুদের টাকা না পেয়ে ঋণগ্রহীতার ১৩ বছরের কিশোরী মেয়েকে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১ মার্চ) এ ঘটনাটি জানাজানি হয়। এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল সদরের কাকুয়া ইউনিয়নের রাঙাচিরা গ্রামে এ ঘটনা। অভিযুক্ত ব্যক্তি টাঙ্গাইল সদরের চিলাবাড়ি গ্রামের মৃত ফজলু মিয়ার ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৫৫)। তিনি সুদের কারবার করেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তার স্ত্রী ও কলেজপড়ুয়া সন্তান রয়েছে।

স্থানীয় ও কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, সিরাজুলের কাছ থেকে সুদে টাকা নেন রাঙ্গাচিরা গ্রামের ইউসুফ। কিন্তু তিনি সময় মতো টাকা ফেরত দিতে না পারায় স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় ইউসুফের ১৩ বছর বয়সী মেয়েকে বিয়ে করেন সিরাজুল। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে বিয়ের নিবন্ধন করেন স্থানীয় কাজি আমিরুল ইসলাম। রাঙাচিরা গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) মেম্বার সোলাইমান মণ্ডল বলেন, এ খবরটি পরে জানতে পেরেছি। তাৎক্ষণিকভাবে খবরটি জানলে এমনটি হতে দিতাম না।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম বলেন, শরিয়তে কোনো নিষেধ নেই। ৮০ বছরের বৃদ্ধও ১৩ বছরের মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে। তাহলে আমি পারবো না কেন। আমার বড় বউ অসুস্থ থাকে। তাই পরিবারের মত নিয়েই প্রস্তাবের মাধ্যমে বিয়ে করেছি। তবে মেয়েটির পরিবারকে সুদের টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে বিয়ে করার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় কাজী আমিরুল ইসলামের মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। কাকুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, সুদের টাকার জন্য চাপ দিয়ে বিয়ে করেছেন কি না, তা আমার জানা নেই। তবে অভাব-অনটনের কারণে পরিবার মেয়েটির বিয়ে দিয়েছে বলে স্থানীয় মেম্বার আমাকে জানিয়েছেন। টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রানুয়ারা খাতুন বলেন, ‘ঘটনাটি মাত্র জানতে পারলাম। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’