ব্রেকিং:
লক্ষ্মীপুরে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল ঋণ শোধের সক্ষমতা অর্জন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের
  • রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

রোহিঙ্গাদের অপকর্ম থামছেই না

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি উদ্বাস্তু ক্যাম্পে বর্তমানে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গার বাস। এসব রোহিঙ্গা অর্থের প্রয়োজনে কুকর্ম করেই চলেছে। মিয়ানমার থেকে সীমান্ত পথে মাদক, অস্ত্র, সোনা চোরাচালান করেই চলেছে রোহিঙ্গারা। ধরাও পড়ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা সীমান্তরক্ষীদের হাতে। অন্যদিকে অবৈধ এসব কাজের অর্থ ভাগাভাগি নিয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে খুনোখুনিতেও জড়াচ্ছে রোহিঙ্গারা।


সীমান্ত দিয়ে অবৈধ মাদক, অস্ত্র ও স্বর্ণ চোরাচালান করতে গত তিন মাসে শুধু বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হাতেই আটক হয়েছে কক্সবাজারের উদ্বাস্তু শিবিরের অন্তত ২০ জন রোহিঙ্গা। সেখানকার কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্পে ৫ লাখ রোহিঙ্গার বাস। আধিপত্য
বিস্তারকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পটির অন্তত ১০ রোহিঙ্গা বিভিন্ন সময়ে খুন হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ও সবচেয়ে বেশি এ ক্যাম্পের সদস্যরা নিহত হয়।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের হিসাব অনুযায়ী, দুই বছরে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩৩ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। এ ছাড়া নিজেদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বে আরও ৪৩ রোহিঙ্গা নিহত হয়। এ দুই বছরে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ৪৭১টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মাদকসংক্রান্ত মামলা। তা ছাড়া মানবপাচারের অভিযোগে চারটি মামলাসহ অস্ত্র, ধর্ষণ, ধর্ষণচেষ্টা, নারী নির্যাতন, অপহরণ ও পুলিশের ওপর হামলার মামলাও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।


আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যমতে, ক্যাম্পভিত্তিক মাদক ব্যবসা রোহিঙ্গা অর্থের একটি বড় উৎস। মিয়ানমার থেকে আসা ইয়াবা ক্যাম্পে মজুদ করে এখান থেকেই বণ্টন করা হয়। গত ২ অক্টোবর কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে পালংখালীতে একটি অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়ে অভিযান চালায় র‌্যাব। সেখান থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, দুই রাউন্ড গুলি এবং অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। ওই সপ্তাহেই কুতুপালং ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত আটজন মারা যায়। আহত হয় অর্ধশতাধিক।
কেবল ইয়াবা চোরাচালানের ক্ষেত্রেই নয়, রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে অবৈধ পথে সোনাও আসতে শুরু করেছে। ১ নভেম্বর রাতে বিজিবির ঘুমধুম বিওপির সদস্যরা কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার ৫নং পালংখালী ইউপির কুড়ারপাড়া এশিয়ান হাইওয়ে থেকে মো. কলিম নামে এক রোহিঙ্গার হেফাজত থেকে ৪৭১ ভরি ৯ আনা ৪ রতি ওজনের ৩১টি স্বর্ণের বার ও বিভিন্ন ধরনের স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়।


উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী জানান, হতাশা ও আর্থিক সঙ্কট থেকেই মূলত রোহিঙ্গারা নানা অপরাধকর্মে সম্পৃক্ত হচ্ছে। এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে প্রথমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোয় সুপারভিশন বাড়াতে হবে। এরপর রোহিঙ্গাদের জন্য কর্মসংস্থানের চিন্তাও করতে হবে। না হয় অপরাধ বাড়তেই থাকবে।