ব্রেকিং:
লক্ষ্মীপুরে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল ঋণ শোধের সক্ষমতা অর্জন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের
  • রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

করোনা টেস্টের ফি আত্মসাতের ঘটনায় তদন্ত শুরু

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২১  

খুলনার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে করোনা টেস্টের ফি ২ কোটি ৫৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাতের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের তদন্ত কমিটি হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে তাদের তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন। তদন্ত কমিটির প্রধান উপ-পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদসহ সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম, সহকারী পরিচালক (মেডিকেল সাব ডিপো) ডা. মো. রফিকুল ইসলাম গাজী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম জাহাতাব হোসেন।

উপ-পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদ বলেন, তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে কন্ডাক্টিং অফিসার হিসেবে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রথম দিন কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের কাছে চাওয়া হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে, পর্যায়ক্রমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।  

খুলনা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের গঠিত তদন্ত কমিটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। প্রথম দিনে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। হাসপাতালের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র তদন্ত কমিটি চেয়েছেন।

জানা গেছে, করোনা শুরু থেকেই হাসপাতালে করোনা টেস্টের কালেকশনে নিয়োজিত ছিলেন মো. রায়হান, মো. মুজাহিদ, মো. রনি ও তার স্ত্রী ঝুমানা। তারা সবাই ল্যাব টেকনোলজিস্ট হিসেবে বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকরিরত ছিলেন। করনো শুরু থেকে তাদেরকে প্রেষণে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে যোগদান করানো হয়। এছাড়া বেসরকারি একটি এনজিওর লোকজনও করোনা টেস্টে কালেকশনে নিয়োজিত করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।

জানা গেছে, প্রথম দিনে তদন্ত কমিটি  হাসপাতালের আরএম ডা. এস এম মুরাদ হোসেন, ল্যাব টেকনোলজিস্ট রওশন, ক্যাশিয়ার তপতী সরকার, ল্যাব অ্যাটেন্ডডেন্ট পারভিন আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পর্যায়েক্রমে তদন্ত কমিটি তদন্তের স্বার্থে করোনা টেস্টে কাজে হাসপাতালের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারিরা সম্পৃক্ততা ছিলেন তাদের তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। 

এর মধ্যে হাসপাতালের সাবেক প্রধান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক মো. শাহিন মোল্ল্যার নাম উঠে আসে। তিনি বর্তমানে অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়োজিত আছেন। সম্প্রতি তিনি স্ব-ইচ্ছায় জেনারেল হাসপাতাল থেকে বদলি হয়েছেন।

জানা গেছে, হাসপাতালে ল্যাব টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাসের বিরুদ্ধে করোনা টেস্টের ২ কোটি ৫৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গুরুত্বপূর্ণ অনিয়ম চিত্র পেয়েছেন। হাসপাতালের সার্বিক বিষয় নিয়ে ওই তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। যার ফলে হাসপাতালে অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়টিগুলো সামনে এসে পড়বে। 

করোনা শুরু থেকেই করোনা টেস্টের যাবতীয় তদারিকের দায়িত্বে ছিলেন জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. এস এম মুরাদ হোসেন। এ কর্মকর্তা ছাড়াও হাসপাতালে অনেকেই ফেঁসে যেতে পারেন করোনা টেস্টের ফি আত্মসাতের ঘটনায়। এরই মধ্যে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনেকেই নিজের দোষ ঢাকতে দৌঁড় ঝাপ শুরু করেছেন। যাতে তারা এই যাত্রায় রক্ষা পায়। 

এদিকে হাসপাতালের প্যাথলজিস্ট ইনচার্জ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাস করোনা টেস্টের আত্মসাতের ঘটনার পর থেকে লাপাত্তা রয়েছেন। তার হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।  

করোনা শুরুর প্রথম দিকে সদর হাসপাতালে করোনা টেস্টের জন্য সাধারণ মানুষদের বাসায় গিয়ে করোনা টেস্টের জন্য শ্যাম্পল কালেকশনের জন্য নেয়া হয় ১ হাজার টাকা এবং হাসপাতালে টেস্টের জন্য নেওয়া হয় ৫০০ টাকা। পরবর্তীতে নেয়া হয় ৩০০ ও ৫০০ টাকা। 

এছাড়া বিদেশগামীদের সাড়ে ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা করোনা টেস্টের জন্য নেওয়া হয়। এসবের দায়িত্বে ছিলেন ল্যাব ইনচার্জ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাস। পাশাপাশি তিনি হাসপাতালের ল্যাব ইনচার্জের দায়িত্ব পালন করতেন।