ব্রেকিং:
লক্ষ্মীপুরে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল ঋণ শোধের সক্ষমতা অর্জন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের
  • রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

১৪ বছর পর হত্যা মামলার রায়, একজনের যাবজ্জীবন

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২১  

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় দেলোয়ার হোসেন দিলু হত্যা মামলায় রায় প্রদান করেছে আদালত। রায়ে একজনের যাবজ্জীবন ও ৫ জনকে এক বছরের সাজা প্রদান করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক আবু উবায়দা এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। দীর্ঘ ১৪ বছর পর এই হত্যা মামলায় রায় প্রদান করা হলো।

মামলার প্রধান আসামি বাবুল মিয়াকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় কারাদণ্ড প্রদান করেছে আদালত। এছাড়া আদালতের রায়ে আরও ৫ জনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

এক বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, দুলাল মিয়া, সৈয়দ খাঁ, হাসান মিয়া, হানু মিয়া ও মোহাম্মদ আলী। বাকি ৪৬ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পূর্ব বিরোধের জেরে আখাউড়া উপজেলার বনগজ গ্রামে একটি স্কুল মাঠে প্রতিপক্ষের লোকজন দা দিয়ে কুপিয়ে দেলোয়ার হোসেন দিলুকে রক্তাক্ত করেন। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আখাউড়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। সেখান থেকে দিলুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে দিলুকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার একদিন পর ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্হায় দিলু মারা যান। মৃত দেলোয়ার হোসেন দিলু ওই এলাকার বিলাল হোসেনের ছেলে।

এ ঘটনায় ১৭ ফেব্রুয়ারি দেলোয়ার হোসেন দিলুর চাচা মনির মিয়া বাদী হয়ে আখাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় একই এলাকার বাবুল মিয়াকে প্রধান করে ৫৩ জনকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ১৭ জুলাই আদালতে চার্জশিট প্রদান করে পুলিশ। এরই মাঝে এক আসামি মারা যান। এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ বাদীসহ ১৯ জনের সাক্ষী প্রদান করে এবং বিবাদী পক্ষ ৯ জনের সাফাই সাক্ষী প্রদান করেন। দীর্ঘ যুক্তিতর্ক শেষে এই হত্যা মামলার রায় আদালত প্রদান করে।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুজিবুর রহমান ভূইয়া বলেন, আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম সব আসামির সাজা হবে। খালাশ পাওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।

বিবাদী পক্ষের আইনজীবী জসিম উদ্দিন খাঁ এই রায়ের আদেশে অসন্তোষ প্রকাশ করে জানান, আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।