ব্রেকিং:
নোয়াখালীতে শতকোটি টাকার জমি উদ্ধারের পর প্রকৌশলী বদলি লক্ষ্মীপুরে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল
  • রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ট্রলারে নতুন সম্ভাবনা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২১  

নদী বা সমুদ্রে মাছ ধরতে লাগে ট্রলার। এক সময় এসব ট্রলার আনতে হতো বিদেশ থেকে। তবে দিন বদলেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানেই এখন ট্রলার বানানো হচ্ছে। এর মধ্যে পিছিয়ে নেই লক্ষ্মীপুরও। মাছ ধরার ট্রলার বানিয়ে ভাগ্য খুলেছে অনেকের। কর্মসংস্থান হয়েছে হাজারো মানুষের। জেলার প্রায় ১৩টি স্থানে তৈরি হয় ট্রলার। আর এ শিল্পে বছরে বিনিয়োগ হচ্ছে প্রায় ২শ’ কোটি টাকা।

লক্ষ্মীপুরের এ ট্রলার তৈরিকে শিল্প হিসেবে রূপ দিতে পারলে হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে মনে করছে স্থানীয় সচেতন মহল। একই সঙ্গে আরো উন্নতমানের ট্রলারও বানানো সম্ভব বলে মনে করেন তারা।

জানা গেছে, জেলার রামগতি উপজেলার টাংকি বাজার, চরগাজী, আলেকজাণ্ডার ও কমলনগরের মতিরহাট, লুধুয়া, চরফলকন, পাটোয়ারীর হাট এবং সদরের মজুচৌধুরীর হাট, বেড়িরমাথা ও রায়পুরের চরবংশী এলাকাসহ উপকূলীয় চার উপজেলার প্রায় ১৩টি স্থানে ট্রলার তৈরি হয়।

 

ট্রলার তৈরিতে ব্যস্ত শ্রমিকরা

ট্রলার তৈরিতে ব্যস্ত শ্রমিকরা

শুকনো মৌসুম এলেই ট্রলার ও নৌকা তৈরিতে ধুম পড়ে এসব এলাকায়। বছরের নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্তই এর প্রকৃত মৌসুম। আর বর্ষা এলে স্থানীয়ভাবে বানানো এসব ট্রলার-নৌকায় করেই মাছ ধরার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন জেলেরা।

একেকটি ট্রলার তৈরির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ধাপ পার করতে হয়। প্রতিটি ধাপে ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতার সাত থেকে দশজন কারিগরের প্রয়োজন। এভাবে প্রতিটি এলাকায় প্রায় দেড়শ থেকে দুইশ লোকের কর্মসংস্থান হয়।

কারিগররা জানান, সমুদ্রগামী একেকটি ট্রলার বানাতে ট্রয় পাঁচ-ছয় মাস লাগে। একটি ট্রলারে কমপক্ষে ১২শ’ ঘনফুট কাঠের প্রয়োজন হয়। এতে খরচ হয় সাত-আট লাখ টাকা। আর প্রতিটি ট্রলারে ইঞ্জিন ও জালসহ খরচ পড়ে ৮০ লাখ থেকে প্রায় কোটি টাকা।

 

ট্রলারে পেরেক গাঁথছেন শ্রমিক

ট্রলারে পেরেক গাঁথছেন শ্রমিক

তারা আরো জানান, সমুদ্রগামী এসব ট্রলার ৫৬ ফুটের বেশি লম্বা এবং প্রায় সাড়ে ১৬ ফুট প্রস্থের হয়। এসব ট্রলার বানাতে বিদেশি কাঠ ব্যবহৃত হয়। এছাড়া একেকটি ট্রলার বানাতে ছয়-সাতশ রোজ শ্রমিক লাগে। তবে ছোট কিংবা মাঝারি নৌকা তৈরিতে সময় লাগে এক-দুই মাস। শ্রেণিবেধে প্রতিটি ট্রলার কিংবা নৌকা তৈরিতে প্রতিদিন প্রায় ৩শ’ শ্রমিক লাগে। জাল ও ইঞ্জিনসহ খরচ পড়ে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। এসব ট্রলার দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মাছ ধরার উপযোগী।

সমুদ্রগামী ট্রলার তৈরিতে বিদেশি লোহা কাঠ, ওক ও চাপলাইশ কাঠ ব্যবহার করা হয়। আর ছোট নৌকা তৈরিতে দেশীয় মেহগনি, চাপলাইশ, রেইনট্রি কড়ই, নলকড়ই, পুনাল, নাড়াই, গর্জন, চাম্বল, ত্রিশূল গাছ ব্যবহৃত হয়। ট্রলার কিংবা নৌকা বানানোর কাজ করে প্রতিদিন এক হাজার থেকে ১২শ’ টাকা পান শ্রমিকরা। সহকারী শ্রমিকরা পান সাত-আটশ টাকা।