ব্রেকিং:
এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল ঋণ শোধের সক্ষমতা অর্জন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নোয়াখালীতে হেরে গেলেন ওবায়দুল কাদের পতেঙ্গায় আগুন ধরে প্রশিক্ষণ বিমান কর্ণফুলীতে, ২ পাইলট আহত
  • শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রামে বেড়েছে ইলিশের উৎপাদন

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২২  

সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে শনিবার রাত থেকে বঙ্গোপসাগরে শুরু হয়েছে মাছ আহরণ। প্রজনন মৌসুমে সরকারের নানা উদ্যোগ ও কঠোর অবস্থানের কারণে চট্টগ্রামে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে বলে বলছেন মৎস্য কর্মকর্তারা।

তারা বলছেন, মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন এবং অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য অধিদফতর। প্রায় ২৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২৪ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণ, জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং স্থায়িত্বশীল মৎস্য আহরণ নিশ্চিত করা প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। সরকারের এমন ব্যবস্থাপনার ফলে এরই মধ্যে ইলিশের পুরোনো ঐতিহ্য ফিরে এসেছে বলে মনে করছেন তারা।

জানা গেছে, চট্টগ্রামে গত বছরে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৪৮৭ টন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে পাঁচ হাজার ৬৮৩ দশমিক ৭১ টন ও ২০২০-২১ অর্থবছরে ছয় হাজার ৯৫৬ দশমিক ৬৩ টন ইলিশ ধরা পড়ে। আর সর্বশেষ ২০২১-২২ অর্থবছরে ইলিশ ধরা পড়ে সাত হাজার ৪৪৩ দশমিক ৬২ টন। সে হিসাবে দুই বছরের ব্যবধানে ইলিশ পাওয়া গেছে প্রায় এক হাজার ৭৬০ টন বেশি।

চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী বলেন, ইলিশের প্রজনন মৌসুমে নদীতে জাটকা নিধন বন্ধ ও মা ইলিশ রক্ষার ফলে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে যে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে তা আকারেও বড়। 

তিনি বলেন, সরকার ইলিশের অভয়াশ্রম সৃষ্টি ও অভয়াশ্রমে জাটকা ধরা বন্ধ করা, প্রজনন মৌসুমে ২২ দিন ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধকরণ, নভেম্বর থেকে জুন ৮ মাস জাটকা ধরা বন্ধ করা, সমুদ্রে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ করাসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা প্রদান ও বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বিশ্বে সামুদ্রিক ও উপকূলীয় ক্রাস্টাশিয়া এবং ফিনফিশ উৎপাদনে যথাক্রমে অষ্টম ও ১২তম স্থান অধিকার করেছে বাংলাদেশ- জানিয়ে ফারহানা লাভলী বলেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা মাছ নিয়ে তাদের ‘দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশরিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার ২০২০’ শিরানামে প্রকাশিত বৈশ্বিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- স্বাদু পানির উন্মুক্ত জলাশয় থেকে মাছ আহরণে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়।

এছাড়া বাংলাদেশ গেল বছর মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির হারে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থান অর্জন করে। সারাবিশ্বে প্রাকৃতিক উৎস থেকে মোট ৯০ লাখ টন মাছ উৎপাদন হয়, যেখানে বাংলাদেশে উৎপাদন হয় ১০ লাখ টন। ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে- দেশি প্রজাতির মাছের উন্নতজাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশে মাছ উৎপাদন বেড়েই চলছে। ইলিশ উৎপাদনে এখন শীর্ষে বাংলাদেশ।