ব্রেকিং:
এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল ঋণ শোধের সক্ষমতা অর্জন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নোয়াখালীতে হেরে গেলেন ওবায়দুল কাদের পতেঙ্গায় আগুন ধরে প্রশিক্ষণ বিমান কর্ণফুলীতে, ২ পাইলট আহত
  • শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মালয়েশিয়ান তরুণীর ১৫ দিনের সংসারে তছনছ মনিরুলের জীবন

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২২  

প্রেমের টানে টাঙ্গাইলের সখিপুরে এসেছিলেন মালয়েশিয়ান তরুণী জুলিজা বিনতে কামিস। ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে ওই তরুণী বাংলাদেশে আসেন। পরে টাঙ্গাইলের মনিরুলকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারের সময় ছিল মাত্র ১৫ দিন। এরপর নিজ দেশে ফিরে যায় ওই তরুণী। ওই ১৫ দিন সময়ে মনিরুলের পরিবার তার পেছনে ৮০ হাজারের বেশি টাকা খরচ করে। সেই দেনা এখন টানছেন এবং এই বিয়ের মধ্য দিয়ে ছেলের জীবন নষ্ট হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন মনিরুলের বাবা ঈমান আলী। 

মনিরুল ইসলামের বাড়ি সখিপুরের কাদেরনগর মুজিব কলেজ মোড় এলাকায়।

সম্প্রতি মনিরুলের গ্রামের বাড়িতে গেলে স্থানীয়রা জানান, মালয়েশিয়ান তরুণী জুলিজা বিনতে কামিসের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে মনিরুলের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। প্রায় ছয় মাস প্রেমের সম্পর্কের পর ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মালয়েশিয়ান ওই তরুণী মনিরুলের কাছে সখিপুরে চলে আসে। এরপর কোর্ট ম্যারেজ করে সামাজিকভাবে বিয়ে পড়ানো হয় তাদের। হঠাৎ করে মালয়েশিয়া থেকে খবর আসে ওই তরুণীর স্বামী ও চার সন্তান রয়েছে। এরপর ওই যুবক তরুণীকে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। পরে ১৫ দিন ঘরসংসার করে মালয়েশিয়ান ওই তরুণী তার নিজ দেশে ফিরে যান।

মনিরুল ইসলাম বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে জুলিজার সঙ্গে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। প্রায় ছয় মাস প্রেমের সম্পর্কের পর জুলিজা আমার কাছে চলে আসে। পরে কোর্ট ম্যারেজসহ সামাকিজভাবে বিয়ে পড়ানো হয়। তার ভিসার মেয়াদ ১৭ দিন ছিল। আমরা ১৫ দিন একত্রে ছিলাম।

জুলিজার ফিরে যাওয়ার পর হতাশ হয়ে পড়েছেন মনিরুল। তিনি বলেন, এখন স্ত্রী হিসেবে নয়, ভালো বন্ধু হিসেবে তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। শুনেছি তার স্বামী ও দুই সন্তান রয়েছে। কিন্তু সে তার স্বামীকে ছেড়ে পৃথক রয়েছে বলে জেনেছি।

এদিকে মালয়েশিয়ান তরুণীকে বিয়ে করে ছেলের জীবন নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মনিরুলের বাবা ঈমান আলী। তিনি বলেন, মেয়েটি হয়তো কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিল। আমার ছেলের জীবনটা নষ্ট করে দিয়ে ওই মেয়ে চলে গেছে। এখন ছেলেকে বিয়েও করাতে পারছি না। আমার ছেলে ওই সময় কলেজে পড়াশোনা করতো। কিন্তু এখন পড়াশোনা বাদ দিয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করছে। ছেলের ভব্যিষৎ নষ্ট হয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা গরিব মানুষ। ওই মেয়ের পেছনে ১৭ দিনে আমার প্রায় ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখনও সেই ঋণের বোঝা টানছি। নিজেদের থাকার জায়গাটুকুও নেই। অন্যের বাড়িতে ঘর ভাড়া করে থাকি। আমাদের কষ্টের জীবন। মেয়েটি আমাদের সম্মানহানি ও অনেক ক্ষতি করে চলে গেছে।