ব্রেকিং:
এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল ঋণ শোধের সক্ষমতা অর্জন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নোয়াখালীতে হেরে গেলেন ওবায়দুল কাদের পতেঙ্গায় আগুন ধরে প্রশিক্ষণ বিমান কর্ণফুলীতে, ২ পাইলট আহত
  • শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

রোহিঙ্গা শিবিরে মাঝিদের রাজত্ব

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১  

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চলছে রমরমা ইয়াবা বাণিজ্য, মানবপাচার, অস্ত্র ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ নানা অপকর্ম। অস্ত্র ও ইয়াবাসহ একাধিক ব্যক্তি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হলেও থেমে নেই এসব কর্মকাণ্ড।

ক্যাম্পের মাঝিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তারা বঙ্গোপসাগর দিয়ে চোরাই পথে মালয়েশিয়ায় মানবপাচার ও ইয়াবার ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা আয় করছে। সেইসঙ্গে ক্যাম্পে আধিপত্য বজায় রাখতে গড়ে তুলছে অবৈধ অস্ত্রের মজুত।

উল্লেখ্য, অস্ত্র-ইয়াবা ও টাকাসহ গ্রেফতার হয়ে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা রয়েছে পুলিশ হেফাজতে। ইয়াবার বিনিময়ে অস্ত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে তাদের কেউ কেউ গ্রেফতার হয়েছে। একইভাবে ইয়াবা বিক্রির টাকাসহও গ্রেফতার হয়েছে রোহিঙ্গা দম্পতি। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে বেরিয়ে এসেছে ক্যাম্পভিত্তিক রোহিঙ্গা নেতাদের সম্পর্কে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।

জানা গেছে , অস্ত্র এবং ইয়াবা পরিবহনে রাজি না হলে সাধারণ রোহিঙ্গাদের ওপর চলে অমানুষিক নির্যাতন। এ অবস্থায় ৬ শতাধিক হেড মাঝি এবং ১২ শতাধিক সহকারী মাঝিকে নজরদারির মধ্যে আনার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ লক্ষ্যে তাদের তালিকা সংগ্রহ করেছে পুলিশ। সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে আধিপত্য বিস্তারের পাশাপাশি ইয়াবা ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে রোহিঙ্গা নেতারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাই অস্ত্রের সন্ধানে তারা এখন বন্দরনগরী চট্টগ্রাম ও রাজধানী ঢাকামুখী হচ্ছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইয়াবার বিনিময়ে চলছে অস্ত্র লেনদেন। মাস্টার ও মাঝিরা ইয়াবা বিক্রি করে বিত্তবান হচ্ছে। নিজেদের প্রভাব আরো বাড়ানোর জন্য তারা অস্ত্র সংগ্রহ করছে। রিমান্ডে থাকা সাধারণ রোহিঙ্গারা দাবি করেছে, ক্যাম্পগুলোয় এখন চলছে মাস্টার, মাঝি এবং সহকারী মাঝিদের ত্রাসের রাজত্ব। অস্ত্র ও ইয়াবা পরিবহনে রাজি না হলে সাধারণ রোহিঙ্গাদের অপহরণ করা হচ্ছে। হত্যার পর লাশও গুম করছে প্রভাবশালী রোহিঙ্গা নেতারা।

শুধু টেকনাফের লেদা ক্যাম্পেই ৭ জন মাস্টার ও মাঝির নাম পেয়েছে পুলিশ। তারা সরাসরি অস্ত্র ও ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত। মূলত ক্যাম্পগুলোয় প্রশাসনিক দায়িত্বের সুবিধার্থে রোহিঙ্গাদের মধ্য থেকেই এসব মাঝি, সহকারী মাঝিদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রয়েছে মাস্টার। অপেক্ষাকৃত লেখাপড়া জানা রোহিঙ্গারাই এ পদে নিয়োগ পায়। গত এক সপ্তাহে চট্টগ্রামে পুলিশ ও র‌্যাবের পৃথক অভিযানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক অস্ত্র ও ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্তত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গারা কী পরিমাণ অপরাধ করছে, তা ভাষায় বলা সম্ভব না। তারা বহুমাত্রিক অপরাধী। তারা একইসঙ্গে ইয়াবা ব্যবসা করছে, আবার মানব পাচারও করছে। এছাড়াও এসবের সমান্তরালে অস্ত্র মজুতের মহোৎসবও চালাচ্ছে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোয় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি ইয়াবা ব্যবসা ও অপরাধ দমনে গডফাদারদের নজরদারিতে আনা হচ্ছে। বলা যায়, অপরাধ করে কোনো অপরাধী রেহাই পাবে না।