ব্রেকিং:
এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল ঋণ শোধের সক্ষমতা অর্জন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নোয়াখালীতে হেরে গেলেন ওবায়দুল কাদের পতেঙ্গায় আগুন ধরে প্রশিক্ষণ বিমান কর্ণফুলীতে, ২ পাইলট আহত
  • শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ভিক্ষা করে নিজ হাতে গড়লেন দোতলা বাড়ি, অবশেষে স্বপ্নপূরণ

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১  

পাকা ঘরে ঘুমানোর স্বপ্ন সবারই থাকে। হোক ধনী কিংবা গরিব। তবে ইচ্ছা থাকলেও দালান গড়তে পারেন না অনেক অসহায় মানুষ। কিন্তু নিজে ভিক্ষা করলেও স্বপ্ন পূরণ করেছেন ৫৫ বছর বয়সী রহমত আলি ওরফে নমেন আলি। ভিক্ষা করেই সরকারি জমির ওপর ২০ বছর ধরে নিজ হাতে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন দোতলা বাড়ি।

রহমত আলির বাড়ি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কাদিপুর গ্রামে। তার বাবার নাম কিয়ামুদ্দিন। দীর্ঘদিন আগে রহমত আলির স্ত্রী মারা গেছেন। রয়েছে এক ছেলে। বাবাকে নিজের কাছে রাখতে চান দিনমজুর সন্তান। কিন্তু ছেলের কাছে থাকতে নারাজ ভিক্ষুক বাবা।

দিন শেষে রাতটুকু নিশ্চিন্তে থাকতে ভিক্ষাবৃত্তির টাকা দিয়ে প্রতিদিন বিকেলে নিজে ঘর মেরামতের কাজ করে যেতেন রহমত আলি। এভাবেই একটি দোতলা ঘরের পেছনে কাটিয়েছেন ২০ বছর।

প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক রহমত আলি জানান, তিনি ৩০ বছর ধরে চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর মহাসড়কের দামুড়হুদা উপজেলার ডুগডুগি ইউনিয়ন পরিষদ ও পশুহাটের অদূরে সড়ক বিভাগের জমির ওপর একটি ঝুপড়ি ঘর করে থাকছেন। ঝড়-বৃষ্টিতে বিভিন্ন সময় তাকে সমস্যায় পড়তে হতো। এমন অবস্থায় ২০০০ সালে তিনি সেখানে নিজ হাতে ইটের গাঁথুনি দিয়ে থাকার মতো ছোট একটি পাকা ঘর তৈরি করেন। তখন থেকেই তার পরিকল্পনা, ওই ঘরের ওপরে আরো একটি ঘর বানানোর।

সেই সময় থেকে সারাদিনের ভিক্ষাবৃত্তির টাকা দিয়ে কিছু কিছু ইট, সিমেন্ট ও বালু কিনতেন। আর প্রতিদিন বিকেলে একটু একটু করে গাঁথুনির কাজ করতেন। ২০ বছর পর এখন সেখানে নিচতলায় দুটি রুম ও ওপরে এক রুম বানিয়েছেন। নিচে দুটি ঘরের মধ্যে একটিতে নিজে থাকেন। থাকার ঘরে মেঝে ও দেয়ালে টাইলস বসানো। বেশ পরিপাটি।

রহমত আলি জানান, তার দোতলা ঘরে থাকার স্বপ্ন ছিল। সে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। বিভিন্ন সময় সড়ক বিভাগ উচ্ছেদ অভিযান চালালে বসতঘরের ওপর উঠে বসে থাকতেন তিনি। তাকে নামানো যেতো না। এছাড়া এলাকাবাসীর অনুরোধে উচ্ছেদ থেকে তিনি রক্ষা পান।

হাউলি ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দীন বলেন, ভিক্ষুক রহমত আলি ওরফে নমেন আলি প্রায় ৩০ বছর আগে এখানে একটি ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে থাকা শুরু করেন। ২০০০ সালের দিকে তিনি কাদামাটি ও ইট দিয়ে একটি পাকা ঘর বানান। এরপর ধীরে ধীরে একইভাবে ইট কুড়িয়ে, সামান্য কিছু সিমেন্ট কিনে নিজ হাতে দোতলার কাজ শুরু করেন।

প্রায় ২০ বছর ধরে তিলে তিলে সম্প্রতি সিঁড়িসহ দোতলার কাজ শেষ করে এখানে থাকছেন। সড়ক বিভাগ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করলে তিনি দোতলায় উঠে বসে থাকতেন। তাকে কোনোভাবেই নামানো যেতো না। এছাড়া ভিক্ষুক হিসেবে সবাই ঘরটি না ভাঙার অনুরোধে অভিযান থেকে রক্ষা পান। বর্তমানে তিনি স্বপ্ন পূরণের তৃপ্তি নিয়ে এখানে থাকছেন।