ব্রেকিং:
এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল ঋণ শোধের সক্ষমতা অর্জন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নোয়াখালীতে হেরে গেলেন ওবায়দুল কাদের পতেঙ্গায় আগুন ধরে প্রশিক্ষণ বিমান কর্ণফুলীতে, ২ পাইলট আহত
  • রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পাহাড়পুরে আশ্রয়দাতার ভূমি দখলের চেষ্টা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১  

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের শরমাকান্দা গ্রামে আশ্রয়দাতার ভূমি দখলের চেষ্টা করছে আব্দুস সামাদ (৭০) নামের এক ব্যক্তি। পরে বিষয়টি নিয়ে আদালতে গেলে আদালত স্থিতিবস্থার নির্দেশ প্রদান করে। কিন্তু আব্দুস সামাদ আদালতের নির্দেশনা অমাণ্য করে স্থাপনা নিমার্ণ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পাহাড়পুর ইউনিয়নের শরমাকান্দা গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে শাহজাহান মিয়া, নওয়াব আলীর ছেলে খোকন ও পোষাক ব্যবসায়ি তারু মিয়া জানান, ১৯৫৫ সালে আব্দুস সামাদের বাবার কাছ থেকে আমাদের পিতারা ৩০ শতক জায়গা কিনেছে। সব মিলিয়ে আমাদের তিনজনের এখানে ১৩৮ শতক জায়গা রয়েছে। জায়গা বিক্রির পর আব্দুস সামাদ ভূমিহীন হয়ে পড়ে। আমাদের অভিভাবকরা আব্দুস সামাদ একটি ছোট ঘর তৈরি করে সেখানে আশ্রয় দেয় এবং জায়গাগুলো দেখে রাখার জন্য বলে। আমরা ৩ জন মুরাদনগরের বাইরে থাকি। তাই আব্দুস সামাদই জায়গাগুলো দেখাশুনা করতো। এক পর্যায়ে আব্দুস সামাদ স্থানীয় কয়েকজন খারাপ লোকের সহায়তায় আমাদের ৩ জনের জমি নিজের বলে দাবি করে। এক পর্যায়ে ১৯৮৫ সালে সে এই জমি তার নিজের দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করে। এরপর তারু মিয়া ২০১৬ সালে জমি অবৈধ দখলদার মুক্ত করার জন্য আদালতে মামলা করে। ২০১৯ সালে আদালত আমাদের (তারু মিয়া, খোকন ও শাহজাহানের) পক্ষে মামলার রায় প্রদান করে। এরপর আব্দুস সামাদ মিয়া বিভিন্ন কৌশলে ৬২ শতক জমি দখলের পায়তারা করতে থাকে। আমরা বাড়িতে দুই কক্ষের একটি ঘর তৈরি করার পর তারা রাতের আধারে আমাদের ঘর ভেঙ্গে পাশের খালে ফেলে দেয়। আমরা প্রতিবাদ করায় আমাদের ৬ জনকে মারধর করে সামাদের লোকজন। এই ঘটনায় সামাদ ও তার ছেলে কবিরসহ ১১ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করি।

তারু মিয়া আরো বলেন, সম্প্রতি আব্দুস সামাদ আমাদের জমিতে ইট-টিনশেডের ঘর নিমার্ণকাজ শুরু করে। আমরা পুনরায় আদালতে অবৈধ নিমার্ণকাজ বন্ধ করানোর জন্য আবেদন করি। আদালত সেটি আমলে নিয়ে চলতি বছরের ২৬ আগষ্ট অতি: জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ সায়েদুল আরেফিন ওই জায়গায় স্থিতিবস্থা জারি করে এবং মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করে।

তবে জায়গার মালিক শাহজাহান মিয়া ও তারু মিয়া জানান, আদালতের নির্দেশ পালন করার জন্য পুলিশ এসে বলে গেছে। তবে আব্দুস সামাদ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে আংশিক ভবন নির্মাণ করেছে। আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো-প্রশাসন যাতে এই অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করে।

এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদেকুর রহমান জানান, আদালতের নিষেধাজ্ঞার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ করেছে। এখন কাজ বন্ধ রয়েছে।