ব্রেকিং:
এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল ঋণ শোধের সক্ষমতা অর্জন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নোয়াখালীতে হেরে গেলেন ওবায়দুল কাদের পতেঙ্গায় আগুন ধরে প্রশিক্ষণ বিমান কর্ণফুলীতে, ২ পাইলট আহত
  • রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পারবে কি ইংল্যান্ড, ইতিহাস কি বলে?

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০১৯  

ক্রিকেটের জনক বলা হয় ইংল্যান্ডকে। ক্রিকেটের আবিষ্কারকই শুধু নয়, বলা যায় ক্রিকেট বিশ্বকাপের আবিষ্কারকও তারা। তবে দুঃখের বিষয়, ১১ বার ক্রিকেট বিশ্বকাপের আসর বসলেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি ইংল্যান্ড। ১১ আসরের ভেতর ৩ বার ফাইনালে উঠে হেরেছে ইংল্যান্ড। 

১৯৯২ সালের পর এই প্রথম ইংল্যান্ড উঠেছে বিশ্বকাপের ফাইনালে। তারা কি পারবে অধরা এ ট্রফি জিততে? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার আগে দেখে আসা যাক কেমন ছিল দলটির আগের বিশ্বকাপ মিশনগুলো।

১৯৭৫ থেকে ৮৩, প্রথম তিন বিশ্বকাপেরই আয়োজক ছিল ইংল্যান্ড। প্রথম বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের দৌড় ছিল সেমিফাইনাল পর্যন্ত। সেবার ৪টি ম্যাচ খেলে থ্রি লায়ন্স। সেমিফাইনাল হারার আগে ৩ ম্যাচ জিতেছিল দলটি। 

১৯৭৯ সালে এসে ইংল্যান্ড উঠে যায় ফাইনালে। কিন্ত রানার্স আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।  ৫ ম্যাচে ৪ জয় ও ১ পরাজয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করে তারা। 

১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপে আবারও সেমিফাইনালে আটকে যায় ইংলিশরা। সেবারই ছিল সেমিফাইনালে তাদের শেষ হার। সেই বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচ খেলে ৫টিতেই জয় পায় ইংল্যান্ড। সেমিফাইনাল ছাড়া হারের মুখ দেখে আরেকটি ম্যাচ। 

১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠলেও কাপ জেতা হয়নি ইংল্যান্ডের। সেবার ৮ ম্যাচ খেলে ৫ জয়ের পাশাপাশি ৩ হারের মুখ দেখে তারা। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে এসে ব্যাক টু ব্যাক ফাইনালে ইংল্যান্ড। তবে আরও একবার স্বপ্নভঙ্গ। ১০ ম্যাচে ৬ জয়ের পাশাপাশি ৩ ম্যাচে হারে থ্রি লায়ন্সরা। 

এরপর আর কোন বিশ্বকাপেই সেমিফাইনাল বা ফাইনালের মুখ দেখেনি ইংল্যান্ড। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে মাত্র ২ ম্যাচ জেতে দলটি। ৯৯ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের বাঁধা পেরোতেই ব্যর্থ হয় তারা। ২০০৩ বিশ্বকাপে একই ফলের পুনরাবৃত্তি। আবারও গ্রুপ পর্বেই শেষ ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ। 

২০০৭ বিশ্বকাপে কিছুটা আলোর মুখ দেখে ইংল্যান্ড। গ্রুপপর্ব পার হলেও অবশ্য সুপার এইটের বেশি যেতে পারেনি ইংল্যান্ড। ২০১১ বিশ্বকাপে এসে পারফরম্যান্স আরেকটু ভালো হয় ইংলিশদের। উঠে যায় কোয়ার্টার ফাইনালে। 

তবে ২০১৫ বিশ্বকাপে আবারও ব্যর্থ ইংল্যান্ড। গ্রুপপর্বে বিদায় নেওয়ার পর সম্পূর্ণ ঢেলে সাজায় ক্রিকেট কাঠামো।এরপরই বদলে যায় ইংলিশ ক্রিকেটের চেহারা। দারুণ খেলার মাধ্যমে বর্তমানে ওয়ানডে ফরম্যাটের অন্যতম সেরা দল তারা। বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত ৮৩ ম্যাচ খেলেছে ইংল্যান্ড। ৪৭ জয়ের পাশাপাশি হারের মুখ দেখেছে ৩৩ ম্যাচে। 

৩ বার ফাইনালে যেয়েও হারের মুখ দেখে ফিরে এসেছে ইংল্যান্ড। চতুর্থবারের চেষ্টায় পারবে কি তারা স্বপ্নের ট্রফিতে চুমু দিতে? উত্তরটা পাওয়া যাবে ১৪ জুলাই লর্ডস এর খেলা শেষেই।