প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তির প্রতিবাদে নোয়াখালীতে সড়ক অবরোধ

প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তির প্রতিবাদে ৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে নোয়াখালীতে সমাবেশ। তীব্র যানজটে ঢাকা-চট্টগ্রামগামী শতশত যানবাহন আটকা পড়ে হাজার হাজার যাত্রীর দুর্ভোগ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তির প্রতিবাদে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর ডাকে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এতে অংশ নেয়নি জেলা আওয়ামী লীগ।  শনিবার বিকাল ৪টায় জেলা শহর মাইজদীতে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে আবদুল মালেক উকিল প্রধান সড়কে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, একরামুল করিম চৌধুরী এমপি। এতে সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম সামছুদ্দিন জেহানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতাউর রহমান নাছের, জেলা যুবলীগ আহ্বায়ক ইমন ভট্ট ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক সুজনসহ একরামুল করিম চৌধুরীর অনুসারীরা বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে জেলার সদর, সুবর্ণচর, বেগমগঞ্জ, কবিরহাট উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে একরামের সমর্থকরা অংশ নেন।  সমাবেশে একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, যতদিন রাজনীতি করছি, ততদিন কর্মীদের রক্ত দিয়ে ভালোবেসেছি। আজ কারও বিরুদ্ধে কোনো কথা বলবো না। তবে আমার নেত্রীকে কটূক্তি করলে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে প্রতিবাদ করবো।

নিজ ডাকে সাড়া দেয়ায় কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগ কেন অংশ নেয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন বলেন, এটা আমাদের দলীয় কোনো কর্মসূচি নয়, কারও ব্যক্তিগত সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগ কেন অংশ নেব। ইতিপূর্বে একরামুল করিম চৌধুরী আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকে নিয়েও কটূক্তি করেছেন। ওইসব কারণে তাকে জেলা আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। ওই সুপারিশটি কেন্দ্রে বিবেচনাধীন রয়েছে। অতএব তার ডাকা সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের কেউই অংশ নেয়ার সুযোগ নাই। উল্লেখ্য- গত ২৫শে আগস্ট জেলার সুবর্ণচরের চরজব্বর ইউনিয়নের এক বিএনপিকর্মী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে তার ফেসবুক আইডিতে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। ওই কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পরে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তির প্রতিবাদে সদর ও সুবর্ণচর উপজেলায় সমাবেশের ডাক দেয় একরামুল করিম চৌধুরী এমপি। শহরবাসীরা জানায়, মাইজদী শহরের প্রদান সড়ক বন্ধ করে এ সমাবেশ করায় ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের হাজার হাজার পথচারী আটকা পড়ে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।