ব্রেকিং:
এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল ঋণ শোধের সক্ষমতা অর্জন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নোয়াখালীতে হেরে গেলেন ওবায়দুল কাদের পতেঙ্গায় আগুন ধরে প্রশিক্ষণ বিমান কর্ণফুলীতে, ২ পাইলট আহত
  • রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বিলুপ্তির পথে চিত্রা হরিণ

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর ২০১৮  

নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়ার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগেরর বুকে জেগে উঠা নিঝুম দ্বীপের মূল আকর্ষণ চিত্র হরিণ বিলুপ্তির পথে। অবাধে বৃক্ষ নিধন, শিকারীদের বেপরোয়া থাবা, শিয়াল-কুকুরের আক্রমণ ও পর্যাপ্ত খাদ্যের অভাবে দ্বীপটিতে হরিণের অস্তিত্ব সংকটে।

তাই দেশ-বিদেশ থেকে হরিণ দেখতে আসা পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। অথচ পরিকল্পিতভাবে উদ্যোগ নেয়া হলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।

৮০’র দশকে বন বিভাগ এখানে বনায়ন করে। এরপর ১৯৮৫ সালে সরকার এই দ্বীপে ২ জোড়া হরিণ অবমুক্ত করে। পরবর্তীতে তা বেড়ে দাড়ায় ৩০ হাজারে। ২০০১ সালে সরকার জাতীয় উদ্যান ও হরিণের অভয়ারন্য হিসেবে ঘোষণা করে নিঝুম দ্বীপকে।

বন উজাড় হওয়ায় এ সংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র ১০ হাজারে। গাছ কেটে বসতি গড়ে উঠায় আবাসস্থল হারাচ্ছে হরিণ। এছাড়াও রাত বিরাতে শিকারীরা হরিণ শিকার করে পাচার করছে। শিয়াল-কুকুরের আক্রমণে হরিণের প্রাণহানি ঘটছে অহরহ। দ্বীপের চারদিকে বেড়িবাঁধ না থাকায় নোনা পানি বনে ঢুকে হরিণের খাবার পানি ও খাদ্য সংকট দেখা দেয়। ফলে অনেক সময় প্রাণ বাঁচাতে হরিণ লোকালয়ে এসে ধরা পড়ছে মানুষের হাতে।

খাদ্য ও অবাস সংকটে হরিণ নিঝুম দ্বীপ ছেড়ে পাশ্ববর্তী অন্য দ্বীপগুলোতে চলে যাচ্ছে। দ্বীপে গাছ ও হরিণ কমে যাওয়ায় কমছে পর্যটক।

অপরদিকে নিঝুম দ্বীপের উন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপে গ্রহণ করেছে ডিসি। গ্রহণযোগ্য একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। ২০১৭ সালে নিঝুম দ্বীপকে জেলার ব্যান্ডিং ঘোষণা করে সরকার। নাম দেয়া হয় ‘নিঝুম দ্বীপের দেশ নোয়াখালী‘।

নিঝুম দ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দিন জানান, নিঝুম দ্বীপে সীমানা প্রাচীর না থাকা, খাদ্য সংকটসহ বিভিন্ন কারণে ৩০ হাজার হরিণ থেকে কমে ৮-১০ হাজারে নেমে এসেছে। অনেক সময় হরিণ পাচার হয়। তাছাড়া প্রতিটি ছোট বা মাঝারি হরিণ মূল্য ২৫-৩০ হাজার টাকা। ফলে টাকার লোভে অনেক স্থানীয় বাসিন্দা হরিণ শিকার ও পাচারের সঙ্গে জড়িত। হরিণ কমে যাওয়ায় পর্যটকও কমে গেছে।

নোয়াখালী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা তহিদুল ইসলাম জানান, মানুষ বন উজাড় করছে। এতে হরিণ বিচরণের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। খাদ্য সংকটসহ বিভিন্ন কারণে নিঝুম দ্বীপ ছেড়ে হরিণ পার্শ্ববর্তী বনে চলে যাচ্ছে। স্থানীয় বন বিভাগের বিট অফিসারদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দেওয়া আছে।

নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের এমপি আয়েশা ফেরদৌস জানান, নিঝুম দ্বীপ দেশের একটি সম্পদ। পর্যটকদের ফেরাতে হরিণগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। যে কোন মূল্যে বন্ধ করতে হবে নিঝুম দ্বীপের বৃক্ষ নিধন। যারা নিঝুম দ্বীপ ও দ্বীপের হরিণ ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।