ব্রেকিং:
কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল ঋণ শোধের সক্ষমতা অর্জন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নোয়াখালীতে হেরে গেলেন ওবায়দুল কাদের
  • রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

থমথমে রহস্যে ঘেরা অরণ্যে একবেলা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

পাহাড়ি রাস্তা কেটে পথ করা হয়েছে। তা বেশ খানিকটা উঁচু। খুব সাবধানে পা ফেলে উঠতে হবে। মাঝে মাঝে বসার জন্য বেঞ্চ আছে, সেখানেও সময় কাটানো যায়। পাহাড়ি জায়গায় হুট করে সন্ধ্যা নেমে আসে, তাই যতটা পারা যায় পা চালিয়ে এগোতে লাগলাম। আরো কিছুক্ষণ হাঁটার পর একজনকে জিজ্ঞেস করতেই বললো, আরো বিশ মিনিটের পথ।

কৃত্রিম ভাবে তৈরি রাস্তার পাশাপাশি পথচলতি মানুষ আরেকটা শর্টকাট বানিয়ে নিয়েছেন নিজেদের সুবিধার্থে; তবে সেটার ঝুঁকি একটু বেশি। ওপরে এসে মনে হলো এ এক অন্য জগৎ! থমথমে রহস্যে ঘেরা অরণ্যের মাঝে এক টুকরো ফাঁকা জায়গা। সামনের বনানীর বিস্তার কতদূর তা জানতে ইচ্ছে হলেও রহস্যভেদের উপায় নেই। ধোঁয়া ধোঁয়া মেঘ পেঁচার মত একটা ডাক। নির্জনতা যেমন গা ছমছমে পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে, তেমনই অজানার আকর্ষণ হাতছানি দিচ্ছে। একটা বড় পাথর ফটোগ্রাফির জন্য দারুণ একটা ফ্রেম তৈরি করেছে।

সবাই নিচে ফিরে যাওয়ার জন্য তাড়া দিতে লাগলেন। এত ওপরে জনমানবহীন জায়গা সত্যিই ভয় ধরায়। কিছুক্ষণ বাদে একজন লোক আর একটি বাচ্চাকে দেখে আমরা একটু সাহস পেলাম। তাদের অনুরোধ করে কয়েকটা ছবি তুলে এগিয়ে গেলাম লেকের দিকে। পাহাড়ের ওপর লেকটির নিশ্চুপ অবস্থান অবাক করে দেয়। লেকের চারপাশ ঘেরা সংস্কারের ছাপ স্পষ্ট। রংবেরঙের পতাকা দিয়ে সাজানো। এখানে আমরা একটি পরিবারের দেখা পেয়ে নিশ্চিন্ত হলাম, আরো কিছুক্ষণ কাটানো যাবে এটা ভেবে।

লেকের স্বর্গীয় পরিবেশ ছেড়ে আরো ২০ মিনিট পর আমরা নেমে আসলাম। সূর্য তখন যায় যায় করছে। ওঠা নামার পথে বসার কিছু জায়গা করা হয়েছে, ছবি তোলার জন্য আদর্শ জায়গাগুলো। পড়ন্ত সূর্যের আলোয় মাখা বৃক্ষরাজির রহস্য ভেদ করে নিচে কিছুটা সময় কাটিয়ে ফিরে এলাম। আগেই আমাদের হাউজ কিপিং-এর ছেলেটির থেকে জেনেছিলাম লামাহাট্টা লজ এর কর্তা তিমজং লামা মহাশয়ের কথা। এক সময়কার মিলিটারি ম্যান এবং এই অঞ্চলের আদি এবং অত্যন্ত গণ্যমান্য ব্যক্তির কথা। কাজের অবসরে এই প্ৰাচীন মানুষটি পর্যটকদের অনুরোধে নিজের পূর্ব জীবনের কথা শুনিয়ে থাকেন। বারান্দায় বসে চা পাকোড়া খেতে খেতে মনটা উদাস হয়ে গেল। কালই রওনা দিতে হবে তিনচুলের উদ্দেশ্যে।

লামাহাট্টা ঘোরা যেন সম্পূর্ণ হল। আমরা যতটুকু জানলাম তা হল পাহাড়ের ওপরের যমজ দু‘টি লেক (একটি বোজানো লতা পাতা দিয়ে)। স্থানীয় মানুষের মধ্যে লেক দু‘টি সম্পর্কে নানান সংস্কার প্রচলিত। অনেকে বিশ্বাস করেন, লেকের তলায় মানুষের কঙ্কালও মিলতে পারে!