নোয়াখালীতে বিএনপির ১০৫ নেতাকর্মীর হাইকোর্টে আগাম জামিন

ভোলায় পুলিশের গুলিতে দুই বিএনপি নেতা নিহত ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থানায় দায়ের করা মামলায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনোয়ারুল হক কামালসহ বিএনপির ১০৫ নেতাকর্মীর আগাম জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার (১১সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাদের ছয় সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। আদালতে এদিন জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

গত ৩ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ দলটির ১৭৫ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় ৪০০-৫০০ জনকে।

উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিদোয়ান ভূঁইয়া বাদী হয়ে সোনাইমুড়ী থানায় মামলাটি করেন। তিনি বলেন, এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা ঘটনার দিন বিনা কারণে হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীরা আমার মাথা ফাটিয়ে দেয়। ঘটনাকালের ভিডিও চিত্র দেখে আসামিদের চিহ্নিত করা হয়েছে।

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয় সড়কে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর সড়ক থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ছাত্রলীগ নেতা রিদোয়ান ভূঁইয়ার করা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক মেয়র মোতাহের হোসেনকে। এ এম মাহবুব উদ্দিন ছাড়াও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মামুনুর রশিদ, সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনোয়ারুল হক ওরফে কামাল ও জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মাহমুদ হাসানকে।

ভোলায় পুলিশের গুলিতে দুই নেতা নিহত ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ২৭ আগস্ট বিকেলে সোনাইমুড়ীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি। এ মিছিলে হামলা চালান আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ নেতাকর্মী আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ২৭ আগস্ট রাতে একটি এবং ২৯ আগস্ট আওয়ামী লীগের কর্মী আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেন। দুটি মামলার একটিতে ৯৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২৫০ জন এবং অন্যটিতে ১৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪০০ জনকে আসামি করা হয়।