ব্রেকিং:
এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল ঋণ শোধের সক্ষমতা অর্জন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নোয়াখালীতে হেরে গেলেন ওবায়দুল কাদের পতেঙ্গায় আগুন ধরে প্রশিক্ষণ বিমান কর্ণফুলীতে, ২ পাইলট আহত
  • রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বাজেটে ‘ব-দ্বীপ’ মহাপরিকল্পনা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০১৯  

জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন হয়েছে। বাজেটে ‘নিরাপদ, জলবায়ু পরিবর্তনে অভিঘাতসহিঞ্চ সমৃদ্ধশালী রূপকল্পকে সামনে নিয়ে সরকার ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ নামে একটি অভিযোজনভিত্তিক, দীর্ঘমেয়াদি, সমন্বিত ও সামষ্টিক মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।

পদ্মা, যমুনা, ও মেঘনাসহ অসংখ্য নদ-নদী নিয়ে গঠিত বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীপ বাংলাদেশ। কিন্তু নদীর গতিপথ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে। ঘনবসতির কারণে সম্ভাব্য যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে এদেশে বিপর্যয়ের মাত্রা বহুগুণ বেড়ে যেতে পারে যা টেকসই উন্নয়নের পথে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তাই ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ নামে এই সামষ্টিক মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। 

পানি সম্পদের টেকসই ব্যবহার এবং পানির দ্বারা সৃষ্ট প্রাকৃতিক বিপর্যয় এর প্রতিকূল প্রভাব কমানো এই পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য। ব-দ্বীপ পরিকল্পনা পানি, জলবায়ু পরিবেশ ও ভূমির টেকসই ব্যবস্থার দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে দেশের স্বল্প ও মধ্য মেয়াদি পরিকল্পনাসমূহের সমন্বয় করবে। 

এতে পানি নিরাপত্তা এবং পানি ব্যবহারে অধিকতর দক্ষতা অর্জন, সমন্বিত ও টেকসই নদী অঞ্চল এবং মোহনা ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা, জলাভূমি এবং বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণ ও তাদের যথোপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করা, আন্তঃ ও আন্তঃদেশীয় পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য কার্যকর প্রতিষ্ঠান ও ন্যায়সঙ্গত সুশাসন গড়ে তোলা ইত্যাদি কতিপয় সুনির্দিষ্ট অভীষ্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। 


 

ছবি: বাজেট বইয়ের স্ক্রিন শর্ট

ছবি: বাজেট বইয়ের স্ক্রিন শর্ট

একই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকির সম্মুখীন জেলাগুলোকে একেকটি গ্রুপের আওতায় এনে ডেল্টা পরিকল্পনায় মোট ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে।

ব-দ্বীপ পরিকল্পনায় জাতীয় পর্যায়ের কৌশলের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কিত নির্দিষ্ট এবং পরস্পর সম্পর্কযুক্ত বিষয়ে বিভিন্ন কৌশল বিবৃত রয়েছে। 

এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মোট দেশজ আয়ের ২.৫ শতাংশ অর্থের প্রয়োজন হবে যার মধ্যে প্রায় ২ শতাংশ সরকারি খাত হতে এবং ০.৫ শতাংশ অর্থায়ন বেসরকারি খাত হতে নির্বাহ করতে হবে। 

বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নদী ভাঙন, নদী খনন, নদী শাসন এবং নৌ-পরিবহণসহ নদী ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় হবে মোট বিনিয়োগের ৩৫ শতাংশ। 

প্রথম পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য ব-দ্বীপ পরিকল্পনার অধীনে ৮০টি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে যার মধ্যে ৬৫টি ভৌত অবকাঠামো সংক্রান্ত এবং ১৫ টি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং গবেষণা বিষয়ক।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় অধিবেশন শুরু হয়। প্রস্তাবিত বাজেট পেশ শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। পরে তিনি অসুস্থতা বোধ করলে স্পিকারের অনুমতি সাপেক্ষে বাজেট পেশ সম্পন্ন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

এই বাজেট পাস হবে আগামী ৩০ জুন। আর নতুন অর্থবছর শুরু হবে ১ জুলাই।