ব্রেকিং:
রাইসির মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক নোয়াখালীতে মাথাসহ হরিণের ৩০ কেজি মাংস উদ্ধার হাসপাতাল নয় যেন গারদখানা সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে রাইসির হেলিকপ্টার, কোনো আরোহী বেঁচে নেই রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের ছবি-ভিডিও প্রকাশ্যে আজ থেকে ৬৫ দিন সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ নোয়াখালীতে শতকোটি টাকার জমি উদ্ধারের পর প্রকৌশলী বদলি লক্ষ্মীপুরে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ কাঁচা মরিচের কেজি ছাড়াল ২০০ টাকা এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
  • সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর বর্ণাঢ্য জীবন

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২  

জাতীয় সংসদের উপনেতা, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী মারা গেছেন। গত রাত ১১টা ৪০ মিনিটে তিনি ঢাকার সিএমএইচে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৫৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলের হাল ধরেন। ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর তাঁর পাশে থেকে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে তিনি অনন্য ভূমিকা রাখেন।

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গঠন করা পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।

সাজেদা চৌধুরী ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সময়কালে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালে কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধে।

সাজেদা চৌধুরী ১৯৭২-১৯৭৫ সময়কালে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, ১৯৭২-১৯৭৬ সময়কালে বাংলাদেশ গার্লস গাইডের ন্যাশনাল কমিশনার ছিলেন। তাঁর জন্ম ১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরা জেলায় মামার বাড়িতে। তাঁর পিতা সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মাতা সৈয়দা আছিয়া খাতুন। শিক্ষাজীবনে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর স্বামী রাজনীতিবিদ এবং সমাজকর্মী গোলাম আকবর চৌধুরী। ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৭৪ সালে গ্রামীণ উন্নয়ন ও শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য ইউনেসকো ফেলোশিপ পান। একই সময় তিনি বাংলাদেশ গার্ল গাইড অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় কমিশনার হিসেবে সর্বোচ্চ সম্মানসূচক সনদ ‘সিলভার এলিফ্যান্ট’ পদক লাভ করেন। ২০০০ সালে তাঁকে ‘ওমেন অব দি ইয়ার’ নির্বাচিত করে আমেরিকান বায়োগ্রাফিক্যাল ইনস্টিটিউট। ২০১০ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে।

আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের এই কাণ্ডারির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ অন্যান্য নেতারাও।