ব্রেকিং:
এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল ঋণ শোধের সক্ষমতা অর্জন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নোয়াখালীতে হেরে গেলেন ওবায়দুল কাদের পতেঙ্গায় আগুন ধরে প্রশিক্ষণ বিমান কর্ণফুলীতে, ২ পাইলট আহত
  • রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন খাটি পরিবেশ প্রেমিক: পরিবেশমন্ত্রী

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১  

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন খাটি পরিবেশ প্রেমিক।

তিনি বলেন, বাল্যকাল থেকে প্রকৃতির প্রতি ছিলো তার অগাধ ভালোবাসা। রাজনৈতিক কারণে বারবার কারাবরণ করতে গিয়ে তার এ প্রকৃতি প্রেম আরো গভীর রূপ নেয়। বঙ্গবন্ধু কারাজীবনে যেটুকু সময় ও সুযোগ পেয়েছেন, নিজের ওয়ার্ড বা সেলের সামনে ফুলের বাগান গড়েছেন। তার এ বৃক্ষপ্রেম দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আরো বৃহত্তর পরিসরে বিকশিত হতে থাকে।

বুধবার তার রাজধানীর সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত মুজিববর্ষে শতঘণ্টা মুজিবচর্চার ধারাবাহিক অনুষ্ঠানে ‘প্রকৃতি ও পরিবেশ প্রেমিক বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শাহাব উদ্দিন বলেন, স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের পাশাপাশি একজন দূরদর্শী রাজনীতিবিদ হিসেবে দেশের প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর রেসকোর্স ময়দানে গাছ লাগিয়ে ঘোড় দৌড়ের ময়দানকে ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যান’ এ পরিণত করেন। দেশজুড়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করতে সকলকে অনুপ্রাণিত করেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর হাতে শুরু হওয়া উপকূলীয় বনায়ন এখন সারাবিশ্বেই মডেল হয়ে উঠেছে।

মন্ত্রী বলেন, দেশে প্রতিবছর যথানিয়মে পালিত হচ্ছে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। দেশজুড়ে বৃক্ষপ্রেমী মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আজকের বাংলাদেশের রাস্তার দুই পাশে যে সারি সারি বৃক্ষরাজি আমাদের প্রকৃতিকে অপরূপ করেছে, দৃষ্টিনন্দন করেছে, এটি সূচিত হয়েছিল জাতির পিতার হাত ধরেই। জাতির পিতার বিভিন্ন কার্যকরী উদ্যোগেই দেশে পরিবেশ রক্ষা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।

বনমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় জাতির পিতার প্রদর্শিত পথেই হাঁটছে। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির সামাজিক আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে সরকারের পাশাপাশি সকল বেসরকারি সংস্থা, শ্রেণি-পেশার মানুষকে দল, মত, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত স্বপ্নের সবুজ শ্যামল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সক্ষম হবো।

মেহেরপুরের ডিসি ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।