ব্রেকিং:
এক জালে মিলল ৫৫০০ পিস ইলিশ, ১৭ লাখে বিক্রি ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের পুনর্জন্ম ফেনীতে কিশোর গ্যাং পিএনএফের প্রধানসহ গ্রেফতার ৫ সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল ঋণ শোধের সক্ষমতা অর্জন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নোয়াখালীতে হেরে গেলেন ওবায়দুল কাদের পতেঙ্গায় আগুন ধরে প্রশিক্ষণ বিমান কর্ণফুলীতে, ২ পাইলট আহত
  • রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সাইনবোর্ড বিলবোর্ড ব্যানারে ইংরেজির দৌরাত্ম্য চলছেই

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

উচ্চ আদালতের নির্দেশের প্রায় ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ডে বাংলা লেখা নিশ্চিত করা যায়নি। তেমন কমেনি সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড থেকে শুরু করে ব্যানার ও গণমাধ্যমে ইংরেজি বিজ্ঞাপনের দৌরাত্ম্য।
২০১৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বিদেশি দূতাবাস ও প্রতিষ্ঠান বাদে দেশের সব সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার, গাড়ির নম্বরপ্লেট, দফতরগুলোর নামফলক এবং গণমাধ্যমে ইংরেজি বিজ্ঞাপন ও মিশ্র ভাষার ব্যবহার বন্ধ করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু বাস্তবে আমরা কী দেখছি? আদালতের এই আদেশ কতটুকু মান্য করা হয়েছে তা রাজধানীর যেকোনো সড়কে গেলে সহজেই অনুমেয়। বিশেষ করে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাইনবোর্ডে ইংরেজির দৌরাত্ম্য বেশ ভালোভাবেই চোখে পড়ে। 

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়, বিপণি বিতান, রেস্তোরাঁ, হাসপাতাল বা অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠানের নাম ইংরেজিতে রাখার প্রবণতা বেশি। অন্যদিকে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সাইনবোর্ড বাংলায় প্রতিস্থাপনের নির্দেশ দিলেও তা পুরোপুরি কার্যকর হয়নি।

সর্বত্র ইংরেজিতে লেখা সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, নামফলকের ছড়াছড়ি হলেও আশার কথা হলো, সরকারি দফতরের সাইনবোর্ড বা নামফলক বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাংলায় রূপান্তর হয়েছে। এছাড়া যানবাহনের ডিজিটাল নম্বরপ্লেটগুলো বাংলায় সরবরাহের কারণে এক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ অনেকটাই বাস্তবায়ন হয়েছে বলা যায়। 

২০১৪ সালের ২৯ মে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভার মাধ্যমে আদালতের আদেশ কার্যকরের সিদ্ধান্ত হয়। তারপরও বাংলা ব্যবহারে দৃশ্যত কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় ২০১৫ সালের ১৮ আগস্ট আদালত কড়া ভাষায় মন্তব্য করেন।  

একটু ঘুরে আসা যাক-

ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডে দাঁড়িয়ে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডগুলোর দিকে তাকালে বোঝার উপায় থাকে না, এটি বাংলা ভাষাভাষী একটি দেশের রাজধানী শহর। অধিকাংশ সাইনবোর্ড বড় বড় ইংরেজি হরফে লেখা।  

গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, মিরপুর, মগবাজার, পল্টন এলাকায়ও একই চিত্র। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, দোকানপাটের বেশির ভাগ সাইনবোর্ড ইংরেজিতে লেখা। অথচ আইন বলছে, সব নামফলক ও সাইনবোর্ড বাংলায় লিখতে হবে।

বছর দুয়েক আগে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন পত্রপত্রিকায় একটি গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাইনবোর্ড বাংলায় লেখার নির্দেশ দেয়। কয়েক দিন ধরে তারা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কিছু অভিযানও পরিচালনা করেছিল। এতে কিছুটা পরিবর্তন দেখা গেলেও দীর্ঘমেয়াদি কোনো সুফল বয়ে আনেনি।    

উদাসীন ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন

জানা গেছে, অনেকেই জানেন না বাংলায় সাইনবোর্ড লেখা বাধ্যতামূলক। আবার অনেকে যুক্তি দেখান- ব্র্যান্ডের নাম ও লোগো ইংরেজিতে হওয়ার কারণে সাইনবোর্ড ইংরেজিতে বানানো হয়েছে।

কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ট্রেড লাইসেন্স দেয়ার সময় সাইনবোর্ড বাংলায় লেখার ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া থাকে। তারপরও অনেকে সেটা অনুসরণ করে না। সেসব প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স বাতিলের ক্ষমতা সিটি কর্পোরেশনের রয়েছে। অথচ সিটি কর্পোরেশন কখনোই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি।

শিক্ষা, জীবিকার ভাষা হিসেবে ইংরেজি প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় বাংলা পিছিয়ে পড়েছে। এ অবস্থা বদলাতে হলে শিক্ষিত শ্রেণি এবং সরকারকে আন্তরিকভাবে বাংলা চর্চাকে গুরুত্ব দিতে হবে।