ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

৬৯`র গণ অভ্যুত্থানের চার শহীদ বঞ্চিত

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

নোয়াখালীর সেনবাগবাসীর জন্য শোকাবহ এক স্মরণীয় দিন ছিলো ১৯ ফেব্রুয়ারি। ১৯৬৯ সালের এই দিনে নিহত চার শহীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সর্বস্তরের জনগণ।

মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে সেনবাগ থানার মোড়ে লেখক ফোরামের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, ছাত্রদের অংশগ্রহণে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে ফোরামের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ আবু তাহের বক্তব্য রাখেন।

উপস্থিত ছিলেন, ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাজী আমান উল্যা, সাংবাদিক খোরশেদ আলম, এম এ আউয়াল, ভাসানী সংসদের সভাপতি আবদুস ছোবহান প্রকাশ, আ'লীগ নেতা ভিপি দুলাল, কবি জাহাঙ্গীর বাবু, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম, সাংবাদিক মো. হারুন ও খন্দকার নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।

জানা গেছে, ১৯৬৯’র এ দিনে সার্জেন্ট জহুরুল হক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সামসুজ্জোহা কে হত্যার প্রতিবাদে নোয়াখালীর সেনবাগে কালো দিবস পালন কালে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন চার যুবক। এরা হলেন, পৌরশহর অর্জুনতলা গ্রামের অফিজের রহমান, বাবুপুর গ্রামের আবুল কালাম, জিরুয়া গ্রামের সামছুল হক ও মোহাম্মদপুর গ্রামের খুরশিদ আলম।

ওই সময় পুলিশের গুলিতে আরো ১৮ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘ ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও ৬৯-এর সেই ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবার পায়নি রাষ্ট্রীয় কোনো সুযোগ সুবিধা এবং সংরক্ষণ করা হয়নি শহীদদের কবর। তৎকালীন ঘটনার দু’দিন পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেনবাগে এসে নিহত শহীদের কবর জিয়ারত করে পরিবারের লোকজনের মাঝে ৫শত টাকা অনুদান ও একটি করে সনদপত্র তুলে দেন।
সরকারিভাবে কোনো সুযোগ সুবিধা না পেলেও জিরুয়া গ্রামের শহীদ সামছুল হকের মা স্বামীর সম্পত্তি বিক্রি করে পুত্রের কবর পাকাকরণ ও ছেলের নামে একটি মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু করে ইন্তেকাল করেন।

উল্লেখ্য, প্রতি বছর ১৯ ফেব্রুয়ারি নিহত চার শহীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন মানববন্ধন, স্মারকলিপি সহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে।