ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

হুয়াওয়ে ও অ্যাপলের লোগোতে মিল রয়েছে কেন?

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০১৯  

একবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই প্রযুক্তি দুনিয়ায় চায়না একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান ধরে রেখেছে। ধারণা করা হয় পৃথিবীর মোট ইলেকট্রনিক হার্ডওয়্যার এর তিন ভাগের দুইভাগই চীনে উৎপাদিত হয়। মোবাইল ফোন তৈরিতেও পিছিয়ে নেই চীন। ২০১৮ সালে পৃথিবীর সবথেকে জনপ্রিয় মোবাইল ফোনের তালিকায় স্যামসাং এর পরে অ্যাপলকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় অবস্থানে আসে হুয়াওয়ে। কিন্তু সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চীনের ব্যাবসা ও প্রযুক্তি যুদ্ধে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় হুয়াওয়ে।
যুক্তরাষ্ট্রে হুয়াওয়ে নিষিদ্ধ এবং খুব দ্রুত হুয়াওয়ের সাথে সব মার্কিন কোম্পানির ব্যবসায়ীক সম্পর্ক ছিন্ন করা হলে হুয়াওয়ে হারিয়ে ফেলবে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম এর সকল ভবিষ্যৎ আপডেট। এছাড়াও হুয়াওয়ে ফোনে গুগলের সব সার্ভিসও বন্ধ হয়ে যাবে। যা নিয়ে বিশ্বব্যাপী হুয়াওয়ের কাস্টমারদের মধ্যে চলছে দুশ্চিন্তা। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়াতেও হুয়াওয়ে নিয়ে চলছে নানা ধরনের ট্রল। কিন্তু কতটুক জানি আমরা হুয়াওয়ে সম্পর্কে? হুয়াওয়ে কি শুধুই একটি মোবাইল ফোন কোম্পানি? তাহলে দেরি না করে জেনে আসা যাক হুয়াওয়ে সম্পর্কে অজানা সব তথ্য-

১. অন্যান্য টেক কোম্পানিগুলোর থেকে হুয়াওয়ে এর প্রতিষ্ঠার গল্প ভিন্ন। বেশিরভাগ টেক কম্পানি তরুণ উদ্যেক্তা দ্বারা প্রতিষ্ঠা হলেও হুয়াওয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় ৪২ বছর বয়সী রেন জেংফি দ্বারা। হুয়াওয়ে প্রতিষ্ঠার পূর্বে রেন চাইনিজ লিবারেশন আর্মির একজন টেকনিশিয়ান ছিলেন। ৪২ বছর বয়সী রেন নিজের মিডলাইফ ক্রাইসিস থেকেই হুয়াওয়ে প্রতিষ্ঠা করেন। রেন কখনো ধারনা করেনি তার প্রতিষ্ঠান একদিন পৃথিবীর সবথেকে বড় কোম্পানিগুলোর একটিতে পরিণত হবে। বর্তমানে রেন এর বয়স ৭৩। তিনিই হুয়াওয়ে এর বর্তমান প্রেসিডেন্ট এবং চায়নার ৫০০ বিলিয়নারদের মধ্যে একজন।

২. হুয়াওয়ে নামটি মূলত দুইটি চাইনিজ শব্দের মিলিত শব্দ। হুয়াওয়ে এর হু অর্থ চাইনিজ এবং য়াওয়ে এর অর্থ এচিভমেন্ট বা অ্যাকশন। এভাবে হুয়াওয়ে শব্দের অর্থ দাড়ায় চাইনিজ এচিভমেন্ট হিসেবে। চায়নার প্রথমদিকের টেক কোম্পানি হওয়া হুয়াওয়ে নামটি দিয়ে রেন জেংফে মূলত প্রয়ুক্তিক্ষেত্রে চাইনিজদের অগ্রগতি এবং প্রাপ্তিকে বুঝাতে চেয়েছিলেন।

৩. সম্প্রতি এশিয়ান গ্লোবাল প্রেসে একটি ইন্টারভিউতে হুয়াওয়ে এর প্রতিষ্ঠাতা রেন জেংফে বলেছেন টেক কোম্পানি প্রতিষ্ঠায় তার সবথেকে বড় অনুপ্রেরণা ছিল অ্যাপল। এছাড়াও হুয়াওয়ে এবং অ্যাপলের লোগতেও মিল রয়েছে। রেন এর বক্তব্য অনুযায়ী হুয়াওয়ের লোগোর সবকিছু যোগ করলে তা থেকে অ্যাপলের লোগো পাওয়া যাবে।

৪. আমরা অনেকেই হয়তো হুয়াওয়েকে একবিংশ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত কোনো টেক কোম্পানি হিসেবে বিবেচনা করে থাকি। কিন্তু হুয়াওয়ে এর প্রতিষ্ঠা একবিংশ শতাব্দীর অনেক পূর্বেই হয়েছিল। বিংশ শতাব্দীর শেষভাগেও চায়নার মিলিটারি নিজস্ব যোগাযোগের জন্য আমদানিকৃত টেলিকমিউনিকেশন ইকুইপমেন্ট এর উপর নির্ভর করত। কিন্তু তা চায়নার নিরাপত্তার জন্য একটি ঝুঁকি ছিল। একারণে ১৯৮০ সালে রেন জেংফে চায়নার সেনজেন শহরে হুয়াওয়ে প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথমদিকে হুয়াওয়ে শুধুমাত্র টেলিফোনে সুইচ তৈরি করত। পরবর্তীতে, অন্যান্য টেলিকমিউনিকেশন ইকুইপমেন্ট তৈরি শুরু করে। ধীরে ধীরে হুয়াওয়ে তাদের বিজনেস নেটওয়ার্ক ব্যান্ডের দিকে বিস্তার করে। ২০১০ সাল নাগাত হুয়াওয়ে পৃথিবীর সবথেকে বড় নেটওয়ার্ক ব্যান্ড প্রভাইডরে পরিণত হয়৷ বিশ্বের প্রায় ৮০ ভাগ টেক কোম্পানির সাথে মিলিতভাবে হুয়াওয়ে বিশ্বের ১৭২ টি দেশে তাদের নেটওয়ার্কিং সেবা দিয়ে থাকে।

৫. হুয়াওয়ে এর রিসার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট খাতে প্রায় ৭৫ হাজার কর্মচারী রয়েছে। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হুয়াওয়ের প্রায় ১৮ টি রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার রয়েছে। যা অন্য কোন টেক কম্পানির নেই।প্রতি বছত হুয়াওয়ে তাদের লাভের ১০ ভাগ রিসার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট খাতে ইনভেস্ট করে।

৬. হুয়াওয়ের মোট শেয়ারের ৬৪ ভাগের মালিক এর নিজস্ব কর্মকর্তারা। এই ৬৪ ভাগ শেয়ার বাইরের কোনো কোম্পানির কাছে বিক্রি নিষিদ্ধ। এছাড়াও হুয়াওয়ের বোর্ড অব ডিরেক্টরে ১৭ টি সিট হুয়াওয়ে কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ। প্রতি ৫ বছরে ভোটের মাধ্যমে এই বোর্ড অফ ডিরেক্টরদের নির্বাচিত করা হয়।

৭. চায়নার সিলিকন ভ্যালি হিসেবে পরিচিত সেনজেন এ প্রতিষ্ঠিত  প্রথম টেক কোম্পানিগুলোর একটি হুয়াওয়ে। এছাড়াও সেনজেনকে চাইনিজ সিলিকন ভ্যালি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হুয়াওয়ে এর ভূমিকা অনেক।

৮. ফাইভ জি নেটওয়ার্ক এর সবথেকে বড় প্রভাইডার হবে হুয়াওয়ে।