ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

হাতিয়ায় বন বিভাগে বাগান বন্দোবস্তের কারনে ইউএনডিপির প্রকল্পে বাধা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

চারদিকে কেওড়া বাগান, মাঝখানে ছোট ছোট পুকুর, পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাষ, চার পাড়ে বিভিন্ন ফল ফলাদির গাছ, নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সাগরিয়া রেঞ্জের বড়দেইল মৌজার বেড়ীর বাহিরে কেওড়া বাগানের ভিতরের দৃশ্য এটি। ইউ এন ডিপির অর্থায়নে ৩ এফ মডেল (বনজ-ফলজ-মৎস্য) মাধ্যমে বাস্তাবায়ন করা হচ্ছে এই প্রকল্প। সম্প্রতি একটি চক্র বাগান সহ এই জায়গা বন্দোবস্ত নিয়েছে বলে দাবী উত্থাপন করে। এতে বন্ধ হয়ে যায় প্রকল্পের কাজ। দীর্ঘ ১০ বৎসরের পুরোনো এ বাগান সহ জায়গা কিভাবে বন্দোবস্ত দেওয়া হলো তা এখন দেখার বিষয়।

জানা যায় হাতিয়ার সাগরিয়া রেঞ্জের আওতায় বড়দেইল মৌজার সংরক্ষিত বনের মধ্যে ইউ এন ডিপির অর্থায়নে ৪০ হেক্টর জায়গার মধ্যে এই প্রকল্পের স্থান নির্ধারন করা হয়। এতে ২ শতটি পুকুর খনন করে তা ভূমিহীন উপকার ভোগী পরিবারের মধ্যে বিতরন করা হবে। যারা মাছ চাষ, সবজি চাষ ও বিভিন্ন কাঠ গাছ রোপন করে সুবিধা ভোগ করবে।

সরজমিনে দেখা যায়, কেওড়া বাগানের মধ্যে ১০টি পুকুর খনন করা হলেও বাকি পুকুর খনন করতে গেলে একটি গ্রুপ বাধা দেয়। তাদের দাবী এই জায়গা তারা বন্দোবস্ত নিয়েছে। বন বিভাগ জানান সাগরিয়া রেঞ্জের বুড়িরচর ইউনিয়নের বড়দেইল মৌজার জেএল নং-৬১-৩৫, সিট নং-৩ বর্ধিত অংশ দাগ নং-১-৭৩৪ মোট ভূমির পরিমান ১ হাজার ১২ একর। উক্ত ভূমি নোটিফিকেশন এলাকায় ভূমি মন্ত্রালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রালয়ের মতামত ব্যতীত কোন প্রকার বন্দোবন্ত ইজারা প্রদান করা আইনের পরিপন্থী। এই ব্যাপারে সরকারি ভাবে সাগরিয়া রেঞ্জের এর আওতায় ২ হাজার ১ শত ৬১ একর বনভূমি ২০ ধারার ক্ষমতা বলে সংরক্ষিত বন ভূমি ঘোষনা করে ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। সরকারি গেজেট এর আওতাধীন জায়গা বন্দোবস্ত দেওয়া সম্পূর্ণ আইনের পরিপন্থী বলে মনে করেন বন বিভাগ। এই বিষয়ে উক্ত জায়গা বন্দোবস্ত দেওয়া নথী বাতিল করার জন্য নোয়াখালী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা তহিদুল ইসলাম একাধিক বার নোয়াখালী জেলা প্রশাসককে লিখিত ভাবে অবহিত করেন।

সম্প্রতি একটি পক্ষ উক্ত জায়গায় প্রকল্পের কাজ বন্ধ রেখে বন্দোবস্ত পাওয়া লোকদের মধ্যে জায়গা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য সাগরিয়া রেঞ্জ অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন। এছাড়া তারা উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এ ব্যাপারে সাগরিয়া রেঞ্জের চর আলীম বিট কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন হাতিয়া থানায় একটি সাধারন ডাইরী করেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন সঙ্গবদ্ধ দল গত ৪ জানুয়ারি সাগরিয়া রেঞ্জ অফিসে এসে তাকে সহ অফিসের সকল কর্মকর্তাকে প্রানে হত্যার হুমকি দেয়।

এ ব্যাপারে সাগরিয়া রেঞ্জের কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হক সর্দ্দার জানান, বন আইনের ৪ ধারা মোতাবেক সাগরে জেগে ওঠা নতুন ভূমি বন্দোবস্ত, ইজারা দিতে হলে বন বিভাগের একটি ছাড় পত্র প্রয়োজন হয়। কিন্তু এখানে ১৫ বৎসরের পুরানো বাগান কিভাবে ভূমি অফিস বন্দোবস্ত দিয়েছে তা মোটেই বোধগম্য নহে। এছাড়া যারা বন্দোবস্ত পেয়েছে বলে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন তাদের কেউই খাস জমি বন্দোবস্ত পাওয়ার যোগ্যতা রাখেনা। কারন তারা অনেকে বিত্তশালী তাদের অনেক ধন সম্পত্তি রয়েছে।

এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে হাতিয়া সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ছৈয়দ মাহবুবুল ইসলাম জানান, যেহেতু অনেক আগে এই নথী গুলো বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে তাই বাস্তবতা আমার জানা নাই। তবে সাগরিয়া রেঞ্জের আওতায় ২ হাজার ৬১ একর জায়গা সংরক্ষিত বন ভূমি হিসাবে ঘোষনা করা হয়েছে তা পরিমান করে বন বিভাগকে বুঝিয়ে দেওয়ার একটি সিদ্ধান্ত হয়। আমরা অফিসিয়াল ভাবে কাগজ পত্রে এই পরিমাপ ঠিক করে নি”িছ। আগামী দুই এক দিনের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে বন বিভাগকে তাদের জায়গা বুঝিয়ে দিব। এর মধ্যে কোন বন্দোবস্ত নথি পড়লে তা বাতিল করার ব্যবস্থা নিব।