ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বর্ন দ্বীপকে ঘিরে হাতিয়ায় সী-পোর্ট হওয়ার সম্ভাবনা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০  

সমুদ্র সীমা জয়ের পর ব্লু ইকোনমির বিষয়টি দ্রুত সামনে আসে। সরকার এ বিষয়ে বসে নেই। জাপানের সাথে ব্লু ইকোনমি প্রসারে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে এবং কাজ করে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বানিজ্যির দ্রুত প্রসারে ব্লু ইকোনমির বিকল্প নাই। সারা পৃথিবী বিশেষ করে জাপান, নেদারল্যান্ডস ও সিঙ্গাপুর তাদের বানিজ্যের ৮০% আয় করে বন্দর সুবিধা ব্যবহার করে। দেশেন সুষম ও টেকসই উন্নয়নে বন্দরের উন্নয়নের বিকল্প নাই। বন্দরকে কেন্দ্র করে বহু মুখী অবকাঠামোগত ও পরিবেশগত উন্নয়নই পারে ব্লু ইকোনমির ধারনাকে বাস্তব রুপ দিতে। দেশের পুরো উপকূলটা যেন বিধাতা প্রদত্ত প্রাকৃতিক বন্দর।

বাংলাদেশে নদীগুলি না থাকলে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আমরা পদ্মা সেতুর জন্যে ৫৩,০০০ টনের জাহাজে পাথর এনে খালাশ করতে পারতাম না – এটা আমরা কতটুকু বুঝি?? ব্রিটিশরা যে এই এলাকার maritime potential উপলব্ধি করেছিল, এই বড় আকৃতির জাহাজগুলিও বাংলাদেশে খালাশ করা যাচ্ছে। দ্বীপ সী-পোর্ট যদি আমাদের না-ই থাকবে, তাহলে এত্তোবড় জাহাজ আমরা কি করে খালাশ করলাম?? মালামাল খালাশ করতে আমাদের জেটি লাগেনা, এটা আমাদের নদী সম্পদের প্রাচুর্য্যের কারণে, বন্দরের অসুবিধার কারণে নয়। অন্য দেশের এই সুবিধা নেই বলে আমরা কি আমাদের এই সুবিধাকে unfair advantage মনে করবো??

টেকসই পরিকল্পনার মাধ্যমে এসব উপকূল হতে হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। সম্ভব এ এ উপকূলীয় অঞ্চল সুবিধাকে ব্যবহার করে অর্থনীতির চাকা সচল করতে। দেশের বেকারত্ব দূরের পাশাপাশি বৃদ্ধি পাবে কর্মসংস্থান ও হ্রাস পাবে সামাজিক অস্হিরতা। সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত হবে পুরো দেশ। নানা রকমের খাল ও নদী নালার মিলন স্হল হল এ উপকূলীয় অঞ্চল। এখানে সমুদ্রের নোনা জল হল অর্থনীতির তরল সম্পদ।এ নোনা জলে মিশিয়ে আছে নানা রকমের মাছ, বালি, রত্ন, গ্যাস ও শিল্পের কাঁচামাল।কিন্তু এসব সম্পদ আজও ব্যবহার উপযোগী করা হয়নি কিংবা তার কোন পরিকল্পনাও দৃশ্যমান নয়।

সম্প্রতি সময়ে পর্যটন আকর্ষনে হাতিয়ার রোডকে সোনাপুর হতে বয়ারচর পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্ত করনের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে, এছাড়াও স্বর্নদ্বীপ হল এশিয়ার বৃহত্তর সেনা ক্যান্টমেন্ট। এ দ্বীপকে এমনভাবে সাজানো হয়েছে যার পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এ অঞ্চলকে বাংলার সিঙ্গাপুর হিসেবে বলেছেন। ভোলায় নৌ বাহিনীর ক্যাম্প হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হাতিয়ার অবস্থানটা হল এমন যেখান থেকে সহজে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, বরিশাল, বরগুনা, সুন্দরবন, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী,সিলেট, ঢাকাতে ও রাজশাহী নৌ পথে আসা যাওয়া করা যাবে।এতে করে চট্টগ্রাম, মংলা, পায়রা ও সোনাদিয়া বন্দরের সাথে কম সময়ে যোগাযোগ করা যাবে।বড় বড় জাহাজ গুলো এমনিতে বঙ্গোপসাগরে নোঙর করে, লাইটার জাহাজ বা কার্গো জাহাজে করে তা লোড আনলোড করতে হয়। হাতিয়াতে (বয়ারচরে) বন্দর হলে এ লোড ও আনলোড খুব সহজে করা যাবর কেননা হাতিয়ার নদীতে পানির গভীরতা অনেক বেশি তাই লোড আনলোডের জন্য জোয়ার ভাটার উপর নির্ভর করতে হবেনা।ঢাকার সাথে চট্টগ্রাম, পটুয়াখালী ও মংলা ইত্যাদির দূরত্ব কমবে।রাস্হায় অহেতুক জ্যাম কমবে, হ্রাস পাবে জ্বালানি, পরিবহন ব্যয় হ্রাস পাবে ও হ্রাস পাবে গাড়ির হর্ন।এতে সময় ও টাকা সেভ হবে এবং পরিবেশ রক্ষা হবে।

আমাদের দেশে বেশিরভাগ পণ্যই (প্রায় তিন-চতুর্থাংশ) ওঠানামা করা হয় বহির্নোঙ্গরে; অর্থাৎ সমুদ্রের মাঝখানে। বড় জাহাজ (৫০,০০০টন বা তারও বেশি) সেখানে আসার পরে নোঙ্গর করে। এরপর ছোট জাহাজ (৫০০টন থেকে ২,০০০ টন পর্যন্ত হয়), যেগুলিকে লাইটার জাহাজ বলে, সেগুলি বড় জাহাজের পাশে এসে ভিড়ে। তখন কোন একটা পদ্ধতি করে (পণ্যের ধরণের উপরে নির্ভর করে) সেই পণ্য ছোট লাইটার জাহাজে খালাশ করা হয়। লাইটার জাহাজ তখন হয় চট্টগ্রাম বা মংলা বন্দরে মাল খালাশ করে অথবা নদীপথ ব্যবহার করে পণ্যের ব্যবহারকারীর কাছে (ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, বরিশাল, খুলনা, বাঘাবাড়ি, চাঁদপুর, নোয়াপাড়া, গোপালগঞ্জ, আশুগঞ্জ, এবং অন্যান্য স্থানে) সরাসরি পোঁছে যায়। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়েই লাইটার জাহাজের চট্টগ্রাম বা মংলা বন্দরের চেহারাও দেখা লাগে না। নদীপথে বড় জাহাজের মালামাল খালাশ করে ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছানো খুবই সহজ একটা পদ্ধতি। বাংলাদেশে এরকম হাজার খানেক লাইটার জাহাজ রয়েছে। তবে এই পদ্ধতি সেসব দেশেই কাজ করবে যেখানে সমুদ্র থেকে নদীর মাধ্যমে কারখানা পর্যন্ত পণ্য পৌঁছানো যাবে। এক্ষেত্রে নাব্য নদী থাকলেই শুধু হবে না, নদীগুলি এমনমুখী হতে হবে, যাতে নদী দেশের অভ্যন্তরে মূল শিল্পাঞ্চলগুলিকে সমুদ্রের সাথে সরাসরি জুড়ে দিতে পারে। বাংলাদেশের নদীগুলি এই দিক থেকে বিশ্বসেরা; সমুদ্র থেকে একেবারে গাছের শাখা-প্রশাখার মতো করে সারা দেশে ছড়িয়ে গেছে। পৃথিবীর সবচাইতে বেশি নাব্য নদীপথ রয়েছে রাশিয়াতে।

কিন্তু রাশিয়ার নদীগুলির একটিও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিকে সমুদ্রের সাথে যুক্ত করেনা। নদী তো মনুষ্য-সৃষ্ট জিনিস নয় – সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত জিনিস; রাশিয়া সেটা পায়নি। তাই সবচাইতে বিশাল (১ লক্ষ কিলোমিটারের বেশি; যেখানে বাংলাদেশে ৩ থেকে ৬ হাজার কিলোমিটার) নৌপথ থাকা সত্ত্বেও সেটা তাদের কাজে লাগে না। এখন এভাবে কিন্তু সকল পণ্য খালাশ করা সম্ভব নয়। আবার অনেক পণ্যই খালাশ করা সম্ভব। ট্রানজিট সুবিধা ব্যবহার করে নেপাল ও ভুটান সহ এশিয়ার অনেক দেশ নিজেদের অর্থনীতি বদলে দিয়েছে।আমরা মনে করি সরকার এ সুবিধা ব্যবহার করে দেশেন অর্থনীতি বদলে দেবে।হাতিয়ার এ চ্যানেলটি বহু আগে থেকে আন্তর্জাতিক রুট হিসেবে ব্যবহ্রত হচ্ছে পর্তুগিজ আমল থেকে।দেশের মাঝ ভাগ হওয়াতে বঙ্গোপসাগরে থেকে এ রুট খুবই আকর্ষণীয়। দেশের অন্যান্য বন্দর গুলো যেমন দেশের এক প্রান্তীয় সীমানায় অবস্হিত হাতিয়ারটি তেমনটা নয় তাই অন্যসব বন্দর হতে পুরো দেশে পন্য সরবারহ সহজে করতে না পারলেও এখান থেকে সহজে তা করা সম্ভব।  আমাদের আমদানি পণ্যের চার ভাগের তিন ভাগ পণ্যই বাল্ক পণ্য, যা কিনা সমুদ্রের মাঝখানে লাইটার জাহাজে খালাশ করা যায়। ২০১৫-১৫ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টন পণ্যের দি