সেই নার্স রেখা পালের শাস্তি মূলক বদলি!

সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তব্যরত নার্স রেখা পালের অবহেলায় গত ২৫ জুলাই সন্ধ্যায় প্রসবের সময় এক নবজাতক শিশু মৃত্যুর ঘটনায় নার্স রেখা পাল কে নোয়াখালীর হাতিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শাস্তি মুলক বদলি করা হয়েছে। গত ১২ আগস্ট ২০ স্বাস্থ্য বিভাগের  ছিদ্দিকা আক্তার, অতিরিক্ত সচিব স্বাক্ষরীত চিঠির মাধ্যমে নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর থেকে বদলির আদেশ প্রদান করা হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা উৎপল দাশ বদলির সতত্য নিশ্চিত করে জানান, নার্স রেখা পালের বদলির আদেশ আজ বৃহস্পতিবার আমরা হাতে পেয়েছি। আগামী ১৮ আগষ্ট ২০ ইং তারিখে সোনাগাজী সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তার শেষ কর্ম দিবস। এবং ১৯ আগষ্ট ২০ ইং তারিখে নোয়াখালীর হাতিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যোগদানের নির্দেশ রয়েছে।

সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তব্যরত নার্স রেখা পালের অবহেলার অভিযোগে গত ২৫ জুলাই সন্ধ্যায় প্রসবের সময় এক নবজাতক শিশু মৃত্যুর ঘটনায় ২৬ জুলাই দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ সহ অপর একটি পত্রিকায় তথ্য বহুল সংবাদ প্রকাশিত হয়। যার প্রেক্ষিতে ফেনী সিভিল সার্জন সহ সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষে টনক নড়ে এবং তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় প্রাথমিক ভাবে তাকে ওই বদলির আদেশ প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, নবজাতকের বাবা রাশেদ আলম বলেন, গত ২৫ জুলাই শনিবার সকালে তাঁর স্ত্রী জেসমিন আক্তারের (২০) প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে জেসমিনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর তিনি হাসপাতালের জান্নাতুল ফেরদৌস নামে একজন মিডওয়াইফের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি প্রসূতিকে প্রসবের কক্ষে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এ সময় নার্সিং সুপারভাইজার রেখা পাল ওই কক্ষে প্রবেশ করে মিডওয়াইফকে ভর্ৎসনা করে বের করে দেন। রেখা নিজেই তাঁর স্ত্রীকে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যথা কমার জন্য ইনজেকশন ও ওষুধ দিয়ে বলেন, নবজাতকের সবকিছু ঠিক আছে।

এখানে নবজাতকের প্রসব করাতে হলে তাঁকে আট হাজার টাকা দিতে হবে। সন্ধ্যায় শিশুটি প্রসবের পর শিশুর কোনো নড়াচড়া না দেখে তাঁরা হতাশ হয়ে পড়েন। পরে মৃত নবজাতকের গলায় কয়েকটা আঁচড় দেখতে পান। এবং শিশুটি মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ওষুধ আনার কথা বলে নার্স রেখা পাল পালিয়ে যান। এরপর তাঁকে আর হাসপাতালে দেখা যায়নি। রাতে রেখা রাজনৈতিক নেতা ও বিভিন্ন লোকজনের মাধ্যমে নবজাতকের পরিবারকে সমঝোতার প্রস্তাব দেন।

এ ঘটনায় নবজাতকের পিতা রাশেদ আলম নবজাতক হত্যার অভিযোগ এনে নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফারি পরিচালক(প্রশাসন) ও ফেনী সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।