ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সিল্করুট যেন পৃথিবীর স্বর্গ, ঘুরে আসুন অক্টোবরে

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

পূর্ব সিকিমের একটি ছোট্ট গ্রাম জুলুক। পর্যটকদের কাছে জালেপলা লাগোয়া এই জুলুক ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। গত তিন বছরে সিকিমে যত পর্যটক এসেছেন তার একটা বড় অংশ জুলুক আর নাথাং রুটে ভ্রমণ করেছেন। পৃথিবীর স্বর্গখ্যাত সিল্করুট বলে কথা!
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে জুলুকের দুরত্ব ১৫০ কিলোমিটার। সাপের মতো আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তা। একসঙ্গে পরপর ২২টি বাঁক রয়েছে। দূর থেকে তাকালে মনে হয় বড় কোনো অজগর সাপ স্থির হয়ে আছে। জুলুকে প্রায় ৬০টি পরিবারের বাস। গ্রামটির সঙ্গেই নাথাং ভ্যালি। সেখানে সুন্দর ল্যান্ডস্কেপ। পাহাড়ের সঙ্গে আছে বরফ, জঙ্গল। আরিটার হয়েই যেতে হয় সেখানে। এর মধ্যে আছে মেমেনছো লেক।

নাথাং ভ্যালি থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে বেশ সুন্দর। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কাঞ্চনজঙ্ঘার একাধিক রূপ দেখা যায়। এ দৃশ্য দেখার জন্য দূরবীন সঙ্গে করে নিয়ে আসতে হবে না। একদম খালি চোখেই দেখতে পারবেন এই অপরূপ দৃশ্য। এছাড়া সুন্দর পাহাড়ি ঝরনা, লেক, জঙ্গল ও বরফ মিলিয়ে সেই রুটে ২৩টি স্থানে দাঁড়িয়ে ভালো ছবি তোলা যায়।

চীন বা তিব্বতের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য রুটের দুটি রাস্তা আছে। একটি সিকিমের গ্যাংটক হয়ে নাথুলা। আরেকটি জুলুক হয়ে জালেপলা। নাথুলা শুধু গ্রীষ্মে খোলা থাকত। আর জালেপলা খোলা থাকত সারা বছর। ব্রিটিশ আমলে কালিম্পং ছিল ভুটানের অধীনে। তাকদা থেকে ব্রিটিশরা পাহাড়ে তাদের চীন বা তিব্বতের ব্যবসা পরিচালনা করতো। ইয়াং হাসবেন্ড প্রথম জালেপলা হয়ে তিব্বতে যান। সেই সময় শিলিগুড়ি লাগোয়া বৈকুন্ঠপুর জঙ্গলের পাশেই তিস্তা নদীতে নৌকায় পণ্য আসতো। সেখানে চমকদাঙ্গি লালতং এখনো আছে। চীন-ভারত দ্বন্দ্বে জালেপলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তার গুরুত্ব কমে যায়। সিকিমের গ্যাংটক রুটই চলতে থাকে। কিন্তু পর্যটনের স্বার্থেই পেদং দিয়ে জুলুকের নতুন রুট খোলা হয়েছে।

তিব্বত থেকে ইয়াক পালকেরা নাথাং ভ্যালিতে আসে। ইয়াকদের বিস্তীর্ণ চারণভূমি এই সুরম্য উপত্যকাভূমি। কিছু ছোটখাটো পাহাড়ি ঝরনা রয়েছে। কিছু আবার ঠাণ্ডায় জমে বরফ হয়ে যায়। নাথাং এর প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ‘চাইনিজ মিনি মার্কেট’ সাজানো। জুতা, সোয়েটার, জ্যাকেট কী নেই সেসব দোকানে! এমন গন্ডগ্রামে এত বরফের মাঝে মার্কেটিং সেরে নিতে কেউ ভুল করেনা। নাথাং থেকে মেমেঞ্চু লেক, ওল্ড বাবা মন্দির, কুলুপ লেক, এলিফেন্ট লেক দেখে অল্পচেনা নাথাং ভ্যালিতে দুটো রাত অনায়াসেই কাটিয়ে দিতে পারেন। নাথাং এর সৌন্দর্যে ক’টা দিন হারিয়ে যেতে পারলে মন ভালো হয়ে যাবে।