ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রাথমিকে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার কমেছে

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০১৯  

প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার কমেছে ১৮.৬ শতাংশে। যা বিগত দশ বছরে সবচেয়ে কম। সোমবার এই খবরটি নিশ্চিত করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন।
সচিব বলেন, সরকারের সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে প্রাথমিক শিক্ষায় গুণগত পরিবর্তন এসেছে। ২০০৯ সালে ছাত্র শিক্ষক অনুপাতের নির্ধারিত লক্ষ্য শিক্ষক প্রতি ৪৬ জন শিক্ষার্থী ছিল। এখন একজন শিক্ষকের বিপরীতে ৩৬ জন শিক্ষার্থী পাঠ নিচ্ছেন। একই সঙ্গে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার ১৮.৬ শতাংশে নেমেছে। বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী অনুপস্থিতির হারও দ্রুত কমে আসছে। 

আকরাম আল হাসান বলেন, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ২০০৯ সালের পাশের হার ৮৮.৮৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০১৮ সালের পাশের হার হয়েছে ৯৭.৫৯ শতাংশ। এ অর্জন প্রাথমিক শিক্ষার মান বৃদ্ধির উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। এটি সরকারের সুদুরপ্রসারী চিন্তার কারণেই সম্ভব হয়েছে।
 
এ সময় তিনি দেশের সার্বিক উন্নয়নের অংশ হিসেবে এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে জানান। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ডেইলি বাংলাদেশের সঙ্গে আলাপে তিনি এ কথা বলেন।

সুষ্ঠুভাবে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে সভাপতির দায়িত্ব, বিদ্যালয় পরিদর্শনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে অংশগ্রহণ করায় জেলা প্রশাসকদের প্রশংসা করেন। 

প্রতিটি শিশুর জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ সাংবিধানিক দায়িত্ব উল্লেখ করে আকরাম আল হাসান বলেন, এমডিজি অর্জন হয়েছে। এবার জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি বাস্তবায়নের পালা। ২০৩০ সালের মধ্যে সব শিক্ষার্থীদের অবৈতনিক, মানসম্মত ও জীবনব্যাপী প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে এই সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। 

সরকার দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণে বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব পর্যায়ে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সুস্থ সমাজ গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এ কাজে স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন অংশীজন ও দলমত নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে স্বাক্ষরতা কার্যক্রমকে সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে হবে। আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি উপানুষ্ঠানিক শিক্ষায় গতি এলে রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। 

আকরাম আল হোসেন আরো বলেন, গোটা প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের চলমান অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হলে মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত মনিটরিং বাড়াতে হবে। এছাড়া, পরিদর্শনে প্রাথমিক শিক্ষার সমস্যাদি চিহ্নিত করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করলে মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়িত কাজের মান উন্নয়নে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ সহজ হবে। 

জেলা প্রশাসক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।