ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছাড়াই সরকার গঠন করছেন ট্রুডো

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০১৯  

কানাডার ৪৩তম সাধারণ নির্বাচনে জয় নিশ্চিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির। ফলে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে তারা। তবে নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সংখ্যালঘু হিসেবে ক্ষমতায় যেতে হচ্ছে লিবারেল পার্টিকে।

৩৩৮ আসনের পার্লামেন্টে এককভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৭০টি আসন। নির্বাচনে ট্রুডোর লিবারেল পার্টি ১৫৭ আসনে জয়লাভ করেছে। ফলে সর্বোচ্চ সংখ্যক আসনে বিজয়ী হলেও মাত্র ১৩ আসনের জন্য নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে তারা। ফলে দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রুডোকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো আইন পাস করতে বেশ বেগ পেতে হবে।

হাতে ব্যালট গণনার কারণে পূর্ণাঙ্গ ফল প্রকাশে কিছুটা সময় লাগতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, স্থানীয় সময় সোমবার রাতে বা মঙ্গলবার সকালের মধ্যে চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে।

কানাডার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিবিসি’র লাইভে ট্রুডোর লিবারেল পার্টিকে ১৫৭টি আসনে এগিয়ে রাখা হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টি এগিয়ে রয়েছে ১২২টি আসনে। ব্লক কুবেকুয়া, নিউ ডেমোক্রেটিক ও গ্রিন পার্টি অব কানাডা এগিয়ে রয়েছে যথাক্রমে ৩২, ২৪ ও তিনটি আসনে। একটি আসনে জয় পেয়েছেন একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

এই নির্বাচনে ট্রুডোর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল কনজারভেটিভ পার্টির অ্যান্ড্রু শের। নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করা হলেও প্রথম থেকেই এগিয়ে ছিল লিবারেল পার্টি। ভোটের ফলাফল দেখে জানা যায় লিবারেল পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ১২২ আসন। গতবারের নির্বাচনে তারা ৯৫ আসনে জয়ী হয়েছিল।

নির্বাচনে জয়ের পর মন্ট্রিলে সমর্থকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বলেন, আপনারা এটা করে দেখিয়েছেন আমার বন্ধুরা। আপনাদের স্বাগত। যারা তাকে ভোট দিয়েছেন তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমার ওপর আস্থা রাখার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।

বিরোধী কনসারভেটিভ পার্টি ভোটের আগে ট্রুডোর বিরুদ্ধে বড় ধরনের দুটি কেলেঙ্কারির অভিযোগ আনে। ফলে নির্বাচনে ট্রুডোকে বেশ অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে।চার বছর আগে সত্যিকারের পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে বিশাল এক বিজয়ের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন জাস্টিন ট্রুডো।

২০১৫ সালে ট্রুডো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের সময় তার মন্ত্রিসভায় নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণের কারণে বিশ্বের সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়েছিলেন। যা তার দলের প্রধান গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য বলে তিনি প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন।

১০টি প্রদেশ নিয়ে গঠিত কানাডা আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। প্রায় চার কোটি মানুষের দেশটিতে এবারের নির্বাচনে মোট ছয়টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। 

নির্বাচনি প্রচারণায় নিজের উদার অভিবাসননীতি নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েন জাস্টিন ট্রুডো। জলবায়ু ইস্যুতেও তার বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতার অভিযোগ ওঠে। 

তবে দুই ডজনেরও বেশি কানাডিয়ান শিক্ষাবিদের স্বতন্ত্র পর্যালোচনায় উঠে এসেছে, ২০১৫ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর জাস্টিন ট্রুডো তার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতির ৯২ শতাংশই পূর্ণাঙ্গ কিংবা আংশিকভাবে বাস্তবায়ন করেছেন। গত ৩৫ বছরে অন্য যে কোনও কানাডিয়ান সরকারের চেয়ে তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের হার সর্বোচ্চ।