ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

নারী কর্মীকে দিয়ে শরীর মালিশ! চিকিৎসক গ্রেপ্তার

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২০  

বাউফল উপজেলায় একটি ক্লিনিকের এক নারী কর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ক্লিনিকের চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে ওই চিকিৎসককে উপজেলার পাবলিক মাঠ সংলগ্ন জাহাঙ্গির টাওয়ারের তয় তলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

চিকিৎসকের নাম ডা. মো. শাহ আলম (৬৫)। তিনি এক সময় বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি বাউফল হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ্যান্ড ক্লিনিকের এনেসথেসিয়ার চিকিৎসক ও ওই ক্লিনিকের পরিচালক মন্ডলীর একজন সদস্য। তার বাড়ি উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়নের দাশপাড়া গ্রামে।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার পৌর শহরের হাসপাতাল সড়কে অবস্থিত বাউফল হেলথ কেয়ার ডায়গনষ্টিক সেন্টার এ্যান্ড ক্লিনিকে কর্মরত ফিজিসিয়ান নারী কর্মীকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন চিকিৎসক ডা. মো. শাহ আলম। এ নিয়ে যখনই ওই নারী প্রতিবাদ করতেন তখনই তাকে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেওয়া হতো।

গত ৭জুন চিকিৎসক শাহ আলম ওই নারীকে ক্লিনিকের একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে শরীর ম্যাসেজ করায়। এ বিষয়ে ওই নারী ক্ষুদ্ধ হয়ে ক্লিনিকের অন্য পরিচালকের কাছে ঘটনাটি অবহিত করলেও কোন প্রতিকার পাননি। অথচ এই হয়রানীর বিষয়টি যাতে ওই নারী কোথাও প্রকাশ না করে এর জন্য উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এন এম জাহাঙ্গীর হোসেন তাকে হুমকি দেন।

এক পর্যায়ে অতিষ্ট হয়ে ওই নারী কর্মী সোমবার রাতে ডা. শাহ আলম ও বাউফল হেলথ কেয়ার ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এ্যান্ড ক্লিনিকে পরিচালক মো. জলিল ও হুমকিদাতা এন এম জাহাঙ্গির হোসেনকে আসামি করে বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এরপর ওই রাতেই পটুয়াখালী সার্কেলের (বাউফল) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে ডা. শাহ আলমকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হয়। কিন্তু তিনি ঘরের দরজা না খোলায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এরপর সারারাত পুলিশ তার বাসা ঘেরাও করে রাখে। পরের দিন আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ওই চিকিৎককে গ্রেফতার করে পটুয়াখালী আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।