ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

নবম শ্রেণি পাস করে ডিবির সহকারী কমিশনার, প্রেমের ফাঁদে ৯ তরুণী

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৮ নভেম্বর ২০২০  

ডিবির সহকারী কমিশনার হিসেবে পরিচিত মোবাইল ফোন মেরামত ও বিক্রির দোকানদার মোহাম্মদ হাসান। নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করলেও লোকজন তাকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বলে জানেন। 

আর এমন মিথ্যা পরিচয়েই সে ফেসবুকে ঢাকার কলেজপড়ুয়া এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্তরঙ্গ হয়ে মেয়েটির আপত্তিকর কিছু ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করে। এরপর শুরু হয় তার প্রতারণা।

একসময় প্রেম-বিয়ের গল্প বাদ দিয়ে তরুণীর কাছে এক লাখ টাকা চান হাসান। আর টাকা না দিলে ছবি-ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন। ভয়ে তরুণী কয়েক দফায় তাকে ১৪ হাজার টাকা দেন। তবে লাখ টাকা দেয়া তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে তিনি পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানান। মেয়েটির বাবার মাধ্যমে এ সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়ার পর নানা কৌশলে হাসানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 

জিজ্ঞাসাবাদে সে তরুণীকে জিম্মি করে অর্থ দাবির কথা স্বীকার করে। শুধু তাই নয়, তার মোবাইল ফোনে পাওয়া গেছে আরো আট তরুণীর অর্ধশতাধিক আপত্তিকর ছবি-ভিডিও। তাদেরও একই কায়দায় ফাঁদে ফেলা হয়।

শ্যামপুর থানার এসআই আমিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার শিকার তরুণী পুরান ঢাকার কবি নজরুল কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রী। ফেসবুকে 'প্রিন্স খান' নামে একজনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ওই আইডিটি প্রকৃতপক্ষে হাসানের। সে আগে ঢাকার সাভারে থাকত। কখনো গেঞ্জি বিক্রি, কখনো ওষুধের দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করেছে। লকডাউনে বেকার হয়ে সে তার গ্রামের বাড়ি দুলারহাটে চলে যায়। সেখানকার বাজারে মোবাইল ফোনের দোকান দিয়ে বসে। 

তবে এসবের আড়ালে সে দীর্ঘদিন ধরে মেয়েদের সঙ্গে মিথ্যা পরিচয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে প্রতারণা করে আসছিল। সর্বশেষ ঘটনায় প্রথমে শ্যামপুর থানায় একটি জিডি করেন মেয়েটির বাবা। তবে প্রাথমিক অনুসন্ধানে এটি আমলযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় ২৭ অক্টোবর পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা নেয়া হয়।

তদন্ত-সংশ্নিষ্টরা জানান, ভোলা থেকে ৩০ অক্টোবর বিকেলে তাকে আটক করা হয়। এরপর দেখা দেয় আরেক সমস্যা। হাসানের পরিবার স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তাকে ছাড়িয়ে নিতে নানামুখী চাপ আসতে থাকে। পরদিন সকালে এ বিষয়ে নিষ্পত্তির কথা বলে গভীর রাত পর্যন্ত হাসানের লোকজনকে বুঝিয়ে ফেরত পাঠানো হয়।

এরপর ভোর ৪টার দিকে সবাই ঘুমিয়ে থাকার সময় হাসানকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয় শ্যামপুর থানা পুলিশের টিম। ঢাকাতেও তাকে ছাড়ানোর জন্য অনেক তদবির চলে। তবে শ্যামপুর থানার ওসি মফিজুল আলমের নির্দেশনায় গ্রেফতার অভিযানসহ সবকিছু ঠিকঠাক সামাল দেয় পুলিশ।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, হাসান সাভারে থাকার সময় স্থানীয় কিছু পুলিশ সদস্যের সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। এর সুবাদে সে পুলিশের অভিযানিক কর্মকাণ্ড ও পদমর্যাদার ব্যাপারে বেশ কিছু ব্যাপার জানতে পারে। তাই তরুণীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলার সময় সে নিজেকে ডিবি কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিতো। 

গ্রেফতারের সময় তার দুটি মোবাইল ফোন ও কম্পিউটার জব্দ করা হয়। সেগুলোর ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে। তবে তার মোবাইল ফোনের ফটো গ্যালারির ৮৫ ভাগ অংশজুড়ে বিভিন্ন মেয়ের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ছিল। হাসান ভিডিওকলে কথা বলার সময় তার ফোনে থাকা স্ট্ক্রিন রেকর্ডার অ্যাপ দিয়ে তরুণীদের নগ্ন ভিডিও রেকর্ড করে রাখতো।