ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী হামানকর্দ্দির কামাল গাজীকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা টিকটকে প্রেমের পর বিয়ে, ৩ বছরের মাথায় তরুণীর আত্মহত্যা লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপনির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দেশেই ন্যানো-কপার মাস্ক উৎপাদন

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২০  

উন্নত প্রযুক্তির ন্যানো এবং কপার মাস্ক দেশেই উৎপাদনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান টেলিফোন শিল্প সংস্থার (টেসিস) সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মাস্ক উৎপাদনে এগিয়ে এসেছে বেসরকারি খাতের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওকে মোবাইল লিমিটেড। ইতোমধ্যে উৎপাদনসংক্রান্ত অনুমোদন চেয়ে ওষুধ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে চিঠি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সবকিছু ঠিক থাকলে উৎপাদন শুরু হতে পারে চলতি বছরের শেষ নাগাদ।

সার্বক্ষণিক পরিধানযোগ্য মাস্কের ব্যবহার বাড়ছে বিভিন্ন দেশে। উন্নত প্রযুক্তির জীবাণুরোধী কপার এবং ন্যানো মাস্ক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কোরিয়া, জাপান ও জার্মানিসহ উন্নত দেশগুলোতে। কিন্তু এসব উচ্চমূল্যের মাস্ক সাধারণের নাগালের বাইরে। কিন্তু বাস্তবতা হল, মাস্ক এখন করোনাকালের নিত্য সঙ্গী। করোনা প্রতিরোধে অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। তাই বাজারে মিলছে নানা ধরনের মাস্ক। তবে দেশে এখন সার্জিক্যাল মাস্কের ব্যবহারই সবচেয়ে বেশি। কিন্তু গরমকালে দীর্ঘ সময় মাস্ক পরে থাকা প্রায় অসম্ভব। দেখা যাচ্ছে, অনেককেই মাস্ক নামিয়ে রাখছেন গলার কাছে। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিও বাড়ছে। এ অবস্থায় কিছুটা হলেও আশার আলো জাগিয়েছে উন্নত প্রযুক্তির ন্যানো এবং কপার মাস্ক। যা এখন দেশেই তৈরি হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওকে মোবাইল লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট কাজী জসিমুল ইসলাম শনিবার বলেন, ‘এখন বিশ্বব্যাপী মাস্ক থেকে শুরু করে যে কোনো কোভিড সংক্রান্ত পণ্য উৎপাদন যন্ত্রপাতি আমদানি সীমিত হয়ে পড়েছে। ফলে নানামুখী প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। তারপরও আমরা আশা করছি, কপার এবং ন্যানো দুটি মাস্কের উৎপাদন চলতি বছরেই শুরু করতে পারব। প্রাথমিকভাবে সীমিত যন্ত্রপাতি দিয়েও প্রতিদিন ৮০ হাজার কপার এবং ৬০ হাজার ন্যানো মাস্ক উৎপাদন করা সম্ভব হবে।’

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ন্যানো এবং কপার মাস্ককে নেক্সট জেনারেশন মাস্ক বলা হয়। কারণ এটি একদিকে জীবাণু প্রতিরোধে সক্ষম, অন্যদিকে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়াও সহজ। এ কারণে ইউরোপ এবং আমেরিকায় বহু আগে থেকেই এ মাস্ক ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে কপার মাস্কের বহুল ব্যবহার ছিল কয়লা খনিতে। এর উৎপাদন স্বত্ব ছিল একটিমাত্র দেশ চিলির হাতে। বিশ্বে কোভিড সংক্রমণের প্রেক্ষিতে কপার মাস্ক উৎপাদনের স্বত্ব সম্প্রতি উন্মুক্ত করে দেয় চিলি। এরপর দক্ষিণ কোরিয়া ব্যাপকভাবে কপারযুক্ত কাপড় তৈরি শুরু করে। এরই প্রেক্ষিতে এখন বাংলাদেশে কপার মাস্ক উৎপাদনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

উদ্যোক্তরা বলছেন, কপার যুক্ত কাপড়ে তৈরি হওয়ায় এ মাস্ক শ্বাস নেয়ার সময় ৯৯.৯৯ শতাংশ জীবাণু আটকে দিলেও মুখমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে না। ফলে সার্বক্ষণিকভাবে এটি পরিধানযোগ্য। ধুয়ে পুনরায় ব্যবহার যোগ্য হওয়ায় একটি মাস্ক ৩ মাস বা এর বেশিও ব্যবহার করা যায়।

কপার মাস্কের মতোই উন্নত প্রযুক্তির ন্যানো মাস্কও করোনা ভাইরাস আটকে দিতে সক্ষম। সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্ক তিন স্তরের কাপড়ে তৈরি। কিন্তু এটি তৈরি হয় ৫ স্তরের কাপড়ে। দেশে স্বল্প খরচে এটির উৎপাদন সম্ভাব্যতার অন্যতম কারণ ন্যানো মাস্কে ব্যবহৃত অন্তত দুটি স্তরের কাপড় বাংলাদেশেই উৎপাদন হয়। ন্যানো মাস্কের সঙ্গে ফাইভার ফিল্টার যুক্ত হওয়ায় মুখমণ্ডলে কম গরম অনুভূত হয়। সুবিধাজনক ব্যবহার ও উচ্চ ভাইরাস প্রতিরোধী হওয়ায় গ্রীষ্মকালীন দেশগুলোতে কপার এবং ন্যানো মাস্ক জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইউরোপ এবং আমেরিকার বাজারে একেকটি কপার মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ ডলারে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা। কিন্তু গার্মেন্ট শিল্প সমৃদ্ধ হওয়ায় দেশে এটি অনেক কম খরচে উৎপাদন করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে এর বাজারমূল্য হতে পারে সর্বোচ্চ দুই ডলার বা এর নিচে। এ দু’ধরনের মাস্কই যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) এবং কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের (সিডিসি) অনুমোদন প্রাপ্ত। হাঁচি-কাশির সময় মাস্ক ভেদ করে ড্রপলেট বাইরে আসার ক্ষমতা শূন্যের কাছাকাছি। তবে উচ্চমূল্যের কারণে ঢাকার বাজারে এখনও ন্যানো বা কপার মাস্কের কোনোটিই সহজলভ্য নয়। সমাজের ধনাঢ্য শ্রেণি ব্যক্তি পর্যায়ে এনে ব্যবহার করলেও যা সাধারণের নাগালের বাইরে।